ETV Bharat / state

গাজোলে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন

মৃত প্রদীপবাবুর শ্যালক ভূপেন রায় বলেন, "গতরাতে খেতে বসেছিলাম । সেই সময় একটি গাড়ি উলটে পড়ার আওয়াজ পেলাম । ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার জামাইবাবু পড়ে রয়েছেন । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । তবে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে জামাইবাবুকে হত্যা করেছে ।"

প্রদীপ রায়
author img

By

Published : Aug 6, 2019, 8:58 PM IST

মালদা, 6 অগাস্ট: গাজোলে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন ৷ মৃতের নাম প্রদীপ রায় ৷ গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে গাজোল থানার পুলিশ ৷

প্রদীপবাবু গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন । গতরাতে তিনি মোটরবাইকে চেপে মাজরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী প্রদীপবাবুর পথ আটকায় । এরপরই তাঁর উপর এলোপাথাড়ি হাঁসুয়ার কোপ মারতে থাকে তারা ৷ প্রদীপবাবুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে ৷ গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

প্রদীপবাবুর শ্যালক ভূপেন রায় বলেন, "গতরাতে খেতে বসেছিলাম । সেই সময় একটি গাড়ি উলটে পড়ার আওয়াজ পেলাম । ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার জামাইবাবু পড়ে রয়েছেন । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । তবে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে জামাইবাবুকে হত্যা করেছে ।"

এদিকে, প্রদীপবাবুর খুনের জন্য BJP-র দিকে আঙুল তুলেছেন ওই গ্রামের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, "গতকাল গাজোলের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ও বুথ সভাপতি প্রদীপ রায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন ৷ গাজোলের মাজরাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ লোকসভা প্রচারের সময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন BJP কর্মী-সমর্থকদের ঝামেলা হয়েছিল ৷ সেই কারণেই তাঁকে খুন করেছে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ চাইছি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি হোক ৷"

যদিও তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল । গোবিন্দবাবু বলেন, "BJP হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । মোদিজির একের পর এক সাফল্যে তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে । গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে । গতকালের ঘটনাও তারই ফল ।"

গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি । আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ।

মালদা, 6 অগাস্ট: গাজোলে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন ৷ মৃতের নাম প্রদীপ রায় ৷ গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে গাজোল থানার পুলিশ ৷

প্রদীপবাবু গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন । গতরাতে তিনি মোটরবাইকে চেপে মাজরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী প্রদীপবাবুর পথ আটকায় । এরপরই তাঁর উপর এলোপাথাড়ি হাঁসুয়ার কোপ মারতে থাকে তারা ৷ প্রদীপবাবুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে ৷ গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

প্রদীপবাবুর শ্যালক ভূপেন রায় বলেন, "গতরাতে খেতে বসেছিলাম । সেই সময় একটি গাড়ি উলটে পড়ার আওয়াজ পেলাম । ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার জামাইবাবু পড়ে রয়েছেন । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । তবে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে জামাইবাবুকে হত্যা করেছে ।"

এদিকে, প্রদীপবাবুর খুনের জন্য BJP-র দিকে আঙুল তুলেছেন ওই গ্রামের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, "গতকাল গাজোলের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ও বুথ সভাপতি প্রদীপ রায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন ৷ গাজোলের মাজরাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ লোকসভা প্রচারের সময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন BJP কর্মী-সমর্থকদের ঝামেলা হয়েছিল ৷ সেই কারণেই তাঁকে খুন করেছে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ চাইছি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি হোক ৷"

যদিও তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল । গোবিন্দবাবু বলেন, "BJP হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । মোদিজির একের পর এক সাফল্যে তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে । গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে । গতকালের ঘটনাও তারই ফল ।"

গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি । আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ।

Intro:মালদা, ৬ অগাস্টঃ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার মাজরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। গাজোল থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।Body:মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম প্রদীপ রায়। প্রদীপবাবু গাজোল থানার মাজরা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। গতকাল রাতে প্রদীপবাবু মোটরবাইকে চেপে মাজরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী প্রদীপবাবুর পথ আটকায়। প্রদীপবাবুর ওপর এলোপাতাড়ি হাঁসুয়ার কোপ মারতে থাকে। প্রদীপবাবুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রদীপবাবুর শ্যালক ভূপেন রায় জানান, গতকাল রাতে খেতে বসেছিলাম। সেই সময় একটি গাড়ি উলটে পড়ার আওয়াজ পেলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার বোন-জামাই পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তবে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে বোন-জামাইকে হত্যা করেছে।
এদিকে, প্রদীপবাবুর খুনের জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন ওই গ্রামের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। গোবিন্দবাবু জানান, বিজেপি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। মোদিজির একের পর এক সাফল্যে তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। গতকালের ঘটনাও তারই ফল।
Conclusion:গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.