মালদা, 4 অক্টোবর : টাঙনের জলে গাজোল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত ৷ নদীর জল ঢুকেছে প্রায় 15টি গ্রামে ৷ জলের তলায় চলে গেছে আমনের চাষ ৷ কয়েকশো বাড়ি জলমগ্ন ৷ শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও খবর ৷ এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ৷ সঙ্গে ছিলেন সাংসদ মৌসম নুর, সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো, BDO উষ্ণতা মোক্তান, রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন সহ অন্যরা ৷ পরিদর্শন শেষে মৌসম নুর বলেন, টাঙনের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে ৷ এর পাশাপাশি নদীর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
উত্তরবঙ্গ জুড়ে সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টির জেরে জেলার সব নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ৷ জলের চাপে গত কয়েকদিনে কয়েকটি এলাকার নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷ 1 অক্টোবর ভোরে টাঙনের জলের চাপে গাজোল ব্লকের কদুবাড়ি গ্রামে নদীবাঁধের 50 থেকে 60 মিটার অংশ ভেঙে যায় ৷ জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক হাজার বিঘার জমির ফসল ৷ ওই দিনই ব্লকের সেচ আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থান পরিদর্শনে যান গাজোলের BDO উষ্ণতা মোক্তান ৷ তিনি গভীর রাত পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ৷ তবে নদীর জলস্তর বেশি থাকায় সেচ বিভাগ কাজ করতে পারছে না ৷ বাঁধের ভাঙা জায়গা দিয়ে প্রবল বেগে গ্রামে টাঙনের জল ঢুকছে ৷
এদিন নৌকা করে চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্যা কবলিত বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাঁরা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ সরকারি ত্রাণ সহ অন্য সুযোগ সুবিধা মিলছে কি না তা নিয়ে খোঁজখবর নেন ৷ তাঁদের কাছে টাঙনের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আর্জি জানান বাসিন্দারা ৷ একাধিক গ্রাম ঘুরে রাতে প্রশাসনিক কর্তারা গাজোলে ফেরেন ৷ এনিয়ে মৌসম নুর বলেন, “চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টাঙনের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে ৷ আজ জেলাশাসক সহ আমরা প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করলাম ৷ গ্রামে এখন টাঙনের স্রোত বইছে ৷ গ্রামবাসীরা জেলাশাসকের কাছে টাঙনের বাঁধ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছে ৷ এই মুহূর্তে নদীর জল প্রবল গতিতে গ্রামে ঢুকছে ৷ কীভাবে আটকানো যায় তার চেষ্টা চলছে ৷ বন্যা কবলিত এলাকায় নৌকারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ বন্যায় প্রায় একশোটা বাড়িতে নদীর জল ঢুকেছে ৷ তাদের ত্রাণ সহ সবরকম সহযোগিতা করার জন্য জেলাশাসক ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷”