মালদা, 31 মে : মালদা মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ বললেন, "মালদা মেডিকেলেই করোনার চিকিৎসা সবচেয়ে ভাল হচ্ছে ৷ তবু অনেকে কেন বিভিন্ন নার্সিংহোম কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে দৌড়োচ্ছেন, জানা নেই ৷"
সাবিনা ইয়াসমিন এদিন বলেন, “একটা প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ৷ এখানেও কিছু সমস্যা রয়েছে ৷ আমরা সমস্যাগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি ৷ শুধু মালদা নয়, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরের বহু মানুষ এই হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে থাকেন ৷ আগে এখানকার ব্যবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠত ৷ অনেকে হাসপাতালে না এসে নার্সিংহোমে যেতেন ৷ এখন অনেকটাই কমেছে ৷ তবে এখনও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে ৷ কীভাবে সেসব মেটানো যায়, তা আমরা দেখছি ৷”
এই মুহূর্তে মালদা মেডিকেলেই সবচেয়ে ভাল হচ্ছে করোনা চিকিৎসা, দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ৷ সাবিনা বলেন, “এই জেলায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে ৷ কিছুদিন আগেও এখানে কোনও বেড ফাঁকা থাকত না ৷ এখন প্রচুর বেড ফাঁকা থাকছে ৷ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের যে পরিষেবা দেওয়া হয়, তা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না ৷ তবু কিছু মানুষ কেন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরেও বাড়িতে থাকছেন, কিংবা নার্সিংহোম দৌড়োচ্ছেন, তা বুঝতে পারছি না ৷ শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আনা হচ্ছে ৷ আগেই যদি রোগীদের এখানে নিয়ে আসা হয়, তবে দ্রুত তাঁদের চিকিৎসা করা যাবে ৷”
আরও পড়ুন: যশের অভিঘাতে ডুবল মালদা শহর, রেহাই নেই জেলাশাসক ভবনেরও
সাবিনা এদিন আরও বলেন, “ইতিমধ্যে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে একটা প্রস্তাব এসেছে ৷ এমবিবিএস কোর্সে এখানে পড়ুয়ার সংখ্যা 125 ৷ কিন্তু পরিকাঠামো রয়েছে 100 জনের ৷ বাকিদের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে ৷ কয়েকদিন আগে প্রবল বৃষ্টিতে জল জমেছিল হাসপাতালে ৷ সংবাদমাধ্যম সেটা ফলাও করে দেখিয়েছে ৷ যেন সব দোষ আমাদের ৷ আগামীতে যাতে এখানে জল না জমে তার জন্য বিভিন্ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷”