কলকাতা, 9 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলায় রায় দেওয়ার দিন ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত ৷ বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী 18 জানুয়ারি এই মামলায় রায় দেওয়া হবে ৷ বিচারক জানিয়েছেন, সেদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি রায় দেবেন ৷
গত 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ ৷ অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ পুলিশি তদন্তের শুরুতেই সঞ্জয় রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় ৷ সঞ্জয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৷
কিন্তু শুরু থেকেই এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কলকাতা পুলিশকে ৷ তদন্তে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরজি করের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নির্যাতিতার মা-বাবাও ৷ এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় ৷ আদালত সিবিআইকে তদন্তভার দেয় ৷ তার পর সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই ৷
পরে সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷ চার্জগঠনের পর শুরু হয় বিচার ৷ সেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার 60 দিনের মাথায় রায়দানের দিন ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত ৷ ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারও 9 তারিখ ৷ ঘটনাটিও ঘটে 9 তারিখ ৷ অগস্ট থেকে জানুয়ারি, ঠিক পাঁচমাস পর এই মামলার রায় কবে বের হবে, সেই দিন জানা গেল ৷
এদিন দুপুরে সঞ্জয় রায়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয় । তাঁর সামনেই রায়দানের দিন ঘোষণা করেন বিচারক ৷ সেদিনও তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে ৷ আর সেদিন আদালত কী রায় দেয়, সেই আগ্রহ তৈরি হল এদিন থেকেই ৷
তবে রায়দান হলেই এই মামলার তদন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে না ৷ কারণ, এই মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে ৷ যদিও তাঁরা জামিন পেয়েছেন এই মামলায় ৷ কারণ, সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি ৷ আগামিদিনে সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কি না, কিংবা এই মামলায় আর কেউ গ্রেফতার হন কি না, সেটাই দেখার ৷