কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: শতবর্ষ প্রাচীন সিপিআই রাজ্যে এখন কার্যত অস্তিত্বহীন। বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর থেকে এককভাবে বড় সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি ফ্রন্টের এই শরিককে।
শতবর্ষ পালনের অংশ হিসেবে 5 ফেব্রুয়ারি এককভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিআই। রানি রাসমণি রোডের সভা থেকে জনসমর্থন ফিরে পেতে মরিয়া বামফ্রন্টের এই শরিক দলটি । পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের অস্তিত্বও জাহির করতে চায় তারা।
2026 সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সাংগঠনিক দুর্বলতা যে আছে তা মেনে নিয়েছেন দলের নেতারাও। বিধানসভা ভোটের আগে দলকে নতুন করে চাঙ্গা করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যাতে মানুষের দরজায় পৌঁছনো যায় সেই কাজও শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যেই এবার 5 তারিখ কলকাতায় রানি রাসমণি রোডের সমাবেশ। তার মধ্যে দিয়ে দলের শতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে সিপিআই। সমাবেশে হাজির থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা।
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "শতবর্ষে এসে আমাদের বুঝতে হবে কেন সংগঠন এখনও এতটা দুর্বল। দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। রাজ্যে একটি জনস্বার্থ বিরোধী সরকার চলছে। যার কোনও নীতি নেই। শুধুই নৈরাজ্য। দেশজুড়ে বিজেপি যা করছে রাজ্যে সেই পথেই হাঁটছে তৃণমূল। মুখেই বিজেপি বিরোধিতা শুধু। ফলে আমাদের লড়াই দুই দলের বিরুদ্ধেই। আর তার জন্য দরকার মজবুত সংগঠন। সেই কাজেই এবার ঝাপাচ্ছে দল। শুধু সংগঠন নয়, জন সমর্থন তৈরি কাজও হবে।"
সিপিএম রাজ্যে কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইলেও সিপিআই শুরু থেকেই বিরোধিতা করেছিল। এই সমাবেশ থেকেও সেই বার্তা দিয়ে বাম ঐক্য শক্তিশালী করার ডাক দেবে সিপিআই। তবে সিপিআইয়ের রাজ্যে সম্পাদক ইন্ডিয়া শিবির নিয়েও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। স্বপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, "বিজেপিকে ঠেকাতে যে ইন্ডিয়া শিবির তৈরি হয়েছে বটে তবে সেটা ঠিকভাবে হয়নি।" অনেকটা তৃণমূল নেত্রী মমতা সুরেই তিনি বলেন, "কংগ্রেস ছড়ি ঘোরানোয় জোটের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।"