বহরমপুর, 7 অগস্ট: পুলিশের তাড়া খেয়ে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু যুবকের ৷ পরিবারের তরফে এমনই অভিযোগ উঠেছে বহরমপুরের ফরাসডাঙায় ৷ এনিয়ে পুলিশকে ঘিরে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি রানিশ্বর এলাকায়। শনিবার বিকেলে বছর কুড়ির ওই যুবক ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। মৃতের নাম অতনু ঘোষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী ৷ পুলিশের হাত থেকে পালাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই যুবক । যুবকের দেহ উদ্ধারের পরও তাই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। যদিও পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, ধুন্ধুমার নবগ্রাম
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ ফরাসডাঙা থেকে নৌকা করে ওই মৃতদেহ পাশে কলেজ ঘাটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে কোনও একটি কারণে ঝামেলা হয়েছিল। দু'পক্ষের হাতাহাতিও হয়েছিল। সেই ঘটনায় বহরমপুরের সৈয়দাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ শুক্রবার অতনুকে আটক করেছিল। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে পুলিশের তাড়া খেয়ে কুঞ্জঘাট এলাকায় ভাগীরথীতে ঝাঁপ দেন অতনু।
তারপর থেকে নিখোঁজ ছিল। রবিবার দুপুরে নৌকা নামিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। রবিবার রাতে কুঞ্জঘাট এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয়। যদিও বহরমপুর থানার পুলিশের দাবি, অতনুকে আটক করা হয়নি। গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল না। পুলিশের আরও দাবি, যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তারাই অতনুকে তাড়া করেছিল ৷ এই ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।পুরো ঘটনা নিয়ে পুলিশ মহলে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কারণ কয়েদিন আগেই নবগ্রামে এক যুবকের মৃত্যু হয় পুলিশের লকআপে। তারপর এই ঘটনা।