কার্শিয়াং, 23 জানুয়ারি: ফের পাহাড়ের রাস্তায় দেখা মিলল কালো চিতাবাঘের। তবে পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থার বলে । এবার কার্শিয়াং বন বিভাগের অধীন চিমনি থেকে বাগোরা যাওয়ার রাস্তায় ওই কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছে ৷ আর সেটি দেখা যেতেই পাহাড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে এক গাড়ি চালক বাগোরা যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই ওই কালো চিতাবাঘের ছবি মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করেন। এই বিষয়ে কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, "পাহাড়ে এর আগেও কালো চিতাবাঘ বা ম্যালানিস্টিক লেপার্ডের (Melanistic Leopard) সন্ধান মিলেছে। এটিরও খবর নেওয়া হচ্ছে । কালো চিতাবাঘ আসলে চিতাবাঘের একটি জেনেটিক মানের কারণ। যে কারণে চিতাবাঘের শরীরে কালো রঙের পরিমাণ বেড়ে যায়।"
তিনি আরও বলেন, "পাহাড়ে কালো চিতাবাঘের সংখ্যা অনেক বেড়েছে । ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কালো চিতাবাঘের সংখ্যা জানতে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে । গ্রামবাসী ও হোম স্টে মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে । তাদের সিসি ক্যামেরাতেও এর আগে ওই কালো চিতাবাঘের ছবি ধরা পরেছে ।"
সম্প্রতি বেশ কয়েকবার পাহাড়ে দেখা মিলেছে এই কালো চিতাবাঘের ৷ গত বছরের 15 অক্টোবর কার্শিয়াংয়ের ওই একই বাগোরা জঙ্গলে দেখা মেলে এক কালো চিতাবাঘের। 16 অক্টোবর ফের কালো চিতাবাঘের দেখা মেলে গিমিকে। তার আগে গত বছরের 7 জুন কার্শিয়াং থেকে 8 কিলোমিটার দূরে চিমনি এলাকার রাস্তায় কালোচিতার দেখা মিলেছিল ৷
এছাড়াও 2023 সালের 24 এপ্রিল, দার্জিলিংয়ের চিত্রে বাজারের কাছে রাস্তা পার হতে দেখা যায় একটি কালো চিতাবাঘকে। তারপর নভেম্বর মাসেও মিরিকে দেখা গিয়েছিল কালোচিতা ৷ 2020 সালে মিরিকের ওকাইতি চা বাগান সংলগ্ন নয় নম্বর ডিভিশনের কাছে রাস্তা পার করার সময় এল কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল। তার আগে 2020 সালে মিরিকেই কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল ৷ এছাড়াও 2022 সালে মানেভঞ্জন সংলগ্ন এলাকায় এক কালো চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়।