ETV Bharat / state

মমতা ব্যানার্জি সার্কাস পার্টির জোকার : মুকুল

"তৃণমূলের কর্মীরাও এখন বুঝে গেছে, মমতা সততার প্রতীক নয়।" লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে আজ এই মন্তব্য করলেন BJP নেতা মুকুল রায়।

author img

By

Published : Apr 17, 2019, 8:56 PM IST

Updated : Apr 17, 2019, 9:11 PM IST

BJP নেতা মুকুল রায়

মালদা, 17 এপ্রিল : "মুকুল রায় গদ্দার নয়, গদ্দার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে আজ এই মন্তব্য করলেন BJP নেতা মুকুল রায়।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচনের জন্য মালদা জেলায় কার্যত ওয়াররুম খুলে দিয়েছেন, ঠিক সেই সময় এই জেলায় তিনটি জনসভায় তাঁর দিকে একের পর এক তির ছুড়লেন মুকুলবাবু। আজ উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সামসি, গাজোল ও পাকুয়াহাটে জনসভা করেন তিনি। একদিকে তাঁর বক্তব্যে যেমন উঠে এসেছে NRC সহ বিভিন্ন ইশু, তেমনই সারদা, নারদকাণ্ড সহ একাধিক ইশুতে তিনি আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রীকে।

মুকুলবাবু সামসির ঘাসিরাম মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "উত্তর মালদার রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। এতদিন এখানকার সাংসদ বা বিধায়ক ভাঙনরোধের জন্য কোনও কাজ করেননি। রাজ্য সরকারও সেই কাজ করতে পারেনি অথবা করেনি। খগেনকে জিতিয়ে আনলে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আওয়াজ তুলে সেই কাজ করা হবে। শুধু তাই নয়, রায়গঞ্জে এই MOS ধাঁচের হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এই রাজ্য সরকার হতে দেয়নি। খগেনকে জিতিয়ে আনলে এখানে সেই MOS স্থাপন করা হবে।"

ভিডিয়োয় শুনুন মুকুল রায়ের বক্তব্য

তবে আজ মুকুলবাবুর গলায় ছিল তীব্র মমতা বিরোধিতার সুর। তিনি বলেন, "এরাজ্যে কেউ দেখাতে পারবেন, যেখানে লেখা রয়েছে মমতা সততার প্রতীক? তৃণমূলের কর্মীরাও এখন বুঝে গেছে, মমতা সততার প্রতীক নয়। কালীঘাটে উনি টালির বাড়িতে থাকেন। আর সেখানেই 35টি প্লটের মালিক মমতাদেবী। উনি পারলে আমার বিরুদ্ধে এই নিয়ে তদন্ত করান। আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছি। আর উনি বলছেন, উনি সততার প্রতীক। পায়ে হাওয়াই চটি পরেন তিনি। সেটার দাম জানেন? যে সাদা শাড়ি পরেন, তার দাম জানেন কেউ? দাম জানলে চমকে উঠবেন সবাই। তাঁর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে 273টি আসন লাগবে। 42টি আসনে দাঁড়িয়ে তুমি প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে? আসলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। তার জন্য কলকাতায় লোক এনে একটা সার্কাসও করলেন। সেই সার্কাস দেখালেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের। সার্কাস পার্টিতে বাঘ, সিংহ, হাতি সহ নানা পশুপাখি থাকে। আর একঘেয়েমি কাটাতে জোকার থাকে। মমতা ব্যানার্জিও এই সার্কাস পার্টির জোকার। নারদা, সারদা, রোজ়ভ্যালির প্রসঙ্গ উঠলে উনি কথায় কথায় বলেন, মুকুল এসব করেছে। মুকুল গদ্দার। কিন্তু ভারতবর্ষে মমতার চেয়ে বড়ো গদ্দার কে আছে? কংগ্রেস ওকে 5 বার সাংসদ করেছে। দু'বার মন্ত্রী করেছে। রাজীব গান্ধি যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী করেছেন। আর কংগ্রেস একটু বিপদে পড়তেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নতুন দল করেছেন। তাই ভারতবর্ষে যদি গদ্দারদের নাম লেখা হয়, সবার আগে থাকবে মমতা ব্যানার্জির নাম। মাথাভাঙা থেকে মমতা বলছেন, সারদা, নারদার মূল পাণ্ডাকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগছেন। কিন্তু মমতাদেবী, সারদায় মুকুল রায়ের নাম কোথাও নেই। জোর গলায় বলছি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, কোথাও মুকুল রায়ের জড়িত থাকা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে কি আপনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন? ডেলোতে বসে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে গুজুর গুজুর করলেন। কেউ না জানুক, আমি তো জানি, কী বলবেন, মমতাদেবী! গলা চড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যতই চেষ্টা করুন, সারদা, রোজ়ভ্যালি, MPS, প্রয়াগ উঠে যাওয়ার জন্য আপনিই দায়ি। যে হাজার হাজার মানুষ তঞ্চকতার শিকার হয়েছে, তার জন্য দায়ি আপনি। তার কারণ, আপনি গুজুর গুজুর করে বললেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তোমাকে কাগজ বানাতে হবে, তোমাকে টিভি চ্যানেল বানাতে হবে। সেই কাজ করতে গিয়ে যে বিনিয়োগ করতে হল, তাতে সারদা, রোজ়ভ্যালি উঠে গেল। গরিব মানুষ তঞ্চকতার শিকার হল। আর আজ বলছেন, সারদার মূল পান্ডা মুকুল! সারদা, রোজ়ভ্যালিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধে পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সবচেয়ে বড়ো বিষয়, যেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হল, যেদিন মদন মিত্র গ্রেফতার হল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি ধরনা বা অনশনে বসলেন না। কিন্তু যেদিন রোজ়ভ্যালি ও সারদা নিয়ে CBI রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি রাজীবকে নিয়ে ধরনায় বসে পড়লেন। কী আছে রাজীব কুমারের কাছে?"

আজ গাজোল ও পাকুয়াহাটের জনসভাতেও মুকুল রায়ের নিশানায় ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মালদা, 17 এপ্রিল : "মুকুল রায় গদ্দার নয়, গদ্দার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে আজ এই মন্তব্য করলেন BJP নেতা মুকুল রায়।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচনের জন্য মালদা জেলায় কার্যত ওয়াররুম খুলে দিয়েছেন, ঠিক সেই সময় এই জেলায় তিনটি জনসভায় তাঁর দিকে একের পর এক তির ছুড়লেন মুকুলবাবু। আজ উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সামসি, গাজোল ও পাকুয়াহাটে জনসভা করেন তিনি। একদিকে তাঁর বক্তব্যে যেমন উঠে এসেছে NRC সহ বিভিন্ন ইশু, তেমনই সারদা, নারদকাণ্ড সহ একাধিক ইশুতে তিনি আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রীকে।

মুকুলবাবু সামসির ঘাসিরাম মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "উত্তর মালদার রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। এতদিন এখানকার সাংসদ বা বিধায়ক ভাঙনরোধের জন্য কোনও কাজ করেননি। রাজ্য সরকারও সেই কাজ করতে পারেনি অথবা করেনি। খগেনকে জিতিয়ে আনলে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আওয়াজ তুলে সেই কাজ করা হবে। শুধু তাই নয়, রায়গঞ্জে এই MOS ধাঁচের হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এই রাজ্য সরকার হতে দেয়নি। খগেনকে জিতিয়ে আনলে এখানে সেই MOS স্থাপন করা হবে।"

ভিডিয়োয় শুনুন মুকুল রায়ের বক্তব্য

তবে আজ মুকুলবাবুর গলায় ছিল তীব্র মমতা বিরোধিতার সুর। তিনি বলেন, "এরাজ্যে কেউ দেখাতে পারবেন, যেখানে লেখা রয়েছে মমতা সততার প্রতীক? তৃণমূলের কর্মীরাও এখন বুঝে গেছে, মমতা সততার প্রতীক নয়। কালীঘাটে উনি টালির বাড়িতে থাকেন। আর সেখানেই 35টি প্লটের মালিক মমতাদেবী। উনি পারলে আমার বিরুদ্ধে এই নিয়ে তদন্ত করান। আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছি। আর উনি বলছেন, উনি সততার প্রতীক। পায়ে হাওয়াই চটি পরেন তিনি। সেটার দাম জানেন? যে সাদা শাড়ি পরেন, তার দাম জানেন কেউ? দাম জানলে চমকে উঠবেন সবাই। তাঁর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে 273টি আসন লাগবে। 42টি আসনে দাঁড়িয়ে তুমি প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে? আসলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। তার জন্য কলকাতায় লোক এনে একটা সার্কাসও করলেন। সেই সার্কাস দেখালেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের। সার্কাস পার্টিতে বাঘ, সিংহ, হাতি সহ নানা পশুপাখি থাকে। আর একঘেয়েমি কাটাতে জোকার থাকে। মমতা ব্যানার্জিও এই সার্কাস পার্টির জোকার। নারদা, সারদা, রোজ়ভ্যালির প্রসঙ্গ উঠলে উনি কথায় কথায় বলেন, মুকুল এসব করেছে। মুকুল গদ্দার। কিন্তু ভারতবর্ষে মমতার চেয়ে বড়ো গদ্দার কে আছে? কংগ্রেস ওকে 5 বার সাংসদ করেছে। দু'বার মন্ত্রী করেছে। রাজীব গান্ধি যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী করেছেন। আর কংগ্রেস একটু বিপদে পড়তেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নতুন দল করেছেন। তাই ভারতবর্ষে যদি গদ্দারদের নাম লেখা হয়, সবার আগে থাকবে মমতা ব্যানার্জির নাম। মাথাভাঙা থেকে মমতা বলছেন, সারদা, নারদার মূল পাণ্ডাকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগছেন। কিন্তু মমতাদেবী, সারদায় মুকুল রায়ের নাম কোথাও নেই। জোর গলায় বলছি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, কোথাও মুকুল রায়ের জড়িত থাকা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে কি আপনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন? ডেলোতে বসে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে গুজুর গুজুর করলেন। কেউ না জানুক, আমি তো জানি, কী বলবেন, মমতাদেবী! গলা চড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যতই চেষ্টা করুন, সারদা, রোজ়ভ্যালি, MPS, প্রয়াগ উঠে যাওয়ার জন্য আপনিই দায়ি। যে হাজার হাজার মানুষ তঞ্চকতার শিকার হয়েছে, তার জন্য দায়ি আপনি। তার কারণ, আপনি গুজুর গুজুর করে বললেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তোমাকে কাগজ বানাতে হবে, তোমাকে টিভি চ্যানেল বানাতে হবে। সেই কাজ করতে গিয়ে যে বিনিয়োগ করতে হল, তাতে সারদা, রোজ়ভ্যালি উঠে গেল। গরিব মানুষ তঞ্চকতার শিকার হল। আর আজ বলছেন, সারদার মূল পান্ডা মুকুল! সারদা, রোজ়ভ্যালিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধে পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সবচেয়ে বড়ো বিষয়, যেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হল, যেদিন মদন মিত্র গ্রেফতার হল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি ধরনা বা অনশনে বসলেন না। কিন্তু যেদিন রোজ়ভ্যালি ও সারদা নিয়ে CBI রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি রাজীবকে নিয়ে ধরনায় বসে পড়লেন। কী আছে রাজীব কুমারের কাছে?"

আজ গাজোল ও পাকুয়াহাটের জনসভাতেও মুকুল রায়ের নিশানায় ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Intro:মালদা, ১৭ এপ্রিল : "মুকুল রায় গদ্দার নয়, গদ্দার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷" লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে আজ এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ Body:তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরের নির্বাচনের জন্য এই জেলায় কার্যত ওয়াররুম খুলে দিয়েছেন, ঠিক সেই সময় এই জেলায় তিনটি জনসভায় তাঁর দিকে একের পর এক তির ছুঁড়লেন মুকুলবাবু৷ আজ উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সামসী, গাজোল ও পাকুয়াহাটে জনসভা করেন তিনি৷ একদিকে তাঁর বক্তব্যে যেমন উঠে এসেছে এনআরসি সহ বিভিন্ন ইশ্যু, তেমনই সারদা, নারদ কাণ্ড সহ একাধিক ইশ্যুতে তিনি আজ ফালাফালা করেছেন তৃণমূলনেত্রীকে৷
         মুকুলবাবু আজ প্রথম সভাটি করেন সামসীর ঘাসিরাম মোড়ে৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "উত্তর মালদার রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যা রয়েছে৷ এতদিন এখানকার সাংসদ বা বিধায়ক ভাঙনরোধের জন্য কোনও কাজ করেননি৷ রাজ্য সরকারও সেই কাজ করতে পারেনি অথবা করেনি৷ খগেনকে জিতিয়ে আনলে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আওয়াজ তুলে সেই কাজ করা হবে৷ শুধু তাই নয়, রায়গঞ্জে এইমস ধাঁচের হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এই রাজ্য সরকার হতে দেয়নি৷ খগেনকে জিতিয়ে আনলে এখানে সেই এইমস স্থাপন করা হবে৷" তবে আজ মুকুলবাবুর গলায় ছিল তীব্র মমতা বিরোধিতার সুর৷ তিনি বলেন, "এরাজ্যে কেউ দেখাতে পারবেন, যেখানে লেখা রয়েছে মমতা সততার প্রতীক! তৃণমূলের কর্মীরাও এখন বুঝে গেছে, মমতা সততার প্রতীক নয়৷ কালীঘাটে উনি টালির বাড়িতে থাকেন৷ আর সেখানেই ৩৫টি প্লটের মালিক মমতাদেবী৷ উনি পারলে আমার বিরুদ্ধে এনিয়ে তদন্ত করুন৷ আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছি৷ আর উনি বলছেন, উনি সততার প্রতীক৷ পায়ে হাওয়াই চটি পরেন তিনি৷ সেটার দাম জানেন? যে সাদা শাড়ি পরেন, তার দাম জানেন কেউ? দাম জানলে চমকে উঠবেন সবাই৷ তাঁর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ২৭৩টি আসন লাগবে৷ ৪২টি আসনে দাঁড়িয়ে তুমি প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে? আসলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে৷ তার জন্য কলকাতায় লোক এনে একটা সার্কাসও করলেন৷ সেই সার্কাস দেখালেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের৷ সার্কাস পার্টিতে বাঘ, সিংহ, হাতি সহ নানা পশুপাখি থাকে৷ আর একঘেঁয়েমি কাটাতে জোকার থাকে৷ মমতা ব্যানার্জিও এই সার্কাস পার্টির জোকার৷ নারদা, সারদা, রোজভ্যালির প্রসঙ্গ উঠলে উনি কথায় কথায় বলেন, মুকুল এসব করেছে৷ মুকুল গদ্দার৷ কিন্তু ভারতবর্ষে মমতার চেয়ে বড়ো গদ্দার কে আছে? কংগ্রেস ওকে ৫ বার সাংসদ করেছে৷ দু'বার মন্ত্রী করেছে৷ বয়স না থাকা সত্বেও রাজীব গান্ধি যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী করেছেন৷ আর কংগ্রেস একটু বিপদে পড়তেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নতুন দল করেছেন৷ তাই ভারতবর্ষে যদি গদ্দারদের নাম লেখা হয়, সবার আগে থাকবে মমতা ব্যানার্জির নাম৷ মাথাভাঙা থেকে মমতা বলছেন, সারদা, নারদার মূল পাণ্ডাকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগছেন৷ কিন্তু মমতাদেবী, সারদায় মুকুল রায়ের নাম কোথাও নেই৷ জোর গলায় বলছি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, কোথাও মুকুল রায়ের জড়িত থাকা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব৷ কিন্তু যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে কি আপনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন? ডেলোতে বসে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে গুজুর গুজুর করলেন৷ কেউ না জানুক, আমি তো জানি৷ কী বলবেন, মমতাদেবী! গলা চড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যতই চেষ্টা করুন, সারদা, রোজভ্যালি, এমপিএস, প্রয়াগ উঠে যাওয়ার জন্য আপনিই দায়ী৷ যে হাজার হাজার মানুষ তঞ্চকতার শিকার হয়েছে, তার জন্য দায়ী আপনি৷ তার কারণ, আপনি গুজুর গুজুর করে বললেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে৷ তোমাকে কাগজ বানাতে হবে, তোমাকে টিভি চ্যানেল বানাতে হবে৷ সেই কাজ করতে গিয়ে যে বিনিয়োগ করতে হল, তাতে সারদা, রোজভ্যালি উঠে গেল৷ গরিব মানুষ তঞ্চকতার শিকার হল৷ আর আজ বলছেন, সারদাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা মুকুল! সারদা, রোজভ্যালিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধে পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, যেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হলেন, যেদিন মদন মিত্র গ্রেফতার হল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি ধরনা কিংবা অনশনে বসলেন না৷ কিন্তু যেদিন রোজভ্যালি ও সারদা নিয়ে সিবিআই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি রাজীবকে নিয়ে ধরনায় বসে পড়লেন৷ কী আছে রাজীব কুমারের কাছে!"
Conclusion:আজ গাজোল ও পাকুয়াহাটের জনসভাতেও মুকুল রায়ের নিশানায় ছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷
Last Updated : Apr 17, 2019, 9:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.