বহরমপুর, 31 মার্চ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের ডিআই-সহ পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেল সিআইডি। সুতির গোঠা হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগের বেনিয়মের অভিযোগে ওই পাঁচজনকে বহরমপুরে সিআইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
সুতির গোঠা এআর হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ামের অভিযোগের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত শিক্ষক। এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আজ তদন্তের স্বার্থে মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে (ডিআই) হানা দেয় সিআইডির প্রতিনিধি দল। সিআইডি অফিসার শিমুল সরকারের নেতৃত্বে ডিআই-সহ অফিসের পাঁচ কর্মীকে বহরমপুর সিআইডি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে কলকাতাতেও যেমন প্রাক্তন ডিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সিআইডি অফিসেও এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে, জানালেন আধিকারিক শিমুল সরকার। সিআইডি সূত্রে খবর, গোঠা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজের ছেলেকে স্কুলে নিয়ম বর্হিভূতভাবে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদে ঢোকান। গত সাত বছর ধরে শিক্ষক পদে নিযুক্ত থেকে বেতন নিয়েছিলেন ওই ভুয়ো শিক্ষক।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে স্বেচ্ছায় অবসর চেয়ে আদালতে আর্জি সিবিআইয়ের ধর্মবীর সিংয়ের
স্থানীয় এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করায় কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডি-কে তদন্তের ভার দেয়। এরপর কয়েক দফায় বহরমপুরে ডিআই অফিসে তদন্ত করে নিয়োগ দুর্নীতির প্রত্যক্ষ তথ্য পায় সিআইডি। গোঠা হাইস্কুলে গিয়েও তদন্ত করে সিআইডি। অবশেষে ধরা পড়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এখনও তিনি সিআইডি হেফাজতে রয়েছে। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত তার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। তলব করার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রাক্তন ডিআইকে। এবার বর্তমান ডিআই-সহ আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হল। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও অধরা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।