বহরমপুর, 24 ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সদ্যজাত বদলের অভিযোগ ৷ সদ্যজাতকে বদলে মৃত একটি বাচ্চা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে ৷ রবিবার সকালে যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল হাসপাতাল চত্বর ৷ পরিবারের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের 'মাতৃ মা' বিভাগের কর্মীরা সদ্যজাতকে বদলে দিয়েছে ৷ বদলে তাঁদের হাতে মৃত সন্তান তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ ৷
অভিযোগকারী ভগবানিগোলা ব্লকের কালুখালির বাসিন্দা লালটু শেখ জানিয়েছেন, পাঁচদিন আগে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী সাবিনা বিবিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করিয়েছিলেন ৷ শনিবার রাতে সাবিনা বিবির সিজার করা হয় ৷ লালটু শেখ জানিয়েছেন, রাতে তাঁর কাছে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে ৷ বলা হয়, তাঁর স্ত্রী মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ৷ এ খবর শুনে লালটু শেখ রাতেই হাসপাতালে আসছিলেন ৷ কিন্তু, তাঁকে ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, রাতে বাচ্চার দেহ ছাড়া হবে না ৷ অফিসিয়াল কাজকর্মের পর রবিবার সকালেই বাচ্চার দেহ হাতে পাবে পরিবার ৷
লালটু শেখ এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সকালে হাসপাতালে অফিসিয়াল কাজকর্ম মেটানোর পর, বাচ্চার দেহ তাঁদের হাতে দেওয়া হয় ৷ সেই সময় বাচ্চার হাতে একটি ট্যাগ ছিল ৷ যেটি হাসপাতালের সদ্যজাতদের চিহ্নিত করতে লাগানো থাকে ৷ কিন্তু, লালটু শেখ এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ মৃত বাচ্চার ট্যাগের সঙ্গে সাবিনা বিবির ট্যাগের নম্বরের মিল নেই ৷ সাবিনা বিবির হাতের ট্যাগ নম্বর ছিল 295 ৷ কিন্তু, মৃত বাচ্চার হাতের ট্যাগ নম্বরে 200 লেখা ছিল ৷
বিষয়টি সামনে আসতেই হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ দেখা শুরু করে পরিবারের সদস্যরা ৷ অভিযোগ তোলা হয়, তাঁদের বাচ্চাকে টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আর বদলে তাঁদের মৃত বাচ্চা ধরিয়ে দিয়েছে হাসপাতালের কর্মীরা ৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে বহরমপুর থানা এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন লালটু শেখ ৷ এ নিয়ে হাসপাতালের এমএসভিপি অনাদি রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘তাঁরা আভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত করবেন ৷ পাশাপাশি, বাচ্চার পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে, সেই মতো বিস্তারিত তদন্ত হবে ৷’’ তবে, এই বিষয়টিকে আপাতত 'বিভ্রান্তি' বলেই মনে করছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: