ETV Bharat / state

ভোটপ্রচারের অস্ত্র হোক পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাত, কর্মীদের বার্তা BJP-র

"পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে এদেশের জওয়ানদের হত্যা করেছে, তার বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রত্যাঘাত করেছে। এতে সারা বিশ্বে ভারতের নাম একটি অন্য জায়গায় উঠে এসেছে।"

BJP-র কর্মীসভা
author img

By

Published : Mar 6, 2019, 8:38 PM IST

মালদা, ৬ মার্চ : নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের ধস মেরামত করতে লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। আর তাদের নিশানার প্রথম দিকেই রয়েছে উত্তরবঙ্গের আসনগুলি। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের কাছে এটা এখন স্পষ্ট। তার কাজও শুরু করে দিয়েছে BJP। আজ থেকে তারা শুরু করেছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শিবির। মালদা থেকেই উত্তরবঙ্গের শিবির করার কাজ শুরু হয়েছে। শিবিরে অংশ নেওয়া দলীয় কর্মীদের পই পই করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তুলে ধরতে হবে পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাতের প্রসঙ্গ।

লোকসভা ভোটে নিজেদের নকশা তৈরি করতে আজ মালদা শহরের একটি বেসরকারি লজে BJP-র নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, উত্তরবঙ্গ সহকারী সংগঠন সম্পাদক কিশোর বর্মণ, উত্তরবঙ্গ জ়োনের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু প্রমুখ। ছিলেন দলের মালদা জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র সহ অন্য নেতৃত্বও। এবারের নির্বাচনে BJP বুথ ভিত্তিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। সূত্রের খবর, আজকের শিবিরে অরবিন্দ মেনন দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তৃণমূলের ভয়ে পিছিয়ে আসা চলবে না। সামনে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। শাসকদলের বাধা সরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। প্রত্যেক BJP কর্মীকে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে।

BJP-র এই শিবিরে আজ সংবাদমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। অরবিন্দ মেনন সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হননি। তবে রথীন্দ্রবাবু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের প্রতিটিতে আমরা নিজেদের সংগঠন আরও শক্তিশালী করার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। এর আগের কর্মসূচিতে আমরা বাইক মিছিল করেছিলাম। সেই কর্মসূচিতে আমরা সারা রাজ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছি। যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছি তা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করার জন্য আমরা এবার বুথের উপর স্তরে অর্থাৎ ৫ থেকে ৭টি বুথ নিয়ে আমরা শক্তিকেন্দ্র করেছি। সেই শক্তিকেন্দ্রগুলি যারা পরিচালনা করছেন, তাঁদের নিয়েই আজ আমরা এই শিবির করছি। আসন্ন লোকসভা ভোট কীভাবে পরিচালনা করা হবে, তা আজকের শিবিরে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোটে আমাদের স্লোগান কী হবে, কী ইশু নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাব, সেসব বিষয়ই আজ শিবিরে আলোচনা হচ্ছে। আজ থেকে উত্তরবঙ্গে এই কর্মসূচি শুরু হল। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হবে কোচবিহারে।"

undefined

রথীন্দ্রবাবু আরও বলেন, "পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে এদেশের জওয়ানদের হত্যা করেছে, তার বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রত্যাঘাত করেছে। এতে সারা বিশ্বে ভারতের নাম একটি অন্য জায়গায় উঠে এসেছে। সারা বিশ্ব আজ ভারতের পাশে। ভোটে তাঁরা এবিষয়টিকে ইশু করছেন। দলীয় কর্মীরা মানুষের কাছে গিয়ে এই বিষয় তুলে ধরবেন। এছাড়া নরেন্দ্র মোদি সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের জন্য যেসব কাজ করেছেন, তাও নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরা হবে।" রথীন্দ্রবাবুর আরও সংযোজন, "মানুষ এখন আর তৃণমূলের পাশে নেই। এই রাজ্যের মানুষ এখন পরিবর্তন চাইছে। BJP-ই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে। বাম ও তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কোন জায়গায় নিয়ে গেছে, তা মানুষ বুঝতে পারছে। তাই মানুষ এখন বিকল্প হিসাবে BJP-কেই চাইছে। প্রার্থী ঠিক করবে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, BJP কর্মীরা তাঁকে জেতাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"

মালদা, ৬ মার্চ : নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের ধস মেরামত করতে লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। আর তাদের নিশানার প্রথম দিকেই রয়েছে উত্তরবঙ্গের আসনগুলি। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের কাছে এটা এখন স্পষ্ট। তার কাজও শুরু করে দিয়েছে BJP। আজ থেকে তারা শুরু করেছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শিবির। মালদা থেকেই উত্তরবঙ্গের শিবির করার কাজ শুরু হয়েছে। শিবিরে অংশ নেওয়া দলীয় কর্মীদের পই পই করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তুলে ধরতে হবে পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাতের প্রসঙ্গ।

লোকসভা ভোটে নিজেদের নকশা তৈরি করতে আজ মালদা শহরের একটি বেসরকারি লজে BJP-র নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, উত্তরবঙ্গ সহকারী সংগঠন সম্পাদক কিশোর বর্মণ, উত্তরবঙ্গ জ়োনের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু প্রমুখ। ছিলেন দলের মালদা জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র সহ অন্য নেতৃত্বও। এবারের নির্বাচনে BJP বুথ ভিত্তিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। সূত্রের খবর, আজকের শিবিরে অরবিন্দ মেনন দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তৃণমূলের ভয়ে পিছিয়ে আসা চলবে না। সামনে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। শাসকদলের বাধা সরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। প্রত্যেক BJP কর্মীকে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে।

BJP-র এই শিবিরে আজ সংবাদমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। অরবিন্দ মেনন সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হননি। তবে রথীন্দ্রবাবু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের প্রতিটিতে আমরা নিজেদের সংগঠন আরও শক্তিশালী করার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। এর আগের কর্মসূচিতে আমরা বাইক মিছিল করেছিলাম। সেই কর্মসূচিতে আমরা সারা রাজ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছি। যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছি তা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করার জন্য আমরা এবার বুথের উপর স্তরে অর্থাৎ ৫ থেকে ৭টি বুথ নিয়ে আমরা শক্তিকেন্দ্র করেছি। সেই শক্তিকেন্দ্রগুলি যারা পরিচালনা করছেন, তাঁদের নিয়েই আজ আমরা এই শিবির করছি। আসন্ন লোকসভা ভোট কীভাবে পরিচালনা করা হবে, তা আজকের শিবিরে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোটে আমাদের স্লোগান কী হবে, কী ইশু নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাব, সেসব বিষয়ই আজ শিবিরে আলোচনা হচ্ছে। আজ থেকে উত্তরবঙ্গে এই কর্মসূচি শুরু হল। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষ হবে কোচবিহারে।"

undefined

রথীন্দ্রবাবু আরও বলেন, "পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে এদেশের জওয়ানদের হত্যা করেছে, তার বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রত্যাঘাত করেছে। এতে সারা বিশ্বে ভারতের নাম একটি অন্য জায়গায় উঠে এসেছে। সারা বিশ্ব আজ ভারতের পাশে। ভোটে তাঁরা এবিষয়টিকে ইশু করছেন। দলীয় কর্মীরা মানুষের কাছে গিয়ে এই বিষয় তুলে ধরবেন। এছাড়া নরেন্দ্র মোদি সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের জন্য যেসব কাজ করেছেন, তাও নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরা হবে।" রথীন্দ্রবাবুর আরও সংযোজন, "মানুষ এখন আর তৃণমূলের পাশে নেই। এই রাজ্যের মানুষ এখন পরিবর্তন চাইছে। BJP-ই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে। বাম ও তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কোন জায়গায় নিয়ে গেছে, তা মানুষ বুঝতে পারছে। তাই মানুষ এখন বিকল্প হিসাবে BJP-কেই চাইছে। প্রার্থী ঠিক করবে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, BJP কর্মীরা তাঁকে জেতাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"

