মালদা, 22 মার্চ : চাঁচলে রাহুল গান্ধির সভা ভন্ডুলের চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের। তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধির সভাস্থল তৈরিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে তারা। দলীয় কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। হুমকি দিয়ে মানুষকে আটকানো যাবে না।"
23 মার্চ মালদা উত্তর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরির সমর্থনে চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে প্রচারে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধি। সভাস্থলের কাজ পরিচালনা করছেন মোস্তাক আলম, স্থানীয় দুই বিধায়ক আসিফ মেহবুব ও আলবেরুণি জুলকারনাইন। রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক বিপি সিং। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
মোস্তাক আলম বলেন, "23 তারিখ শুধু মালদা নয়, অন্য জেলা থেকেও অনেকে রাহুলজির সভায় আসছেন। সেই সভা যাতে সফল না হয়, তারজন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেদিন তৃণমূলের তরফে প্রতিটি এলাকায় তাঁদের মিটিং, মিছিল সহ অন্য কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। যাতে রাহুলজির সভায় লোকজন না আসতে পারে। জেলাশাসকের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে এই বিষয়গুলি আমরা তুলে ধরেছি। 17 তারিখ চাঁচলের কলিগ্রাম এলাকায় তৃণমূল আমাদের একটি পার্টি অফিস দখল করে নেয়। সেকথাও আমরা জেলাশাসককে জানাই। অবশ্য প্রশাসনও প্রথমে এই সভা করতে আমাদের বাধা দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পরে এই সভা করার অনুমতি দেয় তারা। বসন্ত উৎসবের নাম করে তৃণমূলের প্রার্থীরা মালদা কলেজে অনুষ্ঠান করছেন, সভা করছেন। আর আমাদের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তার নাকি অনুমতি নেই। এটা আমরা মেনে নিতে রাজি নই। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দাবি করছি।"
AICC-র সাধারণ সম্পাদক, এই রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক বিপি সিং বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। যখন প্রশাসনিক বিষয়গুলি নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গেছে, তখন রাহুল গান্ধির সভার জন্য এখানকার প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই অনুমতি দেওয়া হয়। রাহুলজি দেশ জুড়ে প্রচার সভা করছেন। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা মালদা কি আলাদা? এই ভোট গণতন্ত্রের উৎসব। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের এমন কাজকর্মের তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা।"
প্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক শুভংকর সরকার বলেন, "রাহুল গান্ধিকে BJP, তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। তাদের মধ্যে ফিয়ার সাইকোসিস কাজ করছে। প্রশাসন যেকোনও উপায়ে রাহুল গান্ধির সভা আটকানোর চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এভাবে রাহুল গান্ধিকে রোখা যায় না। মালদার মাটি কংগ্রেসের। তাই রাহুল গান্ধির সভাকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। এই জেলার মাটি বরকত সাহেব, গোলাম ইয়াজদানি, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির। তাই এখানে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবেই এখানে কংগ্রেসকে রোখা যাবে না।"