ETV Bharat / state

মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ কিশোরী উদ্ধার মালদার নিষিদ্ধপল্লিতে

মায়ের জন্য জল নিয়ে আর ট্রেনে উঠতে পারেনি বিহারের এক কিশোরী । মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ বছর খানেক পর মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লি থেকে তাকে উদ্ধার করল পুলিশ ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 3:54 AM IST

মালদা, 24 অগাস্ট : বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ এক কিশোরীকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ । গতকাল রাতে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ GRP থানার পুলিশ, ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। আজ ওই কিশোরীকে জেলা আদালতে তোলার পর মোরাদাবাদ নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি ।

17 বছরের ওই কিশোরীর বাড়ি বিহারের বেথিয়া পুলিশ জেলার শিকারপুর থানার নারকাটিয়াগঞ্জ ব্লকে । তার বাবা প্লাস্টার অফ প্যারিসের মূর্তি তৈরি করে ফুটপাথে বিক্রি করেন । ব্যবসাসূত্রে দিল্লিতে থাকেন তিনি । গতকাল মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করার পর তিনি বলেন, গতবছরের 17 সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ট্রেনে চেপে দিল্লি যাচ্ছিল । মোরাদাবাদ স্টেশনে পানীয় জল নিতে কিশোরী ট্রেন থেকে নামে । কিন্তু জল নিয়ে সে আর ট্রেনে উঠতে পারেনি । তার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয় । তারপর থেকে মেয়ের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । তিনি দিল্লি পুলিশের কাছে মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন । মোরাদাবাদ GRP থানাতেও লিখিতভাবে সব ঘটনা জানান ।

এরপর কিশোরীকে খুঁজতে শুরু করে রেলপুলিশ । কিশোরীর পরিবারও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাতে থাকে । কিন্তু তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না । কয়েকদিন আগে কিশোরী ফোন করে বাড়িতে ৷ জানায়, সে মালদার নিষিদ্ধপল্লিতে আছে । সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার মোরাদাবাদ GRP থানায় খবর দেয় । গতকাল সকালে পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার মালদা আসে । রাতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সাহায্যে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় ।

উদ্ধার হওয়া কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, মোরাদাবাদ স্টেশনে তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এক যুবক এগিয়ে আসে । সব জানার পর ওই যুবক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে । সে ওই যুবককে ভরসা করে তার সঙ্গে স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়ে । কিন্তু ওই যুবক তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় । সেখানে সে বেশ কয়েকদিন তাকে ধর্ষণ করে । এরপর তাকে এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় । সেই দালালই তাকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে নিয়ে আসে । বেশ কিছুদিন ধরেই সে এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সফল হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির ফোন ব্যবহার করে সে গোটা ঘটনা বাড়িতে জানায় । কিন্তু তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যে মালদায় আসছে, সেকথা জেনে ফেলে নিষিদ্ধপল্লির দালালরা । তারা সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার তাকে শিলিগুড়ির নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে । সে এবার বাড়ি ফিরে যেতে চায় । ভুলে যেতে চায় প্রায় এক বছরের কালো দিনগুলোকে ।

মোরাদাবাদ GRP থানার সব ইন্সপেক্টর বাবুরাম বলেন, "গতবছরের 17 সেপ্টেম্বর এই কিশোরী মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । প্রথমে তার পরিবারের লোকজন দিল্লি পুলিশের কাছে এব্যাপারে নিখোঁজ ডায়েরি করে । কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি মোরাদাবাদে ঘটেছিল, তাই দিল্লি পুলিশ গোটা ঘটনাটি আমাদের জানায় । ঘটনা জানতে পেরেই আমরা তদন্তে নেমে পড়ি । শেষ পর্যন্ত মালদায় ওই কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায় । ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তাকে উদ্ধার করেছি । মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে আমরা তাকে মোরাদাবাদ নিয়ে যাব ।"

মালদা, 24 অগাস্ট : বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ এক কিশোরীকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ । গতকাল রাতে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ GRP থানার পুলিশ, ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। আজ ওই কিশোরীকে জেলা আদালতে তোলার পর মোরাদাবাদ নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি ।

17 বছরের ওই কিশোরীর বাড়ি বিহারের বেথিয়া পুলিশ জেলার শিকারপুর থানার নারকাটিয়াগঞ্জ ব্লকে । তার বাবা প্লাস্টার অফ প্যারিসের মূর্তি তৈরি করে ফুটপাথে বিক্রি করেন । ব্যবসাসূত্রে দিল্লিতে থাকেন তিনি । গতকাল মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করার পর তিনি বলেন, গতবছরের 17 সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ট্রেনে চেপে দিল্লি যাচ্ছিল । মোরাদাবাদ স্টেশনে পানীয় জল নিতে কিশোরী ট্রেন থেকে নামে । কিন্তু জল নিয়ে সে আর ট্রেনে উঠতে পারেনি । তার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয় । তারপর থেকে মেয়ের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । তিনি দিল্লি পুলিশের কাছে মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন । মোরাদাবাদ GRP থানাতেও লিখিতভাবে সব ঘটনা জানান ।

এরপর কিশোরীকে খুঁজতে শুরু করে রেলপুলিশ । কিশোরীর পরিবারও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাতে থাকে । কিন্তু তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না । কয়েকদিন আগে কিশোরী ফোন করে বাড়িতে ৷ জানায়, সে মালদার নিষিদ্ধপল্লিতে আছে । সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার মোরাদাবাদ GRP থানায় খবর দেয় । গতকাল সকালে পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার মালদা আসে । রাতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সাহায্যে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় ।

