মালদা, 29 অক্টোবর: প্রসূতি ও শিশুদের দেওয়া হচ্ছে পচা ডিম ৷ এই অভিযোগে আজ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে সেই ডিম ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের তুলসিহাটা পঞ্চায়েতের পূর্ব-পশ্চিম রাড়িয়াল গ্রামের একটি কেন্দ্রে ৷ ওই কেন্দ্রের সুপারভাইজার পচা ডিমের বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রের রাঁধুনিদের উপর ৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লকের সিডিপিও ৷
অভিযোগ, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ওই কেন্দ্র থেকে প্রসূতি ও শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছিল ৷ তা নিয়ে গ্রামে বিক্ষোভও হয় ৷ গোটা বিষয়টি মৌখিকভাবে চাঁচলের মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু সমস্যা মেটা তো দূরের কথা, উলটে বেড়েছে ৷ এবার নিম্নমানের খাবারের সঙ্গে জুড়েছে পচা ডিম (Villagers protest in ICDS centre due to rotten eggs) ৷ অথচ এই সেন্টারের উপরেই নির্ভর করেন দু'টি গ্রামের মানুষ ৷
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন আসরাফি বলেন, "এই কেন্দ্রে আজ পচা ডিম দেওয়া হয়েছে ৷ যত ডিম দেওয়া হয়েছে তার 90 শতাংশই পচা ৷ আজ আমি নিজে সব খতিয়ে দেখেছি ৷ আমি প্রশাসনের কাছে সরকারি জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার চালু করার আবেদন জানাব ৷ তাহলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ৷"
গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ দাস বলেন, "নিম্নমানের খাবার দেওয়ায় মাস তিনেক আগে আমি নিজে চাঁচলের মহকুমাশাসককে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম ৷ কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি ৷ আজ প্রায় সব ডিমই পচা দেওয়া হয়েছে ৷ এ নিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে ৷ তাদের কাছে খবর পেয়েই আমি এখানে দেখতে এসেছি ৷ একটা পেটিতে সব ডিম খারাপ থাকতে পারে না ৷ এখানে খাবার নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে ৷"
যদিও গোটা ঘটনার দায় রাঁধুনিদের উপর চাপিয়েছেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত লীলা দাস ৷ তিনি বলেন, "আমি তো পেটিতে ঢুকে দেখিনি ! প্রতিদিনই ডিম দেওয়া হয় ৷ আজ রাঁধুনি আমাকে জানায়, জলে ডিম ভাসছে ৷ ততক্ষণে ডিম সিদ্ধ করে দিয়েছে ৷ রাঁধুনির উচিত ছিল, আগেই খারাপ ডিম সরিয়ে রাখা ৷ আমি দুটো কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছি ৷ তাই সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা সবসময় সম্ভব হয় না ৷ সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবাই জানে ৷"
আরও পড়ুন: ফোঁটা নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ভাইয়ের
হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের সিডিপিও আবদুল সাত্তার বলেন, "ঘটনাটি জানতে পেরেছি ৷ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে ৷ গোটা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি ৷"