বহরমপুর, 14 নভেম্বর : জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে চিনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে । এই মন্তব্য করলেন অধীর চৌধুরি ৷ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, "লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের কাছে চিনা ফৌজ পেরে উঠতে পারছে না। তাই পাকিস্তানকে মদত দিয়ে চিন জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকাকে আরও অশান্ত করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে ৷"
শুক্রবারের জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রশ্নে সাংবাদিক বৈঠকে অধীরবাবু বলেন, জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের পাকিস্তান মদত দিচ্ছে। সীমান্তে হামলা করে ভারতীয় সেনাদের ব্যতিব্যস্ত রাখবে। আমার মনে হয়, লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় ফৌজের প্রস্তুতিতে চিন যা করতে চাইছে তা পারছে না। তাই পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ভ্যালিকে আরও উত্তেজিত করে রাখতে চাইছে। এটা সম্পূর্ণ চিনের মদতে হচ্ছে বলে আমি মনে করি। কারণ লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রস্তুতিতে চিন অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই নতুন করে ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে চায় পাকিস্তান ৷ ভারতকে আরও বেশি করে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চিন।"
শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অধীর চৌধুরি বলেন, পাকিস্তান যে ভাষায় বুঝবে সেই ভাষাই তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, গতকালই পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি বর্ষণ করে ৷ গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনার গোলাবর্ষণে চার ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। শহিদ হন এক BSF জওয়ানও। এর পাশাপাশি 5 সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। পালটা ভারতীয় সেনার জবাবে খতম 11 পাকিস্তানি জওয়ান। তার মধ্যে 2 থেকে 3 জন পাকিস্তানি আর্মি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কমান্ডো আছেন বলে খবর ৷ 11 জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর সঙ্গে পাকিস্তানের আরও 16 জওয়ান গুরুতর আহত হয় ৷ পাকিস্তানের আর্মি বাঙ্কার, ফুয়েল ডাম্প এবং লঞ্চ প্যাড ভারতীয় সেনার গুলিতে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