মালদা, 14 মে: যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহর সহ শ্বশুরবাড়ির সাত জনের বিরুদ্ধে । অভিযোগ, ওই যুবতীকে তাঁর বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা আনতে বলে চাপ দেয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা । এদিকে, যুবতির আব্বা একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি বর্তমানে কেরালায় আটকে রয়েছেন । তাই টাকা না পেয়ে যুবতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল । ঘটনায় শওহর সহ দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। রতুয়া 2 ব্লকের মীরজাতপুর গ্রামের ঘটনা ৷
যুবতির নাম ফুলতারা খাতুন (19) ৷ বাপের বাড়ি মীরজাতপুর গ্রামে ৷ সাত মাস আগে তাঁর নিকাহ্ হয় একই গ্রামের যুবক শেখ আইয়ুবের সঙ্গে ৷ আইয়ুব পেশায় রাজমিস্ত্রি ৷ তিনিও ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন ৷ তবে লকডাউনের আগেই বাড়ি ফিরে আসেন ৷ এখন তাঁর কাজ বন্ধ ৷ অন্যদিকে ফুলতারার আব্বা জামাল খানও পেশায় রাজমিস্ত্রি ৷ তিনি কেরালায় কাজ করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে রয়েছেন ৷ তা জানার পরও ফুলতারার বাবার কাছ থেকে 1 লাখ টাকা আনতে চাপ দেয় তাঁর শওহর ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা । এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ ।
ফুলতারার আত্মীয়দের দাবি, নিকাহের সময় পাত্রপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী পণ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে রেফ্রিজারেটরও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, নিকাহর মাস দুয়েক পর থেকেই বাবার কাছ থেকে 1 লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন শেখ আইয়ুব ও তাঁর বাড়ির সদস্যরা ৷ এরপরই যুবতির উপর অত্যাচার শুরু হয় ৷ অশান্তির কারণে ফুলতারাকে বাড়ি নিয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা । গ্রামে সালিশি সভাও বসে ৷ যেখানে শেখ আইয়ুব দাবি করে, তিনি তাঁর শ্বশুরকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন ৷ যদিও পরে ভুল স্বীকার করে মিটমাট করতে চান শেখ আয়ুব ৷ এরপর যুবতিকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরানো হয়। কিন্তু, কিছুদিন পর 1 লাখ টাকার দাবিতে ফের অত্যাচার শুরু হয় ফুলতারা খাতুনের উপর। শেষ পর্যন্ত গতরাতে তাঁকে মারধর করে ও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় শেখ আইয়ুব সহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায় ৷
ফুলতারা খাতুনের চাচা আনেশ খান বলেন, "1 লাখ টাকা না পেয়ে ওরা আমাদের মেয়েকে খুন করল । আমরা চাই আমাদের মেয়ের খুনে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ৷"