হায়দরাবাদ, 7 অগস্ট: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার পুকুর থেকে কিশোরীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রবিবার ৷ সোমবার সকালে ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ উদ্ধার করা হয় নিহত পড়ুয়ার দেহের বাকি অংশ ৷ ঘটনায় অভিযুক্তকে কান্দি আদালতে তোলা হলে পুলিশ 14 দিনের হেফাজত চেয়েছিল ৷ তবে বিচারক ধৃতকে 7 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302/201 ধারায় রুজু হয়েছে মামলা ৷
কান্দি কোর্টের অ্যাসিস্ট্যন্ট পাবলিক প্রসিকিউটার বলেন, "এসিজিএম ভাস্কর মজুদারের এজলাসে 7 দিনের হেফাজত দেওয়া হল। এটি অত্যন্ত দুর্লভ ঘটনা। পুলিশ দেহাংশ উদ্ধার করার পর মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আসামী একা ছিল নাকি, সঙ্গে কেউ ছিল সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।"
মৃতার দাদা অভিযোগ করে বলেছেন, "অভিযুক্তের সঙ্গে অনেকদিন প্রেম ছিল ৷ বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল ৷ আমরা বাড়ি থেকে মেনে নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু এমন ঘটনা হবে বুঝতে পারিনি ৷ আমি অভিযুক্তর কঠিন শাস্তি চাই ৷ ঠিক যেভাবে অভিযুক্ত আমার বোনকে মেরেছে, আমি তো মারতে পারব না ৷ তাই চাই অভিযুক্তর ফাঁসি হোক ৷"
অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে জানায়, কিশোরী তার উপর প্রথমে আঘাত করে ৷ তাই সে তাঁকে খুন করেছে। সে একাই খুন করেছে বলেও জানায় অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কিশোরীর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। বড়ঞার মল্লিকপুর গ্ৰামের বাসিন্দা অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর 7 বছর ধরে সম্পর্ক ছিল ৷ পুলিশ অভিযুক্তকে তার বাড়ি থেকেই গ্ৰেফতার করে। পরে ধৃতকে জেরা করতেই বেড়িয়ে আসে মৃতার নাম পরিচয় ও খুনের কারণ। নিজের মুখে প্রেমিক স্বীকার করে নিয়েছে যে খুন সেই করেছে।
আরও পড়ুন: সন্তানকে ছুড়ে ফেলার ভয় দেখিয়ে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার অসমের 2 যুবক
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শনিবার অভিযুক্ত কিশোরী পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তুলে নিয়ে আসে ৷ তারপরেই রাতে ঘটে এমন নৃশংস ঘটনা। তবে খুনের কারণ খোলসা করেনি পুলিশ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক দুই পরিবারই জানত এবং মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কেন এমন কাণ্ড ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না ৷