মালদা, 28 এপ্রিল : একবছর ধরে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক ৷ দু'জনে নাকি চুপিচুপি বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন ৷ তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেন যুবতী ৷ এতদূর পর্যন্ত ঠিকই ছিল ৷ কিন্তু গোল বাঁধল মেয়েটির শ্বশুরবাড়িতে ঢোকার সময় ৷ ছেলেটির বাড়ির লোকজন যুবতীকে মানতে নারাজ ৷ তাঁকে ছেলের বউয়ের স্বীকৃতি দিতে চান না ৷ এদিকে ছেলেটিও বেপাত্তা ৷ সবমিলিয়ে দিশেহারা ওই অন্তঃসত্ত্বা যুবতী প্রেমিক আরব আলির বাড়ির সামনেই বসলেন ধর্নায় (pregnent woman stages dharna in front of boyfriend's house in malda) ৷ ঘটনাটি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিরুয়া আজিমপুর গ্রামের ।
তাবাসুম পারভিন নামে বছর একুশের ওই যুবতীর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া গ্রামের মসজিদ পাড়ায় । কাজের সূত্রে বাবা-মা দিল্লিতে থাকতেন ৷ দীর্ঘদিন ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন তাবাসুম । বাড়ির লোকেরা সেখানেই মাসতুতো দাদার সঙ্গে বিয়ে দেয় তাঁর ৷ কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি ৷ এর কারণ হিসেবে আরব আলিকেই দায়ী করেছেন তাবাসুমের মা সাহেনা বিবি ৷ তাঁর কথায়, তাবাসুমের বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই বিরুয়া আজিমপুর গ্রাম থেকে দিল্লি যান তেইশ বছরের আরব ৷ ধীরে ধীরে দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ তাবাসুমের দাবি, আরবের কথাতেই তিনি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন ।
তাবাসুমের ডিভোর্সের পর সম্প্রতি তাঁরা সবাই দিল্লি থেকে মালদায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন ৷ যুবতীর পরিবারের দাবি, মাসখানেক আগে তাঁরা বিয়েও করেন ৷ এরপর তাবাসুম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আরব কথা দেন, স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাবাসুমকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন ৷ কিন্তু ছেলেটির পরিবার তাতে নারাজ ৷ এদিকে ছেলেটিও বাড়ি থেকে বেপাত্তা ৷ এই অবস্থায় বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আরবের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তাবাসুম ৷ তাঁর কথায়, "আমি অন্তঃসত্ত্বা ৷ বাচ্চাটা আরবের ৷ কিন্তু ওর মা-বাবা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না । আরবের স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আমি ওর বাড়ির দরজায় বসে আছি । আরবের জন্যই প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি । আমাকে শ্বশুরবাড়িতে না ঢোকালে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হব ।"
আরও পড়ুন : Husband Murder His Wife: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মসমপর্ণ
তাবাসুমের মা-র কথায়, "মেয়ের সঙ্গে আরবের বিয়ে হয়েছে । তার সরকারি কাগজপত্রও আমার কাছে আছে । মেয়ে এখন গর্ভবতী । কিন্তু আরবের বাড়ির লোকজন ওকে বাড়ির বউ হিসাবে মানতে রাজি নয় । ধর্নায় বসার জন্য আমার মেয়েকে ওরা মারধরও করেছে । এখন আমার মেয়ের যদি কিছু হয়, তবে তার জন্য ওরাই দায়ী থাকবে । আমরা এখনও বিষয়টি পুলিশকে জানাইনি । প্রয়োজন হলে তা ভাবতে হবে ।" এদিকে আরবের মা সুকিয়া বিবি বলেন, "আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই । ওদের বিয়ে নিয়েও আমি কিছু জানি না । আমি ছেলেকে কোথাও লুকিয়ে রাখিনি । ও কোথায় গিয়েছে আমি জানি না । ওদের কোনও সম্পর্কের কথাও আমার জানা নেই ।"
