মালদা, 29 নভেম্বর : প্রেম ছিল ৷ নিয়মিত মেলামেশাও ছিল ৷ শারীরিক সম্পর্কও নাকি ছিল ৷ কিন্তু নিকাহর কথা উঠতেই বেঁকে বসে প্রেমিক ৷ তাই বিবির মর্যাদা পেতে শেষ পর্যন্ত চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় বসেছেন যুবতি ৷ অবশ্য তাঁকে নাছোড়বান্দা দেখে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে প্রেমিক সহ পরিবারের সদস্যরা ৷ চাঁচল থানার কনুয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার ঘটনা ৷ ওই যুবতির পাশেই দাঁড়িয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা ৷
যুবতির নাম আর্জিনা খাতুন ৷ বাড়ি চাঁচলেরই নদীসিক গ্রামে ৷ তাঁর দাবি, দু’বছর আগে কনুয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সুলতান আলির ছেলে মাসুম রেজার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয় ৷ তিনি বলেন, “মাসুমের সঙ্গে আমার অনেকদিনের সম্পর্ক ৷ তার সঙ্গে আমার চাঁচলে দেখা হয়েছিল ৷ সে একটি ওষুধের দোকানে কম্পাউন্ডারের কাজ করে ৷ ওই দোকানে আমি যেতাম ৷ সেখানেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় ৷ আমার সঙ্গে সে গভীর মেলামেশা করত ৷ নিকাহর প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছে ৷ সে আমাকে নিকাহ করব বলেও করছিল না ৷ এরই মধ্যে আমার কাছে খবর আসে, মাসুমের বাড়ির সদস্যরা অন্য জায়গায় তার বিয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ আমি এনিয়ে তাকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে তার বাড়িতে চলে আসতে বলে ৷ আমি এখানে না এলে নাকি তার বাড়ির লোকজন ওর সঙ্গে আমার নিকাহ দেবে না ৷ সেকথা শুনে আমি ওর বাড়িতে চলে আসি ৷ চারদিন হয়ে গেল আমি এই বাড়িতে এসেছি ৷ কিন্তু আমাকে দেখেই মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা মেরে চলে গিয়েছে ৷ আমি এখানে না খেয়ে, ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছি ৷ আমি ওকে নিকাহ করতে চাই ৷ আমি এখান থেকে কোথাও যাব না ৷ তাতে আমাকে যদি মরতে হয়, এখানেই মরব ৷ আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না ৷”
এলাকায় না থাকায় এনিয়ে মাসুম বা তার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে গ্রামের বাসিন্দারা আর্জিনার পাশেই দাঁড়িয়েছেন ৷ আনোয়ার আলি নামে এক বাসিন্দা বলেন, “চারদিন ধরে মেয়েটা এখানে ধরনায় বসে রয়েছে ৷ শুনছি মাসুমের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে ৷ মাসুম নাকি মেয়েটাকে নিকাহ করার কথা দিয়েছে ৷ কিন্তু এখন নিকাহ করতে চাইছে না ৷ মেয়েটা খাবারও খায় না ৷ মাসুমের উচিত, মেয়েটাকে নিকাহ করা ৷”
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেনি পুলিশ ৷ তবে গ্রামের বাসিন্দারা এই ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপের দাবি তুলতে শুরু করেছে ৷ আর্জিনাও চাইছে, পুলিশ তাকে মাসুমের বিবির মর্যাদা পাইয়ে দিতে পদক্ষেপ করুক ৷