মালদা, 28 মার্চ : লকডাউনের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সব জিনিসেরই ৷ তবে মালদা বাজারে বেশি দাম বেড়েছে চিনি ও ডালের ৷ এমনই অভিযোগ তুলছিল সাধারণ মানুষ ৷ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মালদা শহরের প্রতিটি পৌর বাজারে জিনিসপত্রের দাম খতিয়ে দেখেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷ সঙ্গে ছিলেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু-সহ অন্যরা ৷ বাজার পরিদর্শনের পর জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন বণিকসভার প্রতিনিধিরা ৷ তাঁরা আশ্বাস দেন, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনও ব্যবসায়ী যাতে কালোবাজারি না করতে পারে, সেদিকে নজর রাখা হবে ৷
বাজার পরিদর্শন শেষে নীহারবাবু বলেন, "আজ চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা একাধিক বাজার পরিদর্শন করেছি ৷ আমরা অভিযোগ পাচ্ছিলাম, লকডাউনের বাজারে বিশেষ করে চিনি ও ডালের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷ আজ বাজারেও অনেক ক্রেতা এই অভিযোগ করেছে ৷ বণিকসভার প্রতিনিধিরা সেই অভিযোগ শুনেছেন ৷ তাঁরা কথা দিয়েছেন, মালদার বাজারে চিনি, ডাল-সহ অন্যান্য পণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ এই পরিস্থিতিতে যাতে কেউ সুযোগ বুঝে দাম না বাড়াতে পারে, তার জন্য আজ তাঁরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ৷ আশা করা যায়, তাঁদের হস্তক্ষেপে মালদার বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগের জায়গায় চলে আসবে ৷"
মালদা বণিকসভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "আজ আমরা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছি ৷ সবচেয়ে ভালো বিষয়, প্রতিটি বাজারে সমস্ত জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ৷ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ আগামী 15 দিনের মধ্যে কোনও খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা নেই ৷ তবে বাজারে ডাল ও চিনির দাম একটু বেড়েছে ৷ এই মুহূর্তে বাজারে চিনি 40 থেকে 42 টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে ৷ ডালের দামও কিলো প্রতি 4-5 টাকা করে বেড়েছে ৷ আমরা সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি ৷ এনিয়ে আজ জেলাশাসকের সঙ্গেও আমরা আলোচনায় বসছি ৷"