ETV Bharat / state

ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে ফের একবার মালদায় মানবাধিকার কমিশন

মালদায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় এবার আজ ফের আক্রান্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ সেই সঙ্গে গাজোল, মোথাবাড়ি, হবিবপুর সহ মোট 5টি থানার পুলিশ আধিকারিকদের এদিন আলোচনার জন্য তলব করে কমিশনের প্রতিনিধিরা ৷

national human rights commission went to malda on post poll violence issue
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার মালদায় মানবাধিকার কমিশন
author img

By

Published : Jul 9, 2021, 6:14 PM IST

মালদা, 9 জুলাই : ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে মঙ্গলবার রাতে মালদায় গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল । সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদ । প্রশাসনিক সূত্রে খবর, অন্তত 48টি অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল মালদায় যায় ৷ কিন্তু বুধবার শুধুমাত্র গাজোলের কেনবোনা গ্রামই পরিদর্শন করে ওই দলটি । তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও দেখা দিয়েছে । যেখানে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিজেপির জেলা সহ সভাপতির উপস্থিতি বিতর্ককে অন্য মাত্রা দিয়েছে । অভিযোগ ওঠে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে খোঁজ নিতে কমিশনের সদস্যরা বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই কথা বলেন । এ নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।

পরিদর্শনের পর বুধবার রাতে মালদা ছেড়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলটি । সেই দলের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গতকাল রাতে মালদায় আসে কমিশনের আরও একটি দল । একজন ডিএসপি এবং তিনজন আইসি পদমর্যাদার আধিকারিক ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ৷ আজ তাঁরা জেলার পাঁচটি থানা এলাকার প্রায় 30 জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন । তাঁরা সবাই নির্বাচন পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ । আর তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপিকর্মী অথবা সমর্থক । শুধু তাঁদেরই নয়, আজ ডাকা হয়েছে গাজোল, মোথাবাড়ি, হবিবপুর, বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানার আইসি এবং ওসিদেরও । শুধু থানার আধিকারিকদেরই নয়, কমিশনের তরফে তলব করা হয় ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকেও (গ্রামীণ)। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পর, কমিশনের চার সদস্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বিজেপি নেতা, বিতর্ক মালদায়

গাজোলের কেনবোনা গ্রাম থেকে নিজের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি তপেশ সরকার । তিনি অভিযোগ করেছেন, রানিগঞ্জ 2নং গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল । কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির সদস্য নারায়ণ মণ্ডল তৃণমূলে চলে যান । সেই সময় তপেশ সরকার সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যেতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, নারায়ণ মণ্ডল তাঁদের সঙ্গে নেয়নি ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, পরবর্তী সময়ে এই ঘটনায় গাজোল থানার আইসি এবং তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছিল ।

আরও পড়ুন : ভয় কাটেনি, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের জানালেন আক্রান্তরা

এদিন মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে যান সুব্রত সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের ফল ঘোষণার দিন তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছিল । তার আগে বেধড়ক মারধর এবং যৌন নির্যাতনও চালানো হয় । ঘটনাটি ঘটেছিল বামনগোলার ডোবা খোকসান এলাকার কন্যাদিঘি গ্রামে । রামনাথ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ করেছেন সুব্রত সরকার । এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করা হলেও, কোনও তদন্ত এখনও পর্যন্ত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুব্রত সরকার ৷

মালদা, 9 জুলাই : ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে মঙ্গলবার রাতে মালদায় গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল । সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদ । প্রশাসনিক সূত্রে খবর, অন্তত 48টি অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল মালদায় যায় ৷ কিন্তু বুধবার শুধুমাত্র গাজোলের কেনবোনা গ্রামই পরিদর্শন করে ওই দলটি । তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও দেখা দিয়েছে । যেখানে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিজেপির জেলা সহ সভাপতির উপস্থিতি বিতর্ককে অন্য মাত্রা দিয়েছে । অভিযোগ ওঠে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে খোঁজ নিতে কমিশনের সদস্যরা বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই কথা বলেন । এ নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।

পরিদর্শনের পর বুধবার রাতে মালদা ছেড়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলটি । সেই দলের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গতকাল রাতে মালদায় আসে কমিশনের আরও একটি দল । একজন ডিএসপি এবং তিনজন আইসি পদমর্যাদার আধিকারিক ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ৷ আজ তাঁরা জেলার পাঁচটি থানা এলাকার প্রায় 30 জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন । তাঁরা সবাই নির্বাচন পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ । আর তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপিকর্মী অথবা সমর্থক । শুধু তাঁদেরই নয়, আজ ডাকা হয়েছে গাজোল, মোথাবাড়ি, হবিবপুর, বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানার আইসি এবং ওসিদেরও । শুধু থানার আধিকারিকদেরই নয়, কমিশনের তরফে তলব করা হয় ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকেও (গ্রামীণ)। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পর, কমিশনের চার সদস্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বিজেপি নেতা, বিতর্ক মালদায়

গাজোলের কেনবোনা গ্রাম থেকে নিজের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি তপেশ সরকার । তিনি অভিযোগ করেছেন, রানিগঞ্জ 2নং গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল । কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির সদস্য নারায়ণ মণ্ডল তৃণমূলে চলে যান । সেই সময় তপেশ সরকার সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যেতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, নারায়ণ মণ্ডল তাঁদের সঙ্গে নেয়নি ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, পরবর্তী সময়ে এই ঘটনায় গাজোল থানার আইসি এবং তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছিল ।

আরও পড়ুন : ভয় কাটেনি, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের জানালেন আক্রান্তরা

এদিন মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে যান সুব্রত সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের ফল ঘোষণার দিন তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছিল । তার আগে বেধড়ক মারধর এবং যৌন নির্যাতনও চালানো হয় । ঘটনাটি ঘটেছিল বামনগোলার ডোবা খোকসান এলাকার কন্যাদিঘি গ্রামে । রামনাথ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ করেছেন সুব্রত সরকার । এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করা হলেও, কোনও তদন্ত এখনও পর্যন্ত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুব্রত সরকার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.