ETV Bharat / state

সন্তানকে মর্গে রেখে ভোট দেওয়া সারাজীবন মনে রাখব : অধীর

সব খবর শুনে ভোটের পর দিনই সন্তানহারা মায়ের কাছে ছুটে গেছিলেন অধীর । পাশে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছিলেন । পরে জানা যায়, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই নিজেকে শেষ করে দেন বছর ঊনিশের রজত । তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না, সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন রজত ।

অধীর চৌধুরি
author img

By

Published : May 24, 2019, 6:51 PM IST

Updated : May 24, 2019, 7:55 PM IST

বহরমপুর, 24 মে : লাশকাটা ঘরে বন্দী ছিল ছেলেটা । কিন্তু, নাগরিক কর্তব্য পালন থেকে তিনি সরে আসেননি । অতি পছন্দের অধীর চৌধুরিকে ভোট দেওয়ার জন্য যেন বুকে পাথর রেখেছিলেন । আজ নিজের জয়ের পর সেই সন্তানহারা মায়ের কাছেই ছুটে গেলেন বহরমপুরের 'বেতাজ বাদশা' ।

দিনটা 29 এপ্রিল । বহরমপুরে ভোট । ভোট দিতে গেছিলেন রেনুকা মার্ডি । কিন্তু, তখন ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন । বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসেন রেনুকা । বাড়ি ফিরে দেখেন ছোটো ছেলের ঝুলন্ত দেহ । হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । তারপরই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ জানায়, দুপুর তিনটের সময় ময়নাতদন্ত হবে । কিন্তু, সময় নষ্ট করতে চাননি রেনুকাদেবী । ছুটে গেছিলেন ভোট দিতে, বলা ভালো অধীরকে ভোট দিতে । ভোটও দেন তিনি ।

সব খবর শুনে ভোটের পর দিনই সন্তানহারা মায়ের কাছে ছুটে গেছিলেন অধীর । পাশে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছিলেন । পরে জানা যায়, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই নিজেকে শেষ করে দেন বছর ঊনিশের রজত । তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না, সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন রজত ।

ভিডিয়োয় দেখুন

গতকালই ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে । মোদি ঝড়ে গোটা বাংলা যখন টলমল, বহরমপুর তখনও অধীরের । আর তার পরই আজ কৃতজ্ঞতা জানাতে রেনুকাদেবীর বাড়িতে ছুটে যান কংগ্রেস সাংসদ । বলেন, ''সেরা ভোটার কি না জানি না । সন্তানকে মর্গে রেখে ভোট দেওয়ার ঘটনা আমি সারা জীবন মনে রাখব । আর কোন জনপ্রতিনিধি এই সম্মান পেয়েছেন বলে আমার জানা নাই ।'' আর রেনুকাদেবী বললেন, ''ছেলেকে কোনও দিন ফিরে পাব না । দাদা জিতেছেন । আমার ভোট কাজে লেগেছে তাতেই শান্তি ।'' তিনি আরও বলেন, ''১৯৯৮ সালে জমি সংক্রান্ত সমস্যার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অধীরবাবু । সে জন্য দাদার প্রতি আমি আজও কৃতজ্ঞ ।''

বহরমপুর, 24 মে : লাশকাটা ঘরে বন্দী ছিল ছেলেটা । কিন্তু, নাগরিক কর্তব্য পালন থেকে তিনি সরে আসেননি । অতি পছন্দের অধীর চৌধুরিকে ভোট দেওয়ার জন্য যেন বুকে পাথর রেখেছিলেন । আজ নিজের জয়ের পর সেই সন্তানহারা মায়ের কাছেই ছুটে গেলেন বহরমপুরের 'বেতাজ বাদশা' ।

দিনটা 29 এপ্রিল । বহরমপুরে ভোট । ভোট দিতে গেছিলেন রেনুকা মার্ডি । কিন্তু, তখন ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন । বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসেন রেনুকা । বাড়ি ফিরে দেখেন ছোটো ছেলের ঝুলন্ত দেহ । হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । তারপরই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ জানায়, দুপুর তিনটের সময় ময়নাতদন্ত হবে । কিন্তু, সময় নষ্ট করতে চাননি রেনুকাদেবী । ছুটে গেছিলেন ভোট দিতে, বলা ভালো অধীরকে ভোট দিতে । ভোটও দেন তিনি ।

সব খবর শুনে ভোটের পর দিনই সন্তানহারা মায়ের কাছে ছুটে গেছিলেন অধীর । পাশে থাকার আশ্বাস জুগিয়েছিলেন । পরে জানা যায়, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই নিজেকে শেষ করে দেন বছর ঊনিশের রজত । তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না, সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন রজত ।

ভিডিয়োয় দেখুন

গতকালই ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে । মোদি ঝড়ে গোটা বাংলা যখন টলমল, বহরমপুর তখনও অধীরের । আর তার পরই আজ কৃতজ্ঞতা জানাতে রেনুকাদেবীর বাড়িতে ছুটে যান কংগ্রেস সাংসদ । বলেন, ''সেরা ভোটার কি না জানি না । সন্তানকে মর্গে রেখে ভোট দেওয়ার ঘটনা আমি সারা জীবন মনে রাখব । আর কোন জনপ্রতিনিধি এই সম্মান পেয়েছেন বলে আমার জানা নাই ।'' আর রেনুকাদেবী বললেন, ''ছেলেকে কোনও দিন ফিরে পাব না । দাদা জিতেছেন । আমার ভোট কাজে লেগেছে তাতেই শান্তি ।'' তিনি আরও বলেন, ''১৯৯৮ সালে জমি সংক্রান্ত সমস্যার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অধীরবাবু । সে জন্য দাদার প্রতি আমি আজও কৃতজ্ঞ ।''

sample description
Last Updated : May 24, 2019, 7:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.