ETV Bharat / state

Woman Beaten by TMC Leader: পাওনা টাকা চাইতে গেলে মহিলাকে মারধর ! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে (TMC leader allegedly beaten a woman) ৷ পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে 22 হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন বলে দাবি মহিলার ৷ ধারের টাকা চাওয়াতেই তাঁকে ও পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ ৷

TMC Leader Beaten Woman
TMC Leader Beaten Woman
author img

By

Published : Dec 5, 2022, 5:43 PM IST

মালদা, 5 ডিসেম্বর: বছর দেড়েক আগে এলাকার এক মহিলার থেকে 22 হাজার টাকা ধার নিয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ৷ টাকা চাইতে গেলেই 'তারিখ পে তারিখ' ৷ কিন্তু সম্প্রতি প্রয়োজনের তাগিদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবি করছিলেন দরিদ্র ওই মহিলা ৷ কিন্তু এর পরিণাম যে মারাত্মক হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি ৷

অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে ওই পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর ছেলে-সহ আরও কয়েকজন (TMC leader allegedly beaten a woman) ৷ এ নিয়ে গতকাল গভীর রাতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারাডাঙি গ্রামে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইন আইনের পথেই চলবে ৷

মারাডাঙি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য নরুল ইসলাম ৷ অভিযোগ, তাঁর ছেলে সফিকুল ইসলাম দেড় বছর আগে গ্রামের এক দিনমজুর মহিলার কাছে 22 হাজার টাকা ধার নেন ৷ কয়েকদিনের মধ্যেই শোধ করে দেবেন বলে তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এখনও সেই টাকা ফেরত পাননি ওই মহিলা ৷ সম্প্রতি তিনি আজমেরে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরেছেন ৷

অভিযোগকারী বলেন, "টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারিখের পর তারিখ দিচ্ছে ৷ একবার বলছে জমি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেবে ৷ আবার বলছে মাখনা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে ৷ জমি আর মাখনা, দুটোই তিনি বিক্রি করে দিয়েছে ৷ শুধু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না ৷ শেষ পর্যন্ত বলেন, তিনি নাকি আমাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে ৷ তিনি নাকি আমার কাছ থেকে কোনও টাকাই নেননি ৷ আমাদের হুমকি দেয়, পারলে আমরা যেন তাঁর কিছু করি ৷ আমার ছেলেমেয়ে বাইরে রয়েছে ৷ বাচ্চাদের জন্য এখন আমার টাকার খুব প্রয়োজন ৷ শেষ পর্যন্ত রাতে আমার বাড়িতে ঢুকে নুরুল মেম্বার, তাঁর ছেলে, সাজ্জাদ আলি-সহ কয়েকজন আমাদের বেধড়ক মারধর করেন ৷ আমার টুঁটি চিপে ধরেন ৷ কাপড় ছিঁড়ে দেন ৷ আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷"

পাওনা টাকা চাইতে গেলে মহিলাকে মারধর ! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ দলের উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, "যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্য লোকজন নিয়ে এক মহিলাকে মারধর করছেন ৷ নুরুল ইসলামের ছেলে সফিকুল বাবার পরিচয় দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায় ৷ এক পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে টাকা ধার নিয়ে দেড় বছরেও তা শোধ করেনি ৷ টাকা চাইতে গেলে সফিকুল চোখ রাঙাতে থাকেন ৷ গতকাল রাতে বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে মারধর করেছেন নুরুল, সফিকুল-সহ অন্যান্যরা ৷ আসলে এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই ৷ কর্মীদের উপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণও নেই ৷ এরা খুবই নিম্ন রুচির ৷ মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে ৷ মানুষই এদের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে ৷"

আরও পড়ুন: ফিরহাদের নাম করে 16 লক্ষের প্রতারণা, মহিলাকে ফেলে মার ! তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

হরিশ্চন্দ্রপুর 1(বি) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মানিক দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, "কী হয়েছে তা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ৷ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে ৷ তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে দলগতভাবেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আইনের বাইরে কেউ নয় ৷"

মালদা, 5 ডিসেম্বর: বছর দেড়েক আগে এলাকার এক মহিলার থেকে 22 হাজার টাকা ধার নিয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ৷ টাকা চাইতে গেলেই 'তারিখ পে তারিখ' ৷ কিন্তু সম্প্রতি প্রয়োজনের তাগিদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবি করছিলেন দরিদ্র ওই মহিলা ৷ কিন্তু এর পরিণাম যে মারাত্মক হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি ৷

অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে ওই পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর ছেলে-সহ আরও কয়েকজন (TMC leader allegedly beaten a woman) ৷ এ নিয়ে গতকাল গভীর রাতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারাডাঙি গ্রামে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইন আইনের পথেই চলবে ৷

মারাডাঙি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য নরুল ইসলাম ৷ অভিযোগ, তাঁর ছেলে সফিকুল ইসলাম দেড় বছর আগে গ্রামের এক দিনমজুর মহিলার কাছে 22 হাজার টাকা ধার নেন ৷ কয়েকদিনের মধ্যেই শোধ করে দেবেন বলে তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এখনও সেই টাকা ফেরত পাননি ওই মহিলা ৷ সম্প্রতি তিনি আজমেরে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরেছেন ৷

অভিযোগকারী বলেন, "টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারিখের পর তারিখ দিচ্ছে ৷ একবার বলছে জমি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেবে ৷ আবার বলছে মাখনা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে ৷ জমি আর মাখনা, দুটোই তিনি বিক্রি করে দিয়েছে ৷ শুধু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না ৷ শেষ পর্যন্ত বলেন, তিনি নাকি আমাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে ৷ তিনি নাকি আমার কাছ থেকে কোনও টাকাই নেননি ৷ আমাদের হুমকি দেয়, পারলে আমরা যেন তাঁর কিছু করি ৷ আমার ছেলেমেয়ে বাইরে রয়েছে ৷ বাচ্চাদের জন্য এখন আমার টাকার খুব প্রয়োজন ৷ শেষ পর্যন্ত রাতে আমার বাড়িতে ঢুকে নুরুল মেম্বার, তাঁর ছেলে, সাজ্জাদ আলি-সহ কয়েকজন আমাদের বেধড়ক মারধর করেন ৷ আমার টুঁটি চিপে ধরেন ৷ কাপড় ছিঁড়ে দেন ৷ আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷"

পাওনা টাকা চাইতে গেলে মহিলাকে মারধর ! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ দলের উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, "যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্য লোকজন নিয়ে এক মহিলাকে মারধর করছেন ৷ নুরুল ইসলামের ছেলে সফিকুল বাবার পরিচয় দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায় ৷ এক পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে টাকা ধার নিয়ে দেড় বছরেও তা শোধ করেনি ৷ টাকা চাইতে গেলে সফিকুল চোখ রাঙাতে থাকেন ৷ গতকাল রাতে বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে মারধর করেছেন নুরুল, সফিকুল-সহ অন্যান্যরা ৷ আসলে এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই ৷ কর্মীদের উপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণও নেই ৷ এরা খুবই নিম্ন রুচির ৷ মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে ৷ মানুষই এদের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে ৷"

আরও পড়ুন: ফিরহাদের নাম করে 16 লক্ষের প্রতারণা, মহিলাকে ফেলে মার ! তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

হরিশ্চন্দ্রপুর 1(বি) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মানিক দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, "কী হয়েছে তা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ৷ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে ৷ তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে দলগতভাবেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আইনের বাইরে কেউ নয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.