Intro:মালদা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : নিজের বাড়িতে ভাইপোকে হেরোইনের নেশা করতে বাধা দিয়েছিলেন পিসি৷ বাধা পেয়ে ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে পিসির উপর হামলা চালায় ভাইপো৷ মা’কে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পিসতুতো দিদিও৷ শুধু তাই নয়, নেশাতুর যুবককে আটকাতে গিয়ে জখম হয়েছেন কয়েকজন গ্রামবাসীও৷ এরপরেই জনরোষ আছড়ে পড়ে ওই যুবকের উপর৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ৷ কিন্তু গ্রামবাসীদের হাতে ঘেরাও হয়ে যান পুলিশকর্মীরা৷ কোনোরকমে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়৷ রবিবাসরীয় সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চর কাদিরপুর গ্রামে৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে আহত ৩ জন মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন৷ Body:চর কাদিরপুরের বাসিন্দা বাপি মণ্ডল৷ বয়স ২৬৷ সে বিবাহিত৷ বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে একটি ছোটো মেয়ে৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই গোরু পাচার, চুরি সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত বাপি৷ প্রতিদিন হেরোইনের নেশা না করলে তার চলে না৷ অসামাজিক কাজকর্মের জন্য সম্প্রতি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ তার জেল হয়৷ কয়েকদিন আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে৷ বাড়ি ফিরেই স্বমূর্তি ধারণ করেছে সে৷
         পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে পিসির বাড়ি যায় বাপি৷ কাদিরপুর গ্রামেই তার পিসি দময়ন্তী ঘোষের বাড়ি৷ পিসির বাড়ি গিয়ে সে হেরোইনের নেশা করার প্রস্তুতি নেয়৷ তা দেখতে পেয়ে তাকে বাধা দেন দময়ন্তীদেবী৷ তিনি ভাইপোকে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর বাড়িতে কোনও নেশা করা চলবে না৷ বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাপি৷ সেখানে থাকা একটি ধারালো হাঁসুয়া তুলে নিয়ে হামলা চালায় পিসির উপর৷ হাঁসুয়ার কোপ বসিয়ে দেয় পিসির মাথায়৷ দময়ন্তীদেবীর চিৎকারে ছুটে আসেন তাঁর মেয়ে টুম্পা৷ তিনি বাপিকে নিরস্ত করতে গেলে তিনিও ভাইয়ের আক্রমণের শিকার হন৷ ততক্ষণে সেখানে ছুটে এসেছেন পাড়ার লোকজন৷ গ্রামবাসীদের দেখে বাপি যেন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে৷ ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে সবাইকে তাড়া করতে শুরু করে৷ হাঁসুয়ার আঘাত লাগে কয়েকজন গ্রামবাসীর৷ তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা৷ শুরু হয় গণপ্রহার৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মালদা থানার পুলিশকর্মীরা৷ বাপিকে নিজেদের হেপাজতে নিতে গেলে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় পুলিশকর্মীদের৷ কোনোরকমে তাঁরা বাপিকে নিজেদের হেপাজতে নেন৷ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা থানায়৷ পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাপিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ বর্তমানে দময়ন্তীদেবী ও টুম্পাও মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন৷
         ঘটনাপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “গ্রামের একজনের মুখে শুনি, বাপি নেশা করতে আজ তার পিসির বাড়িতে গিয়েছিল৷ সে তার পিসতুতো দিদির ঘরে ঢুকে নেশা করছিল৷ সেই সময় তার পিসি তাকে বাধা দেয়৷ সেকথা শুনেই বাপি নিজের পিসিকে হাঁসুয়া নিয়ে কুপিয়ে দেয়৷ মাকে বাঁচাতে গেলে সে তার দিদিকেও হাঁসুয়ার কোপ মারে৷ ওই দু’জন এখন মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন৷ গ্রামের লোকজন বাপিকে বাধা দিতে গেলে সে একদিক থেকে সবাইকে মারতে মারতে আসছিল৷ তখন গ্রামের কয়েকজন ছেলে তাকে তাড়া করে৷ বাপি তাদের ২-৩ জনকেও মেরেছে৷ এনিয়ে গ্রামে গোলমাল বাধে৷ বাপির বিরুদ্ধে ছিনতাই, খুন, চোরাপাচার, হেরোইন কিংবা ব্রাউন শ্যুগারের মতো নেশা করা এবং সেসব বিক্রি করার মতো অভিযোগ অনেকদিন থেকেই রয়েছে৷ যত ধরনের অসামাজিক কাজ রয়েছে, সেসব কাজে বাপি জড়িত৷ আজ আর ১০ মিনিট সময় পেলে আমাদের ভালো হত৷ তাহলে ধুয়ে মুছে সব সাফ করে দিতাম৷ এর মধ্যে পুলিশ চলে আসায় আর তা করা যায়নি৷ পুলিশের কাছে একটাই আবেদন, ওকে যেন ১৫-২০ বছর জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়৷”
         যদিও বাপির স্ত্রী মৌমিতা স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, “গ্রামের একজনের একটি টোটো হারিয়ে গেছে৷ এখন সেই ঘটনার দায় আমার স্বামীর উপর দেওয়া হচ্ছে৷ গ্রামের লোকজন রাগের মাথায় আমার স্বামী সম্পর্কে নানা কথা বলছে৷ আজ আমার স্বামী কোনও নেশা করতে পিসির বাড়ি যায়নি৷ সেখানে অন্য লোক নেশা করছিল৷ তার দায় আমার স্বামীর উপর চাপানো হয়েছে৷ আমার স্বামীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ কোন কালে কে খুন হয়েছে, তার দায়ও আমার স্বামীর উপর চাপানো হচ্ছে৷ এটা ঠিক নয়৷”
Conclusion:মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, আজ চর কাদিরপুর গ্রামে জনরোষের হাত থেকে এক যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে৷ আপাতত ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেলে পুলিশি প্রহরায় ভর্তি করা হয়েছে৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অভিযোগ দায়ের হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.