ETV Bharat / state

ফোন নম্বর না দেওয়ায় সংরক্ষিত কামরায় যুবতির শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার যুবক

চলন্ত ট্রেনে যুবতিকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক । মালদাগামী গৌড় এক্সপ্রেসের S-8 সংরক্ষিত কামরার ঘটনা ।

যুবক
author img

By

Published : Jun 22, 2019, 10:31 PM IST

Updated : Jun 22, 2019, 11:17 PM IST

মালদা, 22 জুন : চলন্ত ট্রেনে যুবতিকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল । এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গতরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদাগামী গৌড় এক্সপ্রেসের S-8 সংরক্ষিত কামরায় । অভিযুক্ত যুবকের নাম চিরঞ্জিৎ দাস । আজ তাকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হয় । এই ঘটনার পর ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।

গতরাতে গৌড় এক্সপ্রেসে চেপে মালদা আসছিলেন ওই যুবতি ও তাঁর মা । শিয়াদা থেকে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ৭-৮ জন যুবক মদ খেয়ে তাঁদের সিটে এসে বসে । এরপর তারা নিজেদের মধ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে । ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই যুবতির মা আপার বার্থে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন । এরপর চিরঞ্জিৎ ওই যুবতির ফোন নম্বর চায় । যুবতি তাঁর নম্বর না দেওয়ায় চিরঞ্জিত তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । যুবতির চিৎকার শুনে ওই কামরার সহযাত্রীরা চিরঞ্জিৎ ও তার এক বন্ধুকে গণধোলাই দেয় । এরপরে তাদের রেলপুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা । ট্রেন মালদা স্টেশনে পৌঁছানোর পর মালদা GRP থানায় চিরঞ্জিতের নাম অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবতি ।

ভিডিয়োয় শুনুন জে সাহার বক্তব্য

ওই যুবতির এক সহযাত্রী জে সাহা বলেন, "ওই যুবতির মা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আমি ওই যুবকদের সরে যেতে বলি । তখন যুবকরা আমাকে একটি অন্য বার্থে উঠে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় । এর মধ্যে TT এসে ওই যুবকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন । সবাই শুয়ে পড়ার পরেও ওই যুবকরা সারা রাত ধরে কামরায় কার্যত তাণ্ডব চালায় ।" অন্য যাত্রীরা বলেন, "তারাপীঠ স্টেশনের কাছে ট্রেন এলে যাত্রীরা চিরঞ্জিৎ ও তার এক বন্ধু সম্রাট দাসকে ধরে ফেলেন । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকি যুবকরা তারাপীঠ স্টেশনে নেমে যায় । এরপরেই চিরঞ্জিৎ ও সম্রাটকে বেধড়ক মারধর করেন কামরার যাত্রীরা । পরে তাদের রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।"

মালদা, 22 জুন : চলন্ত ট্রেনে যুবতিকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল । এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গতরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদাগামী গৌড় এক্সপ্রেসের S-8 সংরক্ষিত কামরায় । অভিযুক্ত যুবকের নাম চিরঞ্জিৎ দাস । আজ তাকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হয় । এই ঘটনার পর ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।

গতরাতে গৌড় এক্সপ্রেসে চেপে মালদা আসছিলেন ওই যুবতি ও তাঁর মা । শিয়াদা থেকে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ৭-৮ জন যুবক মদ খেয়ে তাঁদের সিটে এসে বসে । এরপর তারা নিজেদের মধ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে । ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই যুবতির মা আপার বার্থে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন । এরপর চিরঞ্জিৎ ওই যুবতির ফোন নম্বর চায় । যুবতি তাঁর নম্বর না দেওয়ায় চিরঞ্জিত তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । যুবতির চিৎকার শুনে ওই কামরার সহযাত্রীরা চিরঞ্জিৎ ও তার এক বন্ধুকে গণধোলাই দেয় । এরপরে তাদের রেলপুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা । ট্রেন মালদা স্টেশনে পৌঁছানোর পর মালদা GRP থানায় চিরঞ্জিতের নাম অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবতি ।

