মালদা, 6 অগাস্ট: গাজোলে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন ৷ মৃতের নাম প্রদীপ রায় ৷ গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে গাজোল থানার পুলিশ ৷
প্রদীপবাবু গাজোলের মাজরা গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন । গতরাতে তিনি মোটরবাইকে চেপে মাজরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী প্রদীপবাবুর পথ আটকায় । এরপরই তাঁর উপর এলোপাথাড়ি হাঁসুয়ার কোপ মারতে থাকে তারা ৷ প্রদীপবাবুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে ৷ গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
প্রদীপবাবুর শ্যালক ভূপেন রায় বলেন, "গতরাতে খেতে বসেছিলাম । সেই সময় একটি গাড়ি উলটে পড়ার আওয়াজ পেলাম । ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার জামাইবাবু পড়ে রয়েছেন । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । তবে দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে জামাইবাবুকে হত্যা করেছে ।"
এদিকে, প্রদীপবাবুর খুনের জন্য BJP-র দিকে আঙুল তুলেছেন ওই গ্রামের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, "গতকাল গাজোলের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ও বুথ সভাপতি প্রদীপ রায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন ৷ গাজোলের মাজরাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ লোকসভা প্রচারের সময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন BJP কর্মী-সমর্থকদের ঝামেলা হয়েছিল ৷ সেই কারণেই তাঁকে খুন করেছে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ চাইছি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি হোক ৷"
যদিও তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল । গোবিন্দবাবু বলেন, "BJP হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । মোদিজির একের পর এক সাফল্যে তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে । গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে । গতকালের ঘটনাও তারই ফল ।"
গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি । আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ।