সাগরদিঘি, 9 অগস্ট: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগেই বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থকদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জোট সমর্থকদের ৷ বুধবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকার কাবিলপুর পঞ্চয়েতের ঘটনা ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে ৷ জোট সমর্থকদের পঞ্চায়েত ভবনের আগে আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ।
জানা গিয়েছে, কাবিলপুর পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা 25টি । এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে 14টি আসনে জয়ী হয়েছে বাম- কংগ্রেস জোট । বাকি 11টি আসন গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে । নিয়ম মতো জোটের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই বোর্ড গঠন হবে। জোট সদস্যদের কিডন্যাপ করা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই জোটের 14 জন সদস্যকে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার গোপন ডেরায় রাখা হয়েছিল । 25 দিন ধরে সেখানেই রাখা হয়েছিল 14 জন নির্বাচিত বাম-কংগ্রেস সদস্যদের। কিন্তু সেখানেও হানা দেয় সাগরদিঘি থানার পুলিশ । সিভিক ভলেন্টিয়ার, তৃণমূল নেতাদের নিয়ে দল বেঁধে ঝাড়খণ্ডে পাড়ি দিয়েছিল সাগরদিঘি থানার পুলিশ ।
অভিযোগ, উদ্দেশ্য ছিল কয়েকজন সদস্যকে কিডন্যাপ করে রাজ্যে নিয়ে আসার । কিন্তু বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয় । জানা গিয়েছে, বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের প্রতিরোধে তাদের পাশে দাঁড়ায় পাকুড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকুড় থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে সব চক্রান্তই শেষমেশ বানচাল হয়ে যায় । বুধবার ওই 14 জন জেলায় ফিরে আসে । আজই বোর্ড গঠন করে বলেও দাবি করে বাম-কংগ্রেস জোট সদস্যরা। দলীয় সমর্থকরা মিছিল করে পঞ্চায়েতের উদ্দেশে গেলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাদের ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পরাস্ত করে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-নির্দল দখল নিল পঞ্চায়েতের
এই প্রসঙ্গেই, জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, "পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বুঝে নির্বাচিত সমর্থকদের ভিনরাজ্যে গোপন ডেরায় রেখেছিলাম । কিন্তু সেখানেও পুলিশ নিয়ে হানা দিয়েছিল । বাম কংগ্রেস জোটের প্রতিরোধে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয় ।" জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, "এই অভিযোগ মিথ্যা । যেখানে যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে সেখানে তারাই বোর্ড গঠন করবে । তৃণমূল দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে না ।"