মালদা, 27 ডিসেম্বর : কলেজের মধ্যে ঢুকে টিএমসিপির ইউনিট সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল বহিরাগত এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার সামসী কলেজে ৷ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকেও ৷ কলেজের গেটে প্রহরী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বহিরাগতরা ভিতরে ঢুকতে পারছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সব মহলে ৷ ওই প্রহরীকে তলব করা হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷
সামসী কলেজে গত কয়েকদিন ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফর্ম ফিল আপের কাজ চলছে ৷ শনিবার ছিল তার শেষ দিন ৷ স্বাভাবিকভাবেই কলেজে বেশি ভিড় হয়েছিল ৷ একসময় কলেজের প্রশসানিক কক্ষেও ভিড় হয়ে যায় ৷ সেই সময় কলেজে উপস্থিত ছিলেন টিএমসিপির ইউনিট সভাপতি মিসবাহুল আলম জেমস ৷ তিনি অফিসের ভিতর থেকে ভিড় সরাতে উদ্যোগী হন ৷ আবেদনকারীদের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন ৷ তখনই কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র হারুন আল রশিদ লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ সেই দৃশ্য দেখে অন্যরা এগিয়ে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় হারুন ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মিসবাহুলকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টিএমসিপির নেতা-কর্মীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ পরে হারুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিসবাহুল ৷
মিসবাহুল বলেন, “যখন ভিড়ের জন্য কলেজ কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছিল, তখন আমি আবেদনকারীদের অফিসের বাইরে নিয়ে গিয়ে লাইনে দাঁড় করাচ্ছিলাম ৷ তখনই মদ্যপ অবস্থায় হারুন আমাকে প্রথমে গালিগালাজ করে, তারপর লোহার রড দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে ৷ সংগঠনের অন্যরা তা দেখে ছুটে এলে সে কলেজ থেকে পালিয়ে যায় ৷ আমরা গোটা বিষয়টি পুলিশের সঙ্গে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও জানিয়েছি ৷”
অধ্যক্ষ তপন বর্মণ বলেন, “কলেজ গেটে প্রহরী থাকা সত্ত্বেও ওই বহিরাগত কীভাবে ভিতরে ঢুকল তা বোঝা যাচ্ছে না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা ওই প্রহরীকে তলব করব ৷ টিএমসিপির তরফে আমাকে গোটা ঘটনাটি জানানো হয়েছে ৷ আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷”