মালদা, 6 জুন: মেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি মেতেছে মালদার গোপালভোগ-ক্ষিরসাপাতিতে ৷ মালদার আমের মৌতাতে মজেছেন রাজধানীর বাসিন্দারা ৷ আম ব্যবসায়ীদের অনুমান, সময় যত গড়াবে, ততই বাড়বে মালদার আমের চাহিদা ৷ আসুন খোলসা করা যাক ৷
সোমবার বিকেলে দিল্লির হ্যান্ডলুম হাটে শুরু হয়েছে আম ও হস্তশিল্প মেলা ৷ এবার এই মেলা নবম বর্ষে পা দিল ৷ দিল্লিতে থাকা বাংলার রেসিডেন্সিয়াল কমিশনার উজ্জয়নী দাসের উপস্থিতিতে মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত গুপ্ত ৷ মেলা চলবে 19 জুন পর্যন্ত ৷ এই মেলায় নিজেদের বাগানে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে গিয়েছেন মালদার ছ'জন আমচাষি ৷ এর মধ্যে জেলার গোপালভোগ আর ক্ষিরসাপাতি আমে মজেছেন সবাই ৷ মালদার ক্ষিরসাপাতি দেশে মূলত 'হিমসাগর' নামেই পরিচিত ৷
আরও পড়ুন: এবার অনলাইনে ভারতের যে কোনও প্রান্তে মিলবে মালদার আম, উদ্যোগ জেলার দম্পতির
দিল্লি থেকে মালদা ম্যাঙ্গো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানাচ্ছেন, মালদা তথা পশ্চিমবঙ্গের আমকে দেশের বাজারে ছড়িয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন আগেই উদ্যোগ নিয়েছেন ৷ ইতিমধ্যে এই মেলায় নিয়ে আসা আমের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে ৷ ভারতীয়দের সঙ্গে বিদেশিরাও মেলায় আসছেন ৷ মালদা তথা রাজ্যের আমের স্বাদ নিচ্ছেন ৷ মালদার হিমসাগর আর গোপালভোগ মানুষের নজর কেড়েছে ৷ এবার আরও আম ধাপে ধাপে এখানে নিয়ে আসা হবে ৷ রাজ্যের আমচাষিরা যাতে লাভের মুখ দেখতে পারেন, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ৷ আশা করা হচ্ছে, সময় যত গড়াবে, রাজ্য তথা মালদার আমের চাহিদা আরও বাড়বে ৷ বিক্রিও ভালো হবে ৷ এভাবেই মালদা-সহ রাজ্যের আমের বাজারিকরণ করা যাবে ৷
এ নিয়ে জেলা উদ্যানপালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক জানান, বেশ কয়েকবছর ধরেই মালদার আমচাষিরা দিল্লির আম মেলায় অংশ নিচ্ছেন ৷ গত বছর তাঁদের ভালো লাভও হয়েছিল ৷ গতবছর দিল্লি আম মেলায় মালদার আম যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিল ৷ তাই এবার ওই মেলায় ধাপে ধাপে 19 মেট্রিক টন আম ও আমজাত সামগ্রী পাঠানো হবে ৷ প্রথম দফায় 6 মেট্রিক টন আম মেলায় পাঠানো হয়েছে ৷ শুধু গোপালভোগ আর হিমসাগর নয় ৷ তার মধ্যে লক্ষ্মণভোগ, ল্যাংড়া, আম্রপালি-সহ আরও কিছু জাতের আম রয়েছে ৷ এসব আম 100 থেকে 140 টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে ৷ তবে সূচনালগ্নে মালদার গোপালভোগ আর হিমসাগর চর্চার কেন্দ্রে ৷
আরও পড়ুন: জাপানি মিয়াজাকি আমের নিলাম বীরভূমের মসজিদে, প্রতি কেজি আড়াই থেকে 3 লক্ষ টাকা