মালদা, 3 নভেম্বর: পেঁয়াজের ঝাঁঝে আগেই চোখ লাল, আলুর দামে চোখ দিয়ে জল বইছে বাংলাদেশে ৷ এখন বাংলাদেশের বাজারে আলু বিকোচ্ছে 60-65 টাকা কিলো দরে ৷ আলুর আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার ৷ বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এবং মালদার মহদিপুর দিয়ে বাংলাদেশে এদেশের আলু যেতে শুরু করেছে ৷ এতে মরশুমের শেষে লাভের মুখ দেখতে পারেন বাংলার আলুচাষিরা ৷ তেমনটাই মনে করছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা ৷
দেশীয় বাজারে আলুর অগ্নিমূল্যে বিচলিত বাংলাদেশ সরকার ৷ শেখ হাসিনার সরকারের তরফে বুধবারই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় ৷ প্রাথমিকভাবে 20 হাজার মেট্রিক টন আলু ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হবে ৷ তার জন্য প্রতি মেট্রিক টনে 140 ডলার আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ৷ বুধবার থেকেই বাংলাদেশি আমদানিকারকরা ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে আলুর বাণিজ্য চুক্তি শুরু করে দেন ৷ বৃহস্পতিবার থেকে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দুই স্থল বাণিজ্য বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আলু যেতে শুরু করে ৷ প্রথম দিন হিলি সীমান্ত দিয়ে 150 মেট্রিক টন ও মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে 110 মেট্রিক টন আলু প্রতিবেশী দেশে গিয়েছে ৷
হিলি ব্যবসায়ী সংগঠনের মুখপাত্র রাজেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, "বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ৷ সেদেশের সরকার আলুর লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) ছেড়েছে ৷ আলুর গুণমান অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টনে 140 থেকে 150 ডলারে এলসি দেওয়া হচ্ছে ৷ বছরের শেষে বাংলাদেশে যে আলুর এত চাহিদা তৈরি হবে তা আগে বোঝা যায়নি ৷ এর ফলে দু'দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন ৷"
এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, "আর কিছুদিন পরেই নতুন আলু বাজারে চলে আসবে ৷ ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী দেশে আলুর সংকট তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার আমাদের দেশ থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চাষিরাও উপকৃত হবেন ৷ তাঁরা হিমঘরে যে আলু মজুত রেখেছেন, তার বেশি দাম পাবেন ৷ বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁদের আয় বাড়বে ৷"
আরও পড়ুন: সবজির রাজা আলু সুস্বাস্থ্যেও উপযোগী ! কীভাবে খাবেন জেনে নিন