মালদা, 5 সেপ্টেম্বর : অসুস্থ মায়েরা চিকিৎসার জন্য আসলে অনেকক্ষেত্রেই তাঁদের বাচ্চাদের রাখার সমস্যা হয় হাসপাতালগুলিতে ৷ এবার সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া কিংবা ছোট বাচ্চা থাকা মায়েরা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে তাঁদের সন্তানদের থাকার জন্য নার্সারি ওয়ার্ড চালু করতে চলেছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মেডিক্যালের মাতৃমা ভবনে চালু হবে 50 শয্যার সেই ওয়ার্ড। গতকাল, একথা জানিয়েছেন মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার। এই ওয়ার্ড চালু হলে ছোট বাচ্চাদের আর মাকে ছেড়ে থাকতে হবে না। মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকবেন চিকিৎসাধীন মায়েরাও।
সম্প্রতি মালদা মেডিক্যাল পরিদর্শনে আসে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ওই দলের সদস্যরা মেডিক্যালের পরিকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কিছু ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেন । তারপরেই ওই দলের নির্দেশ মেনে মেডিক্যালের মাতৃমা ভবনে নার্সারি ওয়ার্ড তৈরির উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, "হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আমাদের যেমন নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, আমরা সেটাই করেছি। ইতিমধ্যে মাতৃমা ভবনের জরুরি বিভাগে একটি কাউন্টার চালু করা হয়েছে। সেখানেই একটি নার্সারি ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। যে সমস্ত মায়েরা বাইরে থেকে রেফার হয়ে এখানে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের সন্তানদের রাখার জন্য এই নার্সারি ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডে আপাতত 50 শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত সদ্যোজাত সন্তানদের জন্যই এই ওয়ার্ড। এই মেডিক্যালে দুটি এলএমও (লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট) আছে । এছাড়া একটি পিএসএ (প্রেশার সুইং অ্যাডসরপশন) বসছে । মেডিক্যালে অক্সিজেন ব্যাক আপ রাখার জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এতে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আমাদের আরও সুবিধে হবে। এছাড়াও হাসপাতালের সাধারণ জরুরি বিভাগ আরও বড় করার কাজ চলছে।"
আরও পড়ুন: শরতের আকাশে আগমনীর সুর, করোনায় বরাত না জোটায় ঘর আঁধার মৃৎশিল্পীদের
এই মুহূর্তে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা 750টি । এর বাইরে রয়েছে করোনা ওয়ার্ড। সেখানেও 175টি শয্যা রয়েছে। এবার নার্সারি ওয়ার্ড চালু করা হলে এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা হবে 800টি । এই হাসপাতালে রোগীর চাপ উত্তরোত্তর বাড়ছে। শুধু মালদা নয়, আশেপাশের জেলা, এমনকি বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছোট বাচ্চা থাকা মায়েরাও। হাসপাতালে নার্সারি ওয়ার্ড চালু হলে তাঁদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।