ETV Bharat / state

Mamata Banerjee: গৌড়বঙ্গের তিন জেলার জন্য 1200 কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার মালদার (Malda) গাজোলে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সভার মঞ্চ থেকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্য 1200 কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি ৷

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee
author img

By

Published : Jan 31, 2023, 5:42 PM IST

মালদা, 31 জানুয়ারি: গাজোলের সভা থেকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার 162টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ শিলান্যাস করলেন 264টি প্রকল্পের ৷ এর মধ্যে মালদা (Malda) জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 57টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷ উত্তর দিনাজপুরের 60টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং 65টি প্রকল্পের শিলান্যাসের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 142টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ৷ তিন জেলা মিলিয়ে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলিতে খরচ হয়েছে 508.73 কোটি টাকা ৷ শিলান্যাসে বরাদ্দ হয়েছে 674.47 কোটি টাকা ৷ সব মিলিয়ে আজ প্রায় 1200 কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর মালদা ও দুই দিনাজপুরে ঢেলে কাজ হয়েছে ৷ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আমরা 3 লাখ 72 হাজার ক্যাম্প করেছি ৷ সেখানে 9 কোটি 6 লাখের বেশি মানুষ এসেছেন ৷ আবেদন জমা পড়েছে 7 কোটি 74 লক্ষ ৷ পরিষেবা দেওয়া হয়েছে 6 কোটি 82 লক্ষ মানুষকে ৷ পাড়ায় সমাধানে গোটা রাজ্যে তিন হাজার প্রকল্প করা হয়েছে ৷ মালদা জেলার 123টি, উত্তর দিনাজপুরে 72টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে 47টি প্রকল্প করা হয়েছে ৷ গ্রামীণ হাট, নতুন পাওয়ার সাব স্টেশন, নতুন থানা, মহিলা থানা, নতুন স্টেডিয়াম সহ বহু কাজ করা হয়েছে ৷”

আগেই আশা করা গিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) মুখে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কিছু ঘোষণা করতে পারেন ৷ সেটাই হয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আমরা বালুরঘাটে নতুন করে এয়ারপোর্ট বানাচ্ছি ৷ মালদা এয়ারপোর্ট বানানো হয়ে গেলেও সেটা আরেকটু বড় করতে হবে ৷ আরও জমি নিয়ে রানওয়ে বাড়াতে হবে ৷ কাজটা তাড়াতাড়ি যাতে হয়, যাতে তাড়াতাড়ি আমরা এখানে বিমান পরিষেবা চালু করতে পারি তার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুরুলিয়াতেও আমরা আগামীতে এয়ারপোর্ট করব ৷ অনেক বড় বড় রাস্তা ও সেতু হয়েছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময় মালদায় এসে আম আর আমসত্ত্ব চেয়েছিলাম ৷ মালদার মানুষ আমাকে দুটোই দিয়েছেন ৷ তার জন্য সবাইকে প্রণাম, সালাম জানাই ৷”

এরপরেই খানিকটা যেন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “মালদার মানুষ আমাকে আম আর আমসত্ত্ব দিয়েছেন বলেই এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়েছে ৷ স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে অনেক কাজ হয়েছে ৷” প্রশ্ন উঠেছে, বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় আটটি আসন না পেলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প থেকে জেলাবাসী কি ব্রাত্য থাকতেন ?

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মালদা ঐতিহাসিক জায়গা৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ আর নদীয়াকে নিয়ে ট্যুরিজম সার্কিট তৈরি হচ্ছে ৷ মালদার ঐতিহাসিক সৌধগুলিকে সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার অনেক কাজ করেছে ৷ গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেকে পুকুরের জল পান করেন ৷ 2024 সাল শেষ হওয়ার আগে আমরা জলস্বপ্ন প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেব ৷ এই প্রকল্পে মালদায় 9 লক্ষ 28 হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৷ তার মধ্যে 2 লক্ষ 10 হাজার বাড়িতে ইতিমধ্যে জল পৌঁছে গিয়েছে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরেও প্রচুর রাস্তা ও সেতু তৈরি হয়েছে ৷ তৈরি হয়েছে আরও একাধিক প্রকল্প ৷ এই জেলাতেও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ উত্তর দিনাজপুর জেলায় 6 লক্ষ 35 হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যাবে ৷”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃত্তি বন্ধের অভিযোগ আবারও শোনা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে ৷ মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘুদের অনেক স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমরা রাজ্যের তরফে 1 কোটি 20 লক্ষ ছেলেমেয়েকে ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ দিচ্ছি ৷ তফশিলি জাতি ও আদিবাসীদের শিক্ষাশ্রী দিচ্ছি ৷ ওবিসিদের স্কলারশিপও এবছর থেকে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমরা তাদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প চালু করেছি ৷ সবার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু রয়েছে ৷ মতুয়াদের জন্যও আমরা অনেক করেছি ৷ ভোট এলে ওরা শুধু ক্যা ক্যা করে চিৎকার করে ৷ এনআরসির নামে সবাইকে জেলে বন্দী করে দেওয়ার ফিকির খোঁজে ৷ সিএএ (CAA)-এর নামে মানুষকে ভুল বোঝায় ৷’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘দেশের নাগরিক না হলে সবাই কীভাবে রেশন পান, ভোট দেন ! আগে নিয়ম ছিল, যদি কেউ এদেশে 5-6 বছর থাকে, আবেদন করলে সেটা জেলাশাসকরা দেখে নিতেন ৷ এখন সব ক্ষমতা ওরা কেন্দ্রের হাতে নিয়ে চলে গিয়েছে ৷ কার ঘরে কী রান্না হবে, মেয়েরা কী পরবে, কে কোথায় যাবে, সেসব নাকি দাদু-দাদা-কাকুমণিরা বলে দেবেন ৷ ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজছে ৷ এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলছে ৷ কোভিডের সময় এরা কোথায় ছিল ?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা মিডিয়াকে অপব্যবহার করছে ৷ এই সরকারের আমলে দেশে বেকারির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৷ কিন্তু আমরা এই রাজ্যে বেকারের সংখ্যা 40 শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি ৷ আজ মানুষের ঘরে বিনা পয়সায় চাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ৷ তারপরেও ওরা বলছে, এরা সব চোর৷ ওরাই তো বড় ডাকাত ৷”

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ও ভিনরাজ্যে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মালদা, 31 জানুয়ারি: গাজোলের সভা থেকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার 162টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ শিলান্যাস করলেন 264টি প্রকল্পের ৷ এর মধ্যে মালদা (Malda) জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 57টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷ উত্তর দিনাজপুরের 60টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং 65টি প্রকল্পের শিলান্যাসের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 142টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ৷ তিন জেলা মিলিয়ে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলিতে খরচ হয়েছে 508.73 কোটি টাকা ৷ শিলান্যাসে বরাদ্দ হয়েছে 674.47 কোটি টাকা ৷ সব মিলিয়ে আজ প্রায় 1200 কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর মালদা ও দুই দিনাজপুরে ঢেলে কাজ হয়েছে ৷ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আমরা 3 লাখ 72 হাজার ক্যাম্প করেছি ৷ সেখানে 9 কোটি 6 লাখের বেশি মানুষ এসেছেন ৷ আবেদন জমা পড়েছে 7 কোটি 74 লক্ষ ৷ পরিষেবা দেওয়া হয়েছে 6 কোটি 82 লক্ষ মানুষকে ৷ পাড়ায় সমাধানে গোটা রাজ্যে তিন হাজার প্রকল্প করা হয়েছে ৷ মালদা জেলার 123টি, উত্তর দিনাজপুরে 72টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে 47টি প্রকল্প করা হয়েছে ৷ গ্রামীণ হাট, নতুন পাওয়ার সাব স্টেশন, নতুন থানা, মহিলা থানা, নতুন স্টেডিয়াম সহ বহু কাজ করা হয়েছে ৷”

আগেই আশা করা গিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) মুখে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কিছু ঘোষণা করতে পারেন ৷ সেটাই হয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আমরা বালুরঘাটে নতুন করে এয়ারপোর্ট বানাচ্ছি ৷ মালদা এয়ারপোর্ট বানানো হয়ে গেলেও সেটা আরেকটু বড় করতে হবে ৷ আরও জমি নিয়ে রানওয়ে বাড়াতে হবে ৷ কাজটা তাড়াতাড়ি যাতে হয়, যাতে তাড়াতাড়ি আমরা এখানে বিমান পরিষেবা চালু করতে পারি তার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুরুলিয়াতেও আমরা আগামীতে এয়ারপোর্ট করব ৷ অনেক বড় বড় রাস্তা ও সেতু হয়েছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময় মালদায় এসে আম আর আমসত্ত্ব চেয়েছিলাম ৷ মালদার মানুষ আমাকে দুটোই দিয়েছেন ৷ তার জন্য সবাইকে প্রণাম, সালাম জানাই ৷”

এরপরেই খানিকটা যেন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “মালদার মানুষ আমাকে আম আর আমসত্ত্ব দিয়েছেন বলেই এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়েছে ৷ স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে অনেক কাজ হয়েছে ৷” প্রশ্ন উঠেছে, বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় আটটি আসন না পেলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প থেকে জেলাবাসী কি ব্রাত্য থাকতেন ?

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মালদা ঐতিহাসিক জায়গা৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ আর নদীয়াকে নিয়ে ট্যুরিজম সার্কিট তৈরি হচ্ছে ৷ মালদার ঐতিহাসিক সৌধগুলিকে সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার অনেক কাজ করেছে ৷ গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেকে পুকুরের জল পান করেন ৷ 2024 সাল শেষ হওয়ার আগে আমরা জলস্বপ্ন প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেব ৷ এই প্রকল্পে মালদায় 9 লক্ষ 28 হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৷ তার মধ্যে 2 লক্ষ 10 হাজার বাড়িতে ইতিমধ্যে জল পৌঁছে গিয়েছে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরেও প্রচুর রাস্তা ও সেতু তৈরি হয়েছে ৷ তৈরি হয়েছে আরও একাধিক প্রকল্প ৷ এই জেলাতেও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ উত্তর দিনাজপুর জেলায় 6 লক্ষ 35 হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যাবে ৷”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃত্তি বন্ধের অভিযোগ আবারও শোনা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে ৷ মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘুদের অনেক স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমরা রাজ্যের তরফে 1 কোটি 20 লক্ষ ছেলেমেয়েকে ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ দিচ্ছি ৷ তফশিলি জাতি ও আদিবাসীদের শিক্ষাশ্রী দিচ্ছি ৷ ওবিসিদের স্কলারশিপও এবছর থেকে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমরা তাদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প চালু করেছি ৷ সবার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু রয়েছে ৷ মতুয়াদের জন্যও আমরা অনেক করেছি ৷ ভোট এলে ওরা শুধু ক্যা ক্যা করে চিৎকার করে ৷ এনআরসির নামে সবাইকে জেলে বন্দী করে দেওয়ার ফিকির খোঁজে ৷ সিএএ (CAA)-এর নামে মানুষকে ভুল বোঝায় ৷’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘দেশের নাগরিক না হলে সবাই কীভাবে রেশন পান, ভোট দেন ! আগে নিয়ম ছিল, যদি কেউ এদেশে 5-6 বছর থাকে, আবেদন করলে সেটা জেলাশাসকরা দেখে নিতেন ৷ এখন সব ক্ষমতা ওরা কেন্দ্রের হাতে নিয়ে চলে গিয়েছে ৷ কার ঘরে কী রান্না হবে, মেয়েরা কী পরবে, কে কোথায় যাবে, সেসব নাকি দাদু-দাদা-কাকুমণিরা বলে দেবেন ৷ ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজছে ৷ এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলছে ৷ কোভিডের সময় এরা কোথায় ছিল ?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা মিডিয়াকে অপব্যবহার করছে ৷ এই সরকারের আমলে দেশে বেকারির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৷ কিন্তু আমরা এই রাজ্যে বেকারের সংখ্যা 40 শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি ৷ আজ মানুষের ঘরে বিনা পয়সায় চাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ৷ তারপরেও ওরা বলছে, এরা সব চোর৷ ওরাই তো বড় ডাকাত ৷”

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ও ভিনরাজ্যে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.