বড়ঞা, 15 এপ্রিল: 23 ঘণ্টা পেরিয়েছে ৷ তবে এখনও বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই ৷ এরই মাঝে তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে তাঁর তিনটে মোবাইল শুক্রবার বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক ৷ এরপর সেই পুকুরে শুরু হয় তল্লাশি ৷ ওইদিন একটা মোবাইল উদ্ধার করতে পেরেছিল সিবিআই আধিকারিকরা ৷ আজ মেশিন বসিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে বাকি দুটি মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
ওই মোবাইলগুলি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ কারণ ওই মোবাইল থেকেই কুন্তল ও পার্থ যোগের সম্ভাবনার সূত্র মিলতে পারে বলেও অনুমান তদন্তকারী দলের । তার ফলে জোরকদমে চলছে আরও দুটি মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা । এদিকে সিবিআইয়ের বজ্র আঁটুনিতে রয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল । যা সিবিআইয়ের হাতে অন্যতম অস্ত্র হিসাবেই মনে করা হচ্ছে । অন্যদিকে বিধায়কের শ্বশুর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, কম্পিউটর-সহ একাধিক নথি । তদন্ত যেদিকে এগোচ্ছে তাতে তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারি শুধু সময়ের অপেক্ষা ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর 12টা থেকে বিধায়কের ও শ্বশুর বাড়ি-সহ আট জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই ৷ তদন্তের মধ্যেই সিবিআইয়ের সামনে তিনটি মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন বিধায়ক । রাতেই একটি মোবাইল তুলে সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই । উদ্ধারের চেষ্টা চলছে আরও দুটি মোবাইল । পুকুরে মেশন বসিয়ে জল শোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । জল ছেঁচতে দু'দিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গিয়েছে ।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রায় আট হাজার চাকরিপ্রার্থীকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা । তার তালিকাও হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা । কার কার কাছে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল সে তালিকাও মিলেছে । আরও জানা গিয়েছে, কুন্তলের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল জীবনকৃষ্ণ সাহার । তাই কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পরই এবার বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই । রাতভর সিবিআইয়ের দুটি দল পালা করে তদন্ত চালাচ্ছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা