সামশেরগঞ্জ, 1 এপ্রিল: স্ত্রীকে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত স্বামীকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করতে গিয়েছিল পুলিশ ৷ সেখানেই পুলিশের সামনেই মুহূর্তেই নিজের পেটে ধারাল অস্ত্রের কোপ দিল অভিযুক্ত যুবক ৷ তাঁর নাম শাহ আলম । শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের শেরপুরে । ইতিমধ্যেই গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । পরে পরিস্থিতি আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে বহরমপুর রেফার করা হয়েছে ।
তবে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কীভাবে একজন অপরাধী নিজের পেটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করল, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন । এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, কয়েকদিন আগেই সামশেরগঞ্জের শেরপুরে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বিড়ি বাঁধা অবস্থায় গর্ভবতী স্ত্রী মোসলেমা খাতুনকে পেটে ও পিঠে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে পেশায় কষাই শাহ আলমের বিরুদ্ধে । ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে । পরের দিনই অভিযুক্ত শাহ আলমকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ।
শনিবার সেই ঘটনার পুননির্মাণ করার উদ্দেশ্যে শাহ আলমকে নিয়ে শেরপুর গ্রামে মৃত মোসলেমা খাতুনের বাড়িতে যায় পুলিশ । সেখানেই কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নিজের পেটেই ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত । গুরুতর জখম অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ হেফজতে থাকা অভিযুক্তের কাছে কীভাবে ধারাল অস্ত্র পৌঁছল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । পুরো বিষয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে পুলিশকে । কীভাবে অস্ত্র এল তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।