ভিডিয়োয় শুনুন জে সাহার বক্তব্য

ওই যুবতির এক সহযাত্রী জে সাহা বলেন, "ওই যুবতির মা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আমি ওই যুবকদের সরে যেতে বলি । তখন যুবকরা আমাকে একটি অন্য বার্থে উঠে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় । এর মধ্যে TT এসে ওই যুবকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন । সবাই শুয়ে পড়ার পরেও ওই যুবকরা সারা রাত ধরে কামরায় কার্যত তাণ্ডব চালায় ।" অন্য যাত্রীরা বলেন, "তারাপীঠ স্টেশনের কাছে ট্রেন এলে যাত্রীরা চিরঞ্জিৎ ও তার এক বন্ধু সম্রাট দাসকে ধরে ফেলেন । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকি যুবকরা তারাপীঠ স্টেশনে নেমে যায় । এরপরেই চিরঞ্জিৎ ও সম্রাটকে বেধড়ক মারধর করেন কামরার যাত্রীরা । পরে তাদের রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।"

Intro:মালদা, ২২ জুন : গ্রামে নাকি ভূতের হাওয়া বইছে৷ সেই হাওয়া ১৫ দিন পর পর একজন করে গ্রামবাসীকে মৃত্যুর খাদে ফেলে দিচ্ছে৷ মাহান (ওঝা) জানিয়ে দিয়েছে, আরও অনেকের প্রাণ যাবে৷ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ সেই আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা৷ একবিংশ শতাব্দীতেও এমনই কুসংস্কারের বলি পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত বাসুদেবপুর গ্রাম৷ বিষয়টি জানতে পেরে আজ ওই গ্রামে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা৷ যায় পুলিশও৷ সঙ্গে ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক৷ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেন৷ গোটা ঘটনায় হতবাক জেলাবাসী৷Body:মালদা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বাসুদেবপুর গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত৷ গ্রামে ১৭ ঘর মানুষের বসবাস৷ সেখানেই কিছুদিন ধরে ছড়িয়েছে ভূতের হাওয়ার গুজব৷ সেই গুজবের জেরে গত ৭ দিনে গ্রাম ছেড়েছে ১২টি পরিবার৷ আরও কয়েকটি পরিবার গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে৷ কী ঘটছে সেই গ্রামে? এক গ্রামবাসী মুন্নি সোরেন জানালেন, "আমার স্বামী দীনেশ মুর্মুও কয়েকদিন আগে মারা গেছে৷ প্রথমে তার সারা শরীরে ব্যথা ছিল৷ ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে ভালোও হয়েছিল৷ কিন্তু সে পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছিল না৷ তাই ওকে মাহানের বাড়ি নিয়ে যাই৷ মাহান জানিয়ে দিল, কোনোভাবেই স্বামীকে বাঁচানো যাবে না৷ ওর পেট ফুলে গিয়েছিল৷ ধান কাটতে গিয়েই ওর অসুখ হয়েছিল৷ আমাকেও কিছু বলত না৷ শুধু বলত, আমাকে আর বাঁচাতে পারবি না৷ হাওয়া বাতাস তো ছিলই, তার সঙ্গে স্বামী নেশাও করত৷ নেশা খেয়েই বোধহয় ও মরে গেল৷ প্রাণের ভয়ে গ্রামের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে৷ মাহান বলে দিয়েছে, গ্রামে আরও লোক মরবে৷ সেকথা শোনার পরেই গ্রাম ছাড়ছে সবাই৷ আমিও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম৷ আজই ফিরে এসেছি৷"
         গ্রামের বাসিন্দা মুসা কিসকুও আজ গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, "১৫ দিন পর পর একটা করে লোক মরে যাচ্ছে৷ সবার একই রোগ৷ একইভাবে মরছে সবাই৷ গ্রামে থাকতে ভয় লাগছে৷ তাই আজই বাড়ির সবাইকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাব ঠিক করেছি৷" পাশের গ্রাম শুকানদিঘির এক বাসিন্দা, ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মীরাম হাঁসদা বলেন, "আজ সকালেই শুনেছি গ্রামের সবাই মারা যাওয়ার ভয়ে পালাচ্ছে৷ এসে দেখি সব ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে৷ এখন গ্রামে ৩-৪ ঘর লোক আছে৷ বাকি সবাই পালিয়েছে৷ গ্রাম এখন শ্মশানের রূপ নিয়েছে৷ তবে সম্ভবত জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা যাচ্ছে৷ আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে গোটা ঘটনা জানিয়েছি৷ আজ প্রশাসনের লোকজন এসেছে৷"
Conclusion:ঘটনাটি জানতে পেরে আজ বাসুদেবপুর গ্রামে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা৷ গ্রামে যায় মালদা থানার পুলিশও৷ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ ভূত বলে যে কিছু নেই, তা তাঁরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ গ্রামের পানীয় জলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়৷ যদিও আজ প্রশাসনের কেউ এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি৷
Last Updated : Jun 22, 2019, 11:17 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.