মালদা, 13 ডিসেম্বর: অবশেষে খানিকটা স্বস্তি পেল হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক গণেশ দাসের পরিবার ৷ চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুই পা ভেঙে গিয়েছে তাঁর ৷ কাটা পড়েছে একটি পায়ের দু'টি আঙুল ৷ এই মুহূর্তে তিনি বিহারের পূর্ণিয়ায় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ৷ নার্সিংহোমের বিল না-মেটানোয় তাঁকে সেখানে আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ মঙ্গলবার এই খবর ইটিভি ভারতে প্রকাশিত হয় ৷ তারপরেই নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-সহ এলাকার মানুষজন ও রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা ৷ বুধবার পিপলা গ্রামে গণেশবাবুর বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা বুলবুল খান ৷
হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা, বছর চল্লিশের গণেশ দাস পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কিছুদিন আগে কাজ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে এক দুর্ঘটনায় তাঁর দুই পা ভেঙে যায় ৷ কাটা পড়ে এক পায়ের দু'টি আঙুল ৷ পূর্ণিয়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ৷ মাসখানেকের চিকিৎসায় আপাতত সুস্থ তিনি ৷ চিকিৎসক তাঁকে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু বিলের সম্পূর্ণ টাকা না-পেলে রোগীকে ছাড়তে নারাজ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ টাকা জোগাড় করতে এখন দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করছেন মা ও শাশুড়ি ৷
ইটিভি ভারতে এই খবর দেখেই বুধবার পিপলা গ্রামে গণেশবাবুর বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা তথা মালদা জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান ৷ সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিমান ঝা ৷ বুলবুল সাহেব ব্যক্তিগতভাবে গণেশবাবুর ভাইয়ের হাতে কিছু অর্থ তুলে দেন ৷ তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যমেই আমি গণেশ দাসের দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরেছি ৷ আমি আমার সাধ্যমতো কিছু টাকা এই পরিবারটিকে দিলাম ৷ আমি প্রশাসনের কাছে গণেশবাবুকে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানাব ৷"
গণেশবাবুর ভাই কার্তিক দাস বলেন, "আজ বুলবুল স্যর এসেছিলেন ৷ কিছু সাহায্য করে গিয়েছেন ৷ তিনি কথা দিয়েছেন, দাদাকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে যতটা পারবেন তিনি সাহায্য করবেন ৷"
আরও পড়ুন: