ETV Bharat / state

Malda Death Case: স্বামীর মৃত্যুতে রহস্য, কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের আর্জি স্ত্রী'র

মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা আফজল খান (51) ৷ মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয় (Malda man died in Mumbai) ৷ মৃত্যুর আসল কারণ জানতে তাঁর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়েছেন আফজলের স্ত্রী (a widow in Malda demands post mortem of her husband body)৷

Malda Death Case
ETV Bharat
author img

By

Published : Sep 16, 2022, 9:05 PM IST

Updated : Sep 16, 2022, 9:19 PM IST

মালদা, 16 সেপ্টেম্বর: সন্দেহটা আগেই হয়েছিল ৷ স্বামীর মৃতদেহ কবর দেওয়ার পর সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ৷ স্ত্রীর ধারণা, তাঁর স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ তাই সামাজিক বাধা দূরে সরিয়ে রেখেই তিনি স্বামীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করাতে চান (Malda Death Case) ৷ বিষয়টি লিখিতভাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় থানায় জানিয়েছেন সাবিনা খাতুন নামে ওই মহিলা ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক (a widow in Malda demands post mortem of her husband body) ৷

মৃত ব্যক্তির নাম আফজল খান (51) ৷ বাড়ি কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের পঞ্চানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেহের্দিটোলা গ্রামে ৷ আফজল মুম্বইয়ে মাছের ব্যবসা করতেন ৷ গত 8 সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি ৷ বিমানে তাঁর মরদেহ এনে পরদিন বাড়ির কাছেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয় (Malda man died in Mumbai) ৷

কিন্তু আফজালের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন-সহ পরিবারের সদস্যরা ৷ ইটিভি ভারত-কে সাবিনা বলেন, “6 সেপ্টেম্বর সকাল ছ'টায় স্বামীর সঙ্গে আমার প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় ৷ বেলা 11টায় উনি ফের ফোন করেন ৷ ছেলের সঙ্গে কথা বলেন ৷ দুপুর একটায় ফের ওনার ফোন আসে ৷ কিন্তু আমি ধরার আগেই ফোন কেটে যায় ৷ তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও আর ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি ৷ সন্ধে ছ'টায় আমি ফের ওনাকে ফোন করি ৷ তখন সওকত ফোন ধরে বলে, সে আমার স্বামীকে হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছে ৷ তাঁর অবস্থা ভালো নয়৷ সওকত আমার কাছে 50-60 হাজার টাকা চেয়ে পাঠায়৷ সেই টাকা জোগাড় করে ওকে পাঠিয়ে দিই ৷"

স্বামীর মৃত্যুতে রহস্য, কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের আর্জি স্ত্রী'র

আরও পড়ুন: নার্সিংহোম থেকে উধাও বৃদ্ধ রোগী ! পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পরিবার

তিনি আরও বলেন, "8 সেপ্টেম্বর সকালে স্বামীর মৃত্যুর খবর পাই ৷ পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, 6 তারিখ দুপুরে আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল ৷ আমার সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ মুম্বইয়ে আমার স্বামীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি ৷ আমি চাই, কবর থেকে তুলে ওর দেহের ময়নাতদন্ত করা হোক ৷ এই বিষয়টি লিখিতভাবে আমি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় মোথাবাড়ি থানায় সেই আর্জি জানিয়েছি ৷ আমি স্বামীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই ৷”

অন্যদিকে, আফজল খানের দাদা আকমাউল হক বলছেন, “ভাই 2018 সাল থেকে মুম্বইয়ে মাছের ব্যবসা করত ৷ ইদুজ্জোহায় শেষ বাড়ি এসেছিল ৷ মাসখানেক পর ফের মুম্বইয়ে চলে যায়৷ সেখানে ও সওকতের সঙ্গেই এক ঘরে থাকত ৷ 6 তারিখ সওকত জানায়, ভাইয়ের অবস্থা খারাপ৷ টাকা লাগবে ৷ আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে প্রায় 65 হাজার টাকা ওকে পাঠাই ৷ ও জানায়, অনেক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত একটি হাসপাতালে ভাইকে ভর্তি করা হয়েছে ৷ ভাইয়ের বিষয়ে সওকত একেক সময় একেক কথা বলতে থাকে ৷ আমাদের সন্দেহ হয় ৷ এলাকার একজনকে প্লেনের টিকিট কেটে মুম্বইয়ে পাঠাই ৷ সওকত লোক পাঠাতে বারণ করে ৷ পরদিন সকালে সওকত জানায়, ভাই মারা গিয়েছে ৷ ততক্ষণে আমাদের লোক মুম্বইয়ে চলে গিয়েছে ৷ নির্দিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে সে ভাইকে দেখতে পায়নি ৷ তখন সওকত তাকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলে ৷ সে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখে, ততক্ষণে ভাইয়ের দেহ কফিনবন্দি করে ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে আমাদের লোকেরও সন্দেহ হয় ৷ আমরা এই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই ৷"

