মালদা, 11 মার্চ: পঞ্চায়েত ভোটের বাদ্যি এখনও বাজেনি ৷ আর তার আগেই প্রার্থীপদ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হল শাসকদলের মধ্যে ৷ তাও আবার বন্ধ দরজার পিছনে নয়, একেবারে খুল্লমখুল্লা (TMC Leaders Engage in Fisticuffs in Public) ৷ শুক্রবার রাতে সেই ছবি দেখা গেল হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানা পাড়া বুথে ৷ অভিযোগ প্রার্থী তালিকা নিয়ে হওয়া বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন গিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা ৷ সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও নেতৃত্বের দাবি, হয়নি কিছুই ৷ মালদা জেলার রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট যত এগিয়ে আসবে, শাসকদলের এই কোন্দল আরও সামনে আসতে শুরু করবে ৷
গতকাল রাতে থানা পাড়া বুথে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল (Panchayat Candidate Selection Meeting) ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মালদা জেলার সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত-সহ আরও অনেকে ৷ বৈঠকে প্রার্থী হিসাবে বাসন্তী দাস এবং সাগর দাসের নাম উঠে আসে ৷ বাসন্তীদেবী বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য ৷ সাগরবাবু দলের ব্লক সহ-সভাপতি ৷ তাঁদের নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে আসতেই, দু’জনের সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায় ৷ একসময় ধাক্কাধাক্কি আর হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ ৷ গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকেন মালদা জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী যতীন মণ্ডলের বক্তব্য, “দলীয় নেতৃত্ব বলছে, প্রতিটি বুথ থেকে নাকি তিনজনের নাম প্রার্থী হিসাবে উপরমহলে পাঠাতে হবে ৷ আমরা ওসব কিছু জানি না ৷ আমরা প্রার্থী হিসাবে বাসন্তী দাসকেই চাই ৷ আর কারও নাম এখান থেকে উপরে যাবে না ৷ এখানে সবাই আমাদের লোক ৷ তাঁদের সামনে আমাদের বিক্ষোভ হয়েছে ৷ এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই ৷’’ যদিও বিক্ষোভ কিংবা ধস্তাধস্তির কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ৷
আরও পড়ুন: শিয়রে আরেক পঞ্চায়েত ভোট ! এখনও অন্ধকারে প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমারের মৃত্যরহস্য
তিনি দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য গ্রামবাসীরা সবাই একজোট হয়েছে ৷ তারা একজনের নাম প্রস্তাব করছে ৷ সেখানেই প্রার্থী হিসাবে আরও অনেকের নাম প্রস্তাব করেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ৷ তাঁর কথায়, তৃণমূল দল হিসেবে বড় হয়েছে ৷ তাই কর্মীও বেড়েছে তাঁদের ৷ ফলে প্রার্থী হওয়ার দাবিদার একাধিক থাকতেই পারে ৷ জেলা নেতৃত্ব প্রস্তাবিত সব নাম শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাবে বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব গুপ্ত ৷ থানা পাড়ার এই বুথে মোট ভোটার দেড় হাজার ৷ তাঁদের মধ্যে বৈঠকে প্রায় এক হাজার জন উপস্থিত ছিলেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে ৷