ETV Bharat / state

লকডাউনে নিঃশব্দে ভবঘুরেদের সাহায্য পুলিশকর্মীর - malda

লকডাউনের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মালদার তিন ভবঘুরে । তাঁদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ালেন এক পুলিশকর্মী ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 9:16 AM IST

মালদা, 22 এপ্রিল : ওদের কথা ভাবার কেউ নেই ৷ শহরে তবু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওদের মতো মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেও প্রত্যন্ত গ্রামে সেই সহায়তা কল্পনাও করা যায় না ৷ সহায়হীন সেই ভবঘুরেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক পুলিশকর্মী ৷ খাবার তো বটেই, এই পরিস্থিতিতে ওদের কেউ যাতে কোরোনায় আক্রান্ত না হন, তার দিকেও নজর রেখেছেন তিনি ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রাম ৷ মোটামুটি বর্ধিষ্ণু এলাকা ৷ লোকজনের বসবাসও বেশ ভালোই । রয়েছে একাধিক দোকান-পাট, এমনকী হোটেলও ৷ লকডাউনের আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকত গোটা এলাকা ৷ তখন এই গ্রামেই ছেঁড়া পোশাক গায়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত তিন ভবঘুরেকে ৷ তাদের একজন পুরুষ, বাকি দু’জন মহিলা ৷ কারোর চাল-চুলো নেই ৷ দিনভর এদিক ওদিক ঘোরাঘুরির মধ্যে যে যা দিত, তাই খেত ৷ দুপুরে হোটেলগুলির সামনে দাঁড়ালে সেখানেও খাবার মিলে যেত ৷ কিন্তু লকডাউন, গ্রামের এই পরিচিত ছবিটা পালটে দিয়েছে ৷ রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকান-পাট সব বন্ধ ৷ কোরোনার ভয়ে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ঘরবন্দী করে রেখেছেন ৷ তাই খাবার এখন জোটে না ৷ এই পরিস্থিতিতে রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপকল দিয়ে জলও পড়ে না ৷ খালি বোতল হাতে ঝুলিয়েই এদিক থেকে ওদিক ঘোরাঘুরি করছে এরা ৷ মুখে মাস্ক কিংবা হাত স্যানিটাইজ় করা তো অনেক দূরের ব্যাপার ৷

ভবানীপুর গ্রামেই থাকেন নাজিম আক্তার ৷ তিনি বলেন, " লকডাউনের বাজারে মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রাটা এখন পুরোপুরি পালটে গেছে ৷ সব দোকানের দরজা বন্ধ ৷ মানুষের হাতে টাকা-পয়সা কমে এসেছে ৷ নিজেরাই খাবার কীভাবে জোটাবে তার চিন্তায় সবাই ৷ এই ভবঘুরেদের কথা মাথায় আনার সময় নেই কারোর ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাকালীন অনেকেই এদের হাতে কিছু খাবার দিতেন ৷ এখন সেই পরিস্থিতিও নেই ৷" একই বক্তব্য এলাকার চা বিক্রেতা তাজিমুল হকেরও ৷ দোকান চালু থাকলে তিনিও প্রতিদিন এই তিন ভবঘুরেকে কিছু না কিছু খাবার দিতেন ৷ এখন আর সম্ভব হয়ে ওঠে না ৷

এই অবস্থায় এই তিনজনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন চাঁচল মহকুমা ট্র্যাফিক OC হারাধন দাস ৷ 30 মার্চ থেকে তিনি ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে নাকা চেকিং পোস্টের দায়িত্বে রয়েছেন ৷ সেখানেই আস্তানা নেওয়া এই তিন ভবঘুরেকে তিনি সাধ্যমতো খাবারের ব্যবস্থা করছেন ৷ নিজের পকেট থেকে যা পারছেন, তা দিয়ে প্রতিদিন এদের জন্য কিছু কিনে আনছেন ৷ শুধু খাবারই নয়, এই তিন ভবঘুরে যাতে কোরোনায় আক্রান্ত না হন, তার দিকেও নজর রেখেছেন হারাধনবাবু ৷ তাই খাবারের পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজা়রেরও ব্যবস্থা করেছেন এই তিনজনের জন্য ৷ বিধি মেনে তাঁরা সেসব ব্যবহার করছে কি না, নজর রেখেছেন সেদিকেও ৷ তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে নারাজ তিনি ৷ তাঁর একটাই কথা, "এদের পাশেও দাঁড়াতে হবে ৷"

মালদা, 22 এপ্রিল : ওদের কথা ভাবার কেউ নেই ৷ শহরে তবু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওদের মতো মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেও প্রত্যন্ত গ্রামে সেই সহায়তা কল্পনাও করা যায় না ৷ সহায়হীন সেই ভবঘুরেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক পুলিশকর্মী ৷ খাবার তো বটেই, এই পরিস্থিতিতে ওদের কেউ যাতে কোরোনায় আক্রান্ত না হন, তার দিকেও নজর রেখেছেন তিনি ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রাম ৷ মোটামুটি বর্ধিষ্ণু এলাকা ৷ লোকজনের বসবাসও বেশ ভালোই । রয়েছে একাধিক দোকান-পাট, এমনকী হোটেলও ৷ লকডাউনের আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকত গোটা এলাকা ৷ তখন এই গ্রামেই ছেঁড়া পোশাক গায়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত তিন ভবঘুরেকে ৷ তাদের একজন পুরুষ, বাকি দু’জন মহিলা ৷ কারোর চাল-চুলো নেই ৷ দিনভর এদিক ওদিক ঘোরাঘুরির মধ্যে যে যা দিত, তাই খেত ৷ দুপুরে হোটেলগুলির সামনে দাঁড়ালে সেখানেও খাবার মিলে যেত ৷ কিন্তু লকডাউন, গ্রামের এই পরিচিত ছবিটা পালটে দিয়েছে ৷ রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকান-পাট সব বন্ধ ৷ কোরোনার ভয়ে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ঘরবন্দী করে রেখেছেন ৷ তাই খাবার এখন জোটে না ৷ এই পরিস্থিতিতে রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপকল দিয়ে জলও পড়ে না ৷ খালি বোতল হাতে ঝুলিয়েই এদিক থেকে ওদিক ঘোরাঘুরি করছে এরা ৷ মুখে মাস্ক কিংবা হাত স্যানিটাইজ় করা তো অনেক দূরের ব্যাপার ৷

ভবানীপুর গ্রামেই থাকেন নাজিম আক্তার ৷ তিনি বলেন, " লকডাউনের বাজারে মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রাটা এখন পুরোপুরি পালটে গেছে ৷ সব দোকানের দরজা বন্ধ ৷ মানুষের হাতে টাকা-পয়সা কমে এসেছে ৷ নিজেরাই খাবার কীভাবে জোটাবে তার চিন্তায় সবাই ৷ এই ভবঘুরেদের কথা মাথায় আনার সময় নেই কারোর ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাকালীন অনেকেই এদের হাতে কিছু খাবার দিতেন ৷ এখন সেই পরিস্থিতিও নেই ৷" একই বক্তব্য এলাকার চা বিক্রেতা তাজিমুল হকেরও ৷ দোকান চালু থাকলে তিনিও প্রতিদিন এই তিন ভবঘুরেকে কিছু না কিছু খাবার দিতেন ৷ এখন আর সম্ভব হয়ে ওঠে না ৷

এই অবস্থায় এই তিনজনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন চাঁচল মহকুমা ট্র্যাফিক OC হারাধন দাস ৷ 30 মার্চ থেকে তিনি ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে নাকা চেকিং পোস্টের দায়িত্বে রয়েছেন ৷ সেখানেই আস্তানা নেওয়া এই তিন ভবঘুরেকে তিনি সাধ্যমতো খাবারের ব্যবস্থা করছেন ৷ নিজের পকেট থেকে যা পারছেন, তা দিয়ে প্রতিদিন এদের জন্য কিছু কিনে আনছেন ৷ শুধু খাবারই নয়, এই তিন ভবঘুরে যাতে কোরোনায় আক্রান্ত না হন, তার দিকেও নজর রেখেছেন হারাধনবাবু ৷ তাই খাবারের পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজা়রেরও ব্যবস্থা করেছেন এই তিনজনের জন্য ৷ বিধি মেনে তাঁরা সেসব ব্যবহার করছে কি না, নজর রেখেছেন সেদিকেও ৷ তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে নারাজ তিনি ৷ তাঁর একটাই কথা, "এদের পাশেও দাঁড়াতে হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.