উদ্ধার হওয়া কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, মোরাদাবাদ স্টেশনে তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এক যুবক এগিয়ে আসে । সব জানার পর ওই যুবক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে । সে ওই যুবককে ভরসা করে তার সঙ্গে স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়ে । কিন্তু ওই যুবক তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় । সেখানে সে বেশ কয়েকদিন তাকে ধর্ষণ করে । এরপর তাকে এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় । সেই দালালই তাকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে নিয়ে আসে । বেশ কিছুদিন ধরেই সে এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সফল হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির ফোন ব্যবহার করে সে গোটা ঘটনা বাড়িতে জানায় । কিন্তু তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যে মালদায় আসছে, সেকথা জেনে ফেলে নিষিদ্ধপল্লির দালালরা । তারা সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার তাকে শিলিগুড়ির নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে । সে এবার বাড়ি ফিরে যেতে চায় । ভুলে যেতে চায় প্রায় এক বছরের কালো দিনগুলোকে ।

মোরাদাবাদ GRP থানার সব ইন্সপেক্টর বাবুরাম বলেন, "গতবছরের 17 সেপ্টেম্বর এই কিশোরী মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । প্রথমে তার পরিবারের লোকজন দিল্লি পুলিশের কাছে এব্যাপারে নিখোঁজ ডায়েরি করে । কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি মোরাদাবাদে ঘটেছিল, তাই দিল্লি পুলিশ গোটা ঘটনাটি আমাদের জানায় । ঘটনা জানতে পেরেই আমরা তদন্তে নেমে পড়ি । শেষ পর্যন্ত মালদায় ওই কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায় । ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তাকে উদ্ধার করেছি । মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে আমরা তাকে মোরাদাবাদ নিয়ে যাব ।"

Intro:মালদা, 24 অগাস্ট : প্রায় এক বছর আগে ট্রেন থেকে হারিয়ে যাওয়া এক কিশোরীকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। গতকাল রাতে উত্তরপ্রদেশের মরাদাবাদ জিআরপি থানার পুলিশ, ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় শিলিগুড়ির নিষিদ্ধপল্লিতে পাচারের আগেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। আজ ওই কিশোরীকে জেলা আদালতের মাধ্যমে মোরাদাবাদ নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।


Body:17 বছরের ওই কিশোরীর বাড়ি বিহারের বেথিয়া পুলিশ জেলার শিকারপুর থানার নারকাটিয়াগঞ্জ ব্লকে। তার বাবা প্লাস্টার অফ প্যারিসের মূর্তি তৈরি করে ফুটপাথে বিক্রি করেন। ব্যবসাসূত্রে দিল্লিতে থাকেন তিনি। গতকাল তিনি জানান, "গত বছরের 17 সেপ্টেম্বর মেয়ে মায়ের সঙ্গে ট্রেনে করে দিল্লি যাচ্ছিল। মোরাদাবাদ স্টেশনে পানীয় জল নিতে মেয়ে ট্রেন থেকে নামে। কিন্তু জল নিয়ে সে আর ট্রেনে উঠতে পারেনি। তার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে মেয়ের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি দিল্লি পুলিশের কাছে মেয়ের নামে মিসিং ডায়েরি করি। প্রদন মোরাদাবাদ জিআরপি থানাতেও লিখিতভাবে সব ঘটনা জানাই। মেয়েকে খুঁজতে শুরু করে রেলপুলিশ। আমরাও মেয়ের খোঁজ চালিয়ে যেতে থাকি। কিন্তু তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে কয়েকদিন আগে ফোন মারফৎ মেয়ে আমাদের জানায়, সে মালদার নিষিদ্ধপল্লিতে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা মোরাদাবাদ জিআরপি থানায় সেই খবর দিই। পুলিশও মেয়েকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আজ সকালে আমরা মালদা আসি। রাতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সাহায্যে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।"
উদ্ধার হওয়া কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, মোরাদাবাদ স্টেশনে তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এক যুবক তার দিকে এগিয়ে আসে। তার কাছ থেকে সে গোটা ঘটনা শোনে। সে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে জানায়। সে ওই যুবককে ভরসা করে তার সঙ্গে স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু ওই যুবকটি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে বেশ কয়েকদিন তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে। এরপর সে তাকে এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই দালালই তাকে মালদা শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে নিয়ে আসে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে এই নরক থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সফল হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এক সহৃদয় ব্যক্তির ফোন ব্যবহার করে সে গোটা ঘটনা বাড়িতে জানায়। কিন্তু তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যে মালদায় আসছে, সেকথা জেনে ফেলে নিষিদ্ধপল্লির দালালরা। তারা সঙ্গে সঙ্গে আজই তাকে শিলিগুড়ির নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। সে এবার বাড়ি ফিরে যেতে চায়। ভুলে যেতে চায় প্রায় এক বছরের কালো দিনগুলোকে।


Conclusion:মোরাদাবাদ জিআরপি থানার সব ইন্সপেকটর বাবুরাম বলেন, "গত বছরের 17 সেপ্টেম্বরে এই কিশোরী মোরাদাবাদ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রথমে তার পরিবারের লোকজন দিল্লি পুলিশের কাছে এব্যাপারে মিসিং ডায়েরি করে। কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি মোরাদাবাদে ঘটেছিল, তাই দিল্লি পুলিশ গোটা ঘটনাটি আমাদের জানায়। ঘটনা জানতে পেরেই আমরা তদন্তে নেমে পড়ি। শেষ পর্যন্ত মালদায় ওই কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তাকে উদ্ধার করেছে। মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে আমরা তাকে মোরাদাবাদ নিয়ে যাব।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.