ETV Bharat / state

প্রয়োজনীয় কাজে বাধা এলাকার যুবকদের, ব্যারিকেড ভাঙল পুলিশ

বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধান খুব তাড়াতাড়ি কেটে ঘরে না তুললে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ধান কাটার কাজে সমস্যা শুরু হয়েছিল ৷ এমনকী, যুবকদের বাধায় গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে পারেননি ৷

lockdown
lockdown
author img

By

Published : May 2, 2020, 5:44 PM IST

মালদা, 2 মে: কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন মেনে চললেও অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা বা ধান তোলার মতো প্রয়োজনীয় কাজেও বাধা পাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ এলাকার যুবকরা ব্যারিকেড দিয়ে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ এতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামের মানুষ ৷ খবর পেয়ে পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা গ্রামের ব্যারিকেড ভেঙে এলাকা স্বাভাবিক করল পুলিশ ৷ এভাবে প্রয়োজনীয় কাজে বাধা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছে মালদা থানার পুলিশ ৷

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সম্প্রতি মালদা জেলাকে রেড জ়োন ঘোষণা করেছে ৷ তার জেরে জেলার শহর থেকে গ্রাম এলাকায় আতঙ্ক চেপে বসেছে ৷ নিজ নিজ এলাকা ঘেরাবন্দী করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ ৷ একইভাবে ঘেরাবন্দী করা হয়েছিল পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা গ্রামেও ৷ গ্রামের যুবকরা প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছিল ৷ রাস্তায় ফেলে রেখেছিল গাছের গুঁড়ি ৷ সঙ্গে পোস্টারে লিখে দেওয়া হয়েছিল যে গ্রাম থেকে কাউকে বেরোতে বা বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷

তবে গ্রামের যুবকদের এই সিদ্ধান্তে প্রবল সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ এখন ধান কাটার মরশুম ৷ এমনিতেই লকডাউনে বাইরের শ্রমিকরা ধান কাটতে আসতে পারছে না ৷ স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে ৷ এদিকে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে ৷ ফলে বোরো ধান খুব তাড়াতাড়ি কেটে ঘরে না তুললে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ধান কাটার কাজে সমস্যা শুরু হয়েছিল ৷ এমনকী যুবকদের বাধায় গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে পারেননি ৷ খবর পেয়ে শনিবার পুলিশ নিয়ে ভাটরা গ্রামে যান মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা ৷ ব্যারিকেড ভেঙে কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে স্বাভাবিক করা হয় গ্রামকে ৷

ব্যারিকেড সরাচ্ছে পুলিশ
ব্যারিকেড সরাচ্ছে পুলিশ

গ্রামের বাসিন্দা মারাং সোরেন বলেন, "আমার স্ত্রী অসুস্থ ৷ তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু গ্রামের ছেলেরা সাফ জানিয়ে দেয় যে গ্রাম থেকে কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না ৷ বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতেও দেওয়া হবে না ৷ এতে আমি সমস্যায় পড়ে যাই ৷ তবে পুলিশ এসে রাস্তা খুলে দিয়েছে ৷ এখন আমি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারব ৷"

মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চালু থাকলেও এভাবে কাউকে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না ৷ ব্যারিকেডের জন্য গ্রামের অনেকে ফসল কাটতে যেতে পারছেন না ৷ তাই আজ আমরা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছি ৷ কারা এই কাজ করেছিল তা এখনও জানি না ৷ তাদের খোঁজ চালাচ্ছি ৷ এভাবে গ্রামের রাস্তা বন্ধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

মালদা, 2 মে: কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন মেনে চললেও অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা বা ধান তোলার মতো প্রয়োজনীয় কাজেও বাধা পাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ এলাকার যুবকরা ব্যারিকেড দিয়ে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ এতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামের মানুষ ৷ খবর পেয়ে পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা গ্রামের ব্যারিকেড ভেঙে এলাকা স্বাভাবিক করল পুলিশ ৷ এভাবে প্রয়োজনীয় কাজে বাধা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছে মালদা থানার পুলিশ ৷

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সম্প্রতি মালদা জেলাকে রেড জ়োন ঘোষণা করেছে ৷ তার জেরে জেলার শহর থেকে গ্রাম এলাকায় আতঙ্ক চেপে বসেছে ৷ নিজ নিজ এলাকা ঘেরাবন্দী করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ ৷ একইভাবে ঘেরাবন্দী করা হয়েছিল পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা গ্রামেও ৷ গ্রামের যুবকরা প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছিল ৷ রাস্তায় ফেলে রেখেছিল গাছের গুঁড়ি ৷ সঙ্গে পোস্টারে লিখে দেওয়া হয়েছিল যে গ্রাম থেকে কাউকে বেরোতে বা বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷

তবে গ্রামের যুবকদের এই সিদ্ধান্তে প্রবল সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ এখন ধান কাটার মরশুম ৷ এমনিতেই লকডাউনে বাইরের শ্রমিকরা ধান কাটতে আসতে পারছে না ৷ স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে ৷ এদিকে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে ৷ ফলে বোরো ধান খুব তাড়াতাড়ি কেটে ঘরে না তুললে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ধান কাটার কাজে সমস্যা শুরু হয়েছিল ৷ এমনকী যুবকদের বাধায় গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে পারেননি ৷ খবর পেয়ে শনিবার পুলিশ নিয়ে ভাটরা গ্রামে যান মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা ৷ ব্যারিকেড ভেঙে কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে স্বাভাবিক করা হয় গ্রামকে ৷

ব্যারিকেড সরাচ্ছে পুলিশ
ব্যারিকেড সরাচ্ছে পুলিশ

গ্রামের বাসিন্দা মারাং সোরেন বলেন, "আমার স্ত্রী অসুস্থ ৷ তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু গ্রামের ছেলেরা সাফ জানিয়ে দেয় যে গ্রাম থেকে কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না ৷ বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতেও দেওয়া হবে না ৷ এতে আমি সমস্যায় পড়ে যাই ৷ তবে পুলিশ এসে রাস্তা খুলে দিয়েছে ৷ এখন আমি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারব ৷"

মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চালু থাকলেও এভাবে কাউকে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না ৷ ব্যারিকেডের জন্য গ্রামের অনেকে ফসল কাটতে যেতে পারছেন না ৷ তাই আজ আমরা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছি ৷ কারা এই কাজ করেছিল তা এখনও জানি না ৷ তাদের খোঁজ চালাচ্ছি ৷ এভাবে গ্রামের রাস্তা বন্ধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.