ETV Bharat / state

ফের উত্তাল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, দাবি উপাচার্যের পদত্যাগের

মাস তিনেক আগে একই ইশুতে শুরু হওয়া ঘেরাও আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য । রেজিস্ট্রারকে নিগ্রহ করার অভিযোগও উঠেছিল । দু'জনকেই ভরতি করতে হয়েছিল মালদা মেডিকেলে ।

ঠছবি
author img

By

Published : Sep 14, 2019, 3:39 AM IST

Updated : Sep 14, 2019, 7:07 AM IST

মালদা, 14 সেপ্টেম্বর : ছাত্র আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে গতকাল বিকেল থেকে দু'জনকেই ঘেরাও করেন ছাত্রছাত্রীরা । তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । যদিও উপাচার্য জানিয়েছেন, কেন এই ঘেরাও, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না ।

আগাম কিছু না জানিয়েই গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন 70-80 জন পড়ুয়া । তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বসে পড়েন । বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন । তাঁদের মূল দাবি, উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করতে হবে । এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্রী নন্দিতা প্রামাণিক বলেন, "আমাদের শিক্ষাবর্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক পিছিয়ে চলছে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে MA-এর দ্বিতীয় সেমিস্টারের মাত্র 3 মাস আগে ক্লাস শুরু হয়েছে । অথচ এখন উপাচার্য বলছেন, আমাদের পরীক্ষা নেবেন । 6 মাসের পাঠ্যক্রম 3 মাসে শেষ হবে কী ভাবে?" অন্যদিকে ফুড এন্ড নিউট্রিশন বিভাগে এক বছর পর প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হচ্ছে । একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগের জন্য দুটি নিয়ম হয় কীভাবে? প্রশ্ন তুলছেন নন্দিতা ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের ছাত্র বিশ্বরূপজয়ী দাস বলেন, "উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । আমাদের ফেলোশিপ বন্ধ রাখা হয়েছে । সিনিয়রদের বিরুদ্ধে উপাচার্য মামলা করেছেন । আমরা কি জঙ্গি? তাই আজ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি ।"

মাস তিনেক আগে একই ইশুতে শুরু হওয়া ঘেরাও আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য । রেজিস্ট্রারকে নিগ্রহ করার অভিযোগও উঠেছিল । দু'জনকেই ভরতি করতে হয়েছিল মালদা মেডিকেলে । সেই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । এবার পড়ুয়াদের আন্দোলন কোন দিকে গড়ায়, সেটা সময়ই বলবে ৷

মালদা, 14 সেপ্টেম্বর : ছাত্র আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে গতকাল বিকেল থেকে দু'জনকেই ঘেরাও করেন ছাত্রছাত্রীরা । তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । যদিও উপাচার্য জানিয়েছেন, কেন এই ঘেরাও, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না ।

আগাম কিছু না জানিয়েই গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন 70-80 জন পড়ুয়া । তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বসে পড়েন । বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন । তাঁদের মূল দাবি, উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করতে হবে । এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্রী নন্দিতা প্রামাণিক বলেন, "আমাদের শিক্ষাবর্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক পিছিয়ে চলছে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে MA-এর দ্বিতীয় সেমিস্টারের মাত্র 3 মাস আগে ক্লাস শুরু হয়েছে । অথচ এখন উপাচার্য বলছেন, আমাদের পরীক্ষা নেবেন । 6 মাসের পাঠ্যক্রম 3 মাসে শেষ হবে কী ভাবে?" অন্যদিকে ফুড এন্ড নিউট্রিশন বিভাগে এক বছর পর প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হচ্ছে । একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগের জন্য দুটি নিয়ম হয় কীভাবে? প্রশ্ন তুলছেন নন্দিতা ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের ছাত্র বিশ্বরূপজয়ী দাস বলেন, "উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । আমাদের ফেলোশিপ বন্ধ রাখা হয়েছে । সিনিয়রদের বিরুদ্ধে উপাচার্য মামলা করেছেন । আমরা কি জঙ্গি? তাই আজ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি ।"

মাস তিনেক আগে একই ইশুতে শুরু হওয়া ঘেরাও আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য । রেজিস্ট্রারকে নিগ্রহ করার অভিযোগও উঠেছিল । দু'জনকেই ভরতি করতে হয়েছিল মালদা মেডিকেলে । সেই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । এবার পড়ুয়াদের আন্দোলন কোন দিকে গড়ায়, সেটা সময়ই বলবে ৷

Intro:মালদা, 13 সেপ্টেম্বর : ছাত্র আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে আজ সন্ধে থেকে দু'জনকেই উপাচার্যের ঘেরাও করে রেখেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পড়ুয়াদের এই ঘেরাও আন্দোলন এখনও চলছে। যদিও উপাচার্য জানিয়েছেন, কেন তাঁদের এভাবে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে তা তাঁরা জানেন না। আন্দোলনকারীরা এনিয়ে তাদের কিছুই জানাচ্ছেন না। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশবাহিনী।


Body:আগাম কিছু না জানিয়েই আজ সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন 70-80 জন পড়ুয়া। তাঁরা উপাচার্যের ঘরে বসে পড়েন। বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের মূল দাবি, উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্রী নন্দিতা প্রামাণিক বলেন, "আমাদের শিক্ষাবর্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক পিছিয়ে চলছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ সেকেন্ড সেমেস্টারের মাত্র 3 মাস আগে ক্লাস শুরু হয়েছে। অথচ এখন উপাচার্য বলছেন, তিনি আমাদের পরীক্ষা নেবেন। 6 মাসের পাঠ্যক্রম আমরা 3 মাসে শেষ করব কীভাবে? অন্যদিকে তিনি ফুড এন্ড নিউট্রিশন বিভাগে এক বছর পর প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা নিচ্ছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগের জন্য দুটি নিয়ম হয় কীভাবে? আসলে উপাচার্য প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনি ভালো প্রশাসক। ভালোভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। কিন্তু তাঁর উপর আমাদের আর কোনও আস্থা নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা 3-4 বার এখানে আন্দোলন করেছি। এর আগে তিনি অবৈধভাবে এখানে এক ছাত্রকে ভরতি করান। হোস্টেল নির্মাণেও এখানে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। আমরা সেসব নিয়ে এর আগেও উপাচার্যের জবাব চেয়েছিলাম। তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। আজও আমরা নিজেদের প্রশ্নের জবাব চাইতে তাঁর কাছে এসেছিলাম। কিন্তু 5 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উত্তর পাইনি। আমরা আর কোনও কথা শুনতে রাজি নই। আমরা উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাই।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি বিভাগের ছাত্র বিশ্বরূপজয়ী দাস বলেন, "উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমাদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আমাদের ফেলোশিপ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সিনিয়রদের বিরুদ্ধে উপাচার্য মামলা করেছেন। আমরা কি জঙ্গি? তাই আজ আমরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।"
পড়ুয়াদের এই আন্দোলন প্রসঙ্গে উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, "পড়ুয়ারা এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে নিজেদের কোনও দাবির কথা বলেননি। তাঁদের কী অভিযোগ কিংবা দাবি রয়েছে তা নিয়ে আমরা অন্ধকারে রয়েছি। হঠাৎ ঘেরাও করে শিক্ষকদের বেরোতে না দেওয়াটা তাঁরা সমীচীন মনে করেছেন। এটা যদি সভ্যতার নিদর্শন হয়, তবে তাঁরা সেটাই করছেন। সন্ধে সাড়ে 5টা থেকে আমরা ঘেরাও হয়ে রয়েছি।"


Conclusion:উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে একই ইস্যুতে শুরু হওয়া পড়ুয়াদের ঘেরাও আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারকে নিগ্রহ করার অভিযোগও উঠেছিল। দু'জনকেই ভরতি করতে হয়েছিল মালদা মেডিকেলে। সেই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এবার পড়ুয়াদের আন্দোলন কোনদিকে গড়ায়, সেটা সময়ই বলবে।
Last Updated : Sep 14, 2019, 7:07 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.