সামশেরগঞ্জ, 23 ডিসেম্বর: শিক্ষকের দাবিতে কাঞ্চনতলা কামাত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা লাগালেন অভিভাবকরা (Guardian Agitation for Teacher in a School in Murshidabad) ৷ প্রধান শিক্ষক ও 3 সহকারী শিক্ষক ৷ তার মধ্যে আবার একজন শিক্ষক দীর্ঘ 8 মাস ধরে স্কুলে আসছেন না ৷ পর্যাপ্ত শিক্ষকের দাবিতে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ৷ শুক্রবার অভিভাবকদের এই বিক্ষোভের জেরে স্কুল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷
অভিভাবকদের অভিযোগ, সামশেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা কামাত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা 850 ৷ অথচ প্রধান শিক্ষক ও 2 সহকারী শিক্ষক থাকলেও, দীর্ঘ 8 মাস ধরে স্কুলে আসেন না এক শিক্ষক ৷ বিপুল সংখ্যাক পড়ুয়াদের পড়ানোর দায়িত্ব পড়েছে এই দুই শিক্ষকের উপর ৷ তাই পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা ৷ এদিন দফায় দফায় স্লোগান বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর । ওই শিক্ষকের ট্রান্সফার প্রত্যাহারের দাবি করেন অভিভাবকরা ৷
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বস্তাবন্দি শিশুর দেহ! শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ
তবে যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিতির অভিযোগ, সেই শিক্ষক রেজাউল হক জানান, তাঁর ট্রান্সফার হয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "আমি কাঞ্চনতলা কামাত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হলেও বর্তমানে এসআই দফতর থেকে আমাকে ড্রাফটিং ট্রান্সফার করে গাজিনগর বয়েজ স্কুলে পাঠানো হয়েছে । সেখানেই শিক্ষকতা করছি ।" তবে এই শিক্ষকের ট্রান্সফারের কথা জানেন না বলে দাবি করেন কাঞ্চনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বরকত শাহ আলম । এই প্রাসঙ্গেই ধূলিয়ান চক্রের এসআই হোসনেয়ারা খাতুন জানান, বেশ কিছুদিন আগেই ওই শিক্ষককে ড্রাফটিং ট্রান্সফার করা হয়েছে । তবে স্কুলে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলে বিষটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ৷