মালদা, 12 সেপ্টেম্বর: আগামিকাল বিজেপির নবান্ন অভিযানে (BJP Nabanna Abhijan) অংশ নিতে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা ৷ বিরোধীদের এই অভিযান ঠেকাতে এই প্রথমবার সরাসরি ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশকে (West Bengal Police) ৷ জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাগুলিতে আগেই শুরু হয়েছে, এবার সেই ছবি মালদাতেও ৷
মালদা স্টেশনে ঢোকার মুখে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড ৷ পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ এলাকা ৷ উপস্থিত রয়েছেন খোদ ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ ৷ যাত্রী নিয়ে যাওয়া প্রতিটি টোটো, গাড়ি, এমনকী রিক্সাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ দেখা হচ্ছে যাত্রীদের টিকিট ৷ স্বাভাবিকভাবেই স্টেশন রোডে তীব্র যানজট ৷ ট্রেন ধরার তাড়ায় অনেককে মালপত্র নিয়ে হেঁটেই স্টেশনে যেতে দেখা গিয়েছে ৷ কিছু যাত্রী এ নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চেয়ে কড়া ধমক খেয়েছেন ৷ তবে কেন এই অতি সক্রিয়তা, তা নিয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমের (Media) সামনে মুখে কুলুপ সবার ৷
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে শুরু পুলিশের ধরপাকড়
পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ তিনি বলেন, "আমরা সব চোরকে জেলের বাইরে দেখতে রাজি নই ৷ সেকারণেই আমাদের নবান্ন অভিযান ৷ সেখানে যাতে আমাদের কর্মীরা যেতে না পারেন, তার জন্য উত্তরবঙ্গের প্রতিটি স্টেশনে পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এখানে পুলিশ যদি সেই কাজ করতে যায়, তবে আমরা তাদের ধাক্কা মেরে রেল লাইনে ফেলে দেব ৷ তৃণমূলের যখন কলকাতায় কোনও অভিযান থাকে, তখন তারা কোথায় থাকে? এরা উর্দি ছেড়ে বরং তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিছিলে হাঁটুক ৷ এদের ডিএ খেয়ে নিয়েছে তৃণমূল ৷ তবু পুলিশের লজ্জা নেই ৷ আজ পুলিশের সক্রিয়তায় যদি কোনও রোগী সঠিক সময়ে কলকাতায় না পৌঁছতে পারেন, যদি তাঁর কিছু হয়ে যায়, তার দায় পুলিশ নেবে ৷"