এদিন সওকত আলিকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি ৷ তিনি কোথায়, তাও বলতে পারেননি কেউ ৷ তবে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, এমন আর্জির খবর তাঁর কাছে এখনও আসেনি ৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন৷ তারপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷

মালদা, 16 সেপ্টেম্বর: সন্দেহটা আগেই হয়েছিল ৷ স্বামীর মৃতদেহ কবর দেওয়ার পর সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ৷ স্ত্রীর ধারণা, তাঁর স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ তাই সামাজিক বাধা দূরে সরিয়ে রেখেই তিনি স্বামীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করাতে চান (Malda Death Case) ৷ বিষয়টি লিখিতভাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় থানায় জানিয়েছেন সাবিনা খাতুন নামে ওই মহিলা ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক (a widow in Malda demands post mortem of her husband body) ৷

মৃত ব্যক্তির নাম আফজল খান (51) ৷ বাড়ি কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের পঞ্চানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেহের্দিটোলা গ্রামে ৷ আফজল মুম্বইয়ে মাছের ব্যবসা করতেন ৷ গত 8 সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি ৷ বিমানে তাঁর মরদেহ এনে পরদিন বাড়ির কাছেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয় (Malda man died in Mumbai) ৷

কিন্তু আফজালের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন-সহ পরিবারের সদস্যরা ৷ ইটিভি ভারত-কে সাবিনা বলেন, “6 সেপ্টেম্বর সকাল ছ'টায় স্বামীর সঙ্গে আমার প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় ৷ বেলা 11টায় উনি ফের ফোন করেন ৷ ছেলের সঙ্গে কথা বলেন ৷ দুপুর একটায় ফের ওনার ফোন আসে ৷ কিন্তু আমি ধরার আগেই ফোন কেটে যায় ৷ তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও আর ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি ৷ সন্ধে ছ'টায় আমি ফের ওনাকে ফোন করি ৷ তখন সওকত ফোন ধরে বলে, সে আমার স্বামীকে হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছে ৷ তাঁর অবস্থা ভালো নয়৷ সওকত আমার কাছে 50-60 হাজার টাকা চেয়ে পাঠায়৷ সেই টাকা জোগাড় করে ওকে পাঠিয়ে দিই ৷"

স্বামীর মৃত্যুতে রহস্য, কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের আর্জি স্ত্রী'র

আরও পড়ুন: নার্সিংহোম থেকে উধাও বৃদ্ধ রোগী ! পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পরিবার

তিনি আরও বলেন, "8 সেপ্টেম্বর সকালে স্বামীর মৃত্যুর খবর পাই ৷ পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, 6 তারিখ দুপুরে আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল ৷ আমার সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ মুম্বইয়ে আমার স্বামীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি ৷ আমি চাই, কবর থেকে তুলে ওর দেহের ময়নাতদন্ত করা হোক ৷ এই বিষয়টি লিখিতভাবে আমি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় মোথাবাড়ি থানায় সেই আর্জি জানিয়েছি ৷ আমি স্বামীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই ৷”

অন্যদিকে, আফজল খানের দাদা আকমাউল হক বলছেন, “ভাই 2018 সাল থেকে মুম্বইয়ে মাছের ব্যবসা করত ৷ ইদুজ্জোহায় শেষ বাড়ি এসেছিল ৷ মাসখানেক পর ফের মুম্বইয়ে চলে যায়৷ সেখানে ও সওকতের সঙ্গেই এক ঘরে থাকত ৷ 6 তারিখ সওকত জানায়, ভাইয়ের অবস্থা খারাপ৷ টাকা লাগবে ৷ আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে প্রায় 65 হাজার টাকা ওকে পাঠাই ৷ ও জানায়, অনেক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত একটি হাসপাতালে ভাইকে ভর্তি করা হয়েছে ৷ ভাইয়ের বিষয়ে সওকত একেক সময় একেক কথা বলতে থাকে ৷ আমাদের সন্দেহ হয় ৷ এলাকার একজনকে প্লেনের টিকিট কেটে মুম্বইয়ে পাঠাই ৷ সওকত লোক পাঠাতে বারণ করে ৷ পরদিন সকালে সওকত জানায়, ভাই মারা গিয়েছে ৷ ততক্ষণে আমাদের লোক মুম্বইয়ে চলে গিয়েছে ৷ নির্দিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে সে ভাইকে দেখতে পায়নি ৷ তখন সওকত তাকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলে ৷ সে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখে, ততক্ষণে ভাইয়ের দেহ কফিনবন্দি করে ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে আমাদের লোকেরও সন্দেহ হয় ৷ আমরা এই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই ৷"

এদিন সওকত আলিকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি ৷ তিনি কোথায়, তাও বলতে পারেননি কেউ ৷ তবে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, এমন আর্জির খবর তাঁর কাছে এখনও আসেনি ৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন৷ তারপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷

Last Updated : Sep 16, 2022, 9:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.