সামশেরগঞ্জ (মুর্শিদাবাদ), 23 মে: ‘‘সিপিএম ও কংগ্রেসের কেউ তৃণমূলকে চোর বললে পিটিয়ে মাটির তলায় কবর দিয়ে দেব’’, প্রকাশ্য জনসভা থেকে এমনই হুংকার দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি শহিদুল ইসলাম । তৃণমূল নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে । সিপিএমকে জড়ালেও ওই তৃণমূল নেতার নিশানা বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকেই ।
রবিবার সামশেরগঞ্জে জনসভা করে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী । সেই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন অধীর চৌধুরী । ওই জনসভার আগেও কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে সাতজন জখম হওয়ার ঘটনা ঘটে । দু’টি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে । এরপর জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসকে চোরের দল বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী ।
সোমবার বিকেলে সামসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকরে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পালটা প্রতিবাদ সভা হয় ৷ সেখানে অধীর চৌধুরীকেই কার্যত পালটা জবাব দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ৷ সঙ্গে আক্রমণ করা হয় সিপিএম ও কংগ্রেসকে ৷ কিন্তু বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে শহিদুল ইসলাম বেলাগাম হয়ে যান বলে অভিযোগ ৷
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সিপিএম ও কংগ্রেসকে পেটান । এদের মাটির তলে কবর দিয়ে দিন । না পেটান সিপিএম ও কংগ্রেসের উচিত শিক্ষা হবে না ।’’
পাশাপাশি অধীর চৌধুরীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ওই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি বলছি তৃণমূলের সবাইকে চোর বলে পেটাও ৷ পেটাইতে হবে এনাকে ৷ যদি না পেটান ভাষা বন্ধ হবে না ৷ অধীর চৌধুরী বলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর ৷ আমিও তো পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, আমিও তো পার্টির অঞ্চল সভাপতি ৷ চোর প্রমাণ করতে হবে, তার পরে সকলের দিকে আঙুল তুলতে হবে ৷’’
এদিকে ওই পালটা প্রতিবাদ সভায় শহিদুল ইসলাম যখন বিতর্কিত মন্তব্যগুলি করছেন, তখন মঞ্চেই বসে ছিলেন সামসেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । প্রকাশ্য সভায় বিরোধীদের এভাবে হুমকির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে । এই নিয়ে তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সমালোচনায় সরব হয়েছে ৷ তবে তৃণমূলের তরফে কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