ETV Bharat / state

Malda Fake Note Case: আসামীকে আড়ালের চেষ্টা, আইসি ও 2 সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের - মালদায় জাল নোট মামলায় তিন পুলিশ অফিসারের শাস্তি

জাল নোট মামলায় মূল আসামীকে আড়াল করার চেষ্টা করায় আইসি-সহ 2 সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ(Malda Fake Note Case)৷

Etv Bharat
ইংরেজবাজার থানার আইসি
author img

By

Published : Dec 21, 2022, 7:42 PM IST

হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য

মালদা, 21 ডিসেম্বর: 10 লাখ টাকা জাল নোটের মামলায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগে ইংরেজবাজার থানার আইসি-সহ দুই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ(Malda Division bench of High Court ordered to Punished Three Police officer in fake note Case)৷ মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন বিচারপতিরা ৷ ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশের কপি রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যদিও এই নিয়ে এখনও জেলায় কোনও নির্দেশিকা আসেনি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর ৷ তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2020 সালের 29 জানুয়ারি কালিয়াচক থানায় একটি জাল নোটের মামলা রুজু হয় (কেস নম্বর 88 of 2020)৷ ওই মামলায় ধৃত মেরাজুল হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 489B, 489C ও 120B ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ মেরাজুল হক এখনও সংশোধনাগারে রয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করা হয় ৷ তদন্ত রিপোর্টও হাইকোর্টে জমা পড়ে ৷ তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশিকা জারি করে ৷

আরও পড়ুন : মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্রে খুলি উদ্ধারের তদন্তে স্নিফার ডগ-বম্ব স্কোয়াড

নির্দেশিকায় বিচারপতিরা জানান, এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর হেফাজত থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু মামলার তদন্তকারী অফিসার, এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার অভিযুক্ত শংকরের মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানান ৷ পরবর্তীতে এসআই পবিত্র মাহাতোও অভিযুক্ত শংকরকে আড়াল করার চেষ্টা করেন ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এতে অনুমোদন দেন কালিয়াচক থানার তৎকালীন আইসিও ৷ পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করা হলে মূল অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় ৷ এই মামলায় আবেদনকারীর হেফাজত থেকে কোনও জাল নোট উদ্ধার হয়নি ৷ তাই 10 হাজার টাকার বিনিময়ে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে জামিনে মুক্তি পেলেও আবেদনকারীকে মালদা জেলা আদালতের ট্রায়ালে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে ৷

একই সঙ্গে বিচারপতিরা জানান, পুলিশের এই কাজে আবেদনকারী দু’বছরের বেশি সময় জেলবন্দি রয়েছেন ৷ তাই এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার, এসআই পবিত্র মাহাতো এবং তৎকালীন কালিয়াচক থানার আইসির বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার চলাকালীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (সাসপেনশন) নেওয়ার জন্য ডিজি ও আইজিকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷

আরও পড়ুন : 39 হাজার জালনোট-সহ এসটিএফের জালে সিভিক ভলান্টিয়ার

এই ব্যাপারে কলকাতা থেকে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম ফোনে ইটিভি ভারতকে বলেন, "কলকাতা হাইকোর্টে জাল নোটের মামলার এক বন্দি জামিনের আবেদন জানান ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিচারপতিদের চোখে পড়ে মূল আসামীকে আড়াল করে তৎকালীন কালিয়াচক থানা, বর্তমানে ইংরেজবাজার থানার আইসি ও দুই সাব ইন্সপেক্টর আবেদনকারীকেই দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেন ৷ তাই বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস-সহ দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷"

যদিও এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনকারীর আইনজীবী স্ট্যালিন বিশ্বাস জানান, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ ৷ বিচার প্রক্রিয়ায় পুলিশের সেই ভূমিকা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : পুলিশের খাতায় ফেরার তৃণমূল নেতাকে রেশনের ডিলারশিপ, অভিযোগ দায়ের

হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য

মালদা, 21 ডিসেম্বর: 10 লাখ টাকা জাল নোটের মামলায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগে ইংরেজবাজার থানার আইসি-সহ দুই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ(Malda Division bench of High Court ordered to Punished Three Police officer in fake note Case)৷ মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন বিচারপতিরা ৷ ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশের কপি রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যদিও এই নিয়ে এখনও জেলায় কোনও নির্দেশিকা আসেনি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর ৷ তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2020 সালের 29 জানুয়ারি কালিয়াচক থানায় একটি জাল নোটের মামলা রুজু হয় (কেস নম্বর 88 of 2020)৷ ওই মামলায় ধৃত মেরাজুল হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 489B, 489C ও 120B ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ মেরাজুল হক এখনও সংশোধনাগারে রয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করা হয় ৷ তদন্ত রিপোর্টও হাইকোর্টে জমা পড়ে ৷ তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশিকা জারি করে ৷

আরও পড়ুন : মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্রে খুলি উদ্ধারের তদন্তে স্নিফার ডগ-বম্ব স্কোয়াড

নির্দেশিকায় বিচারপতিরা জানান, এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর হেফাজত থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু মামলার তদন্তকারী অফিসার, এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার অভিযুক্ত শংকরের মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানান ৷ পরবর্তীতে এসআই পবিত্র মাহাতোও অভিযুক্ত শংকরকে আড়াল করার চেষ্টা করেন ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এতে অনুমোদন দেন কালিয়াচক থানার তৎকালীন আইসিও ৷ পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করা হলে মূল অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় ৷ এই মামলায় আবেদনকারীর হেফাজত থেকে কোনও জাল নোট উদ্ধার হয়নি ৷ তাই 10 হাজার টাকার বিনিময়ে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে জামিনে মুক্তি পেলেও আবেদনকারীকে মালদা জেলা আদালতের ট্রায়ালে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে ৷

একই সঙ্গে বিচারপতিরা জানান, পুলিশের এই কাজে আবেদনকারী দু’বছরের বেশি সময় জেলবন্দি রয়েছেন ৷ তাই এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার, এসআই পবিত্র মাহাতো এবং তৎকালীন কালিয়াচক থানার আইসির বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার চলাকালীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (সাসপেনশন) নেওয়ার জন্য ডিজি ও আইজিকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷

আরও পড়ুন : 39 হাজার জালনোট-সহ এসটিএফের জালে সিভিক ভলান্টিয়ার

এই ব্যাপারে কলকাতা থেকে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম ফোনে ইটিভি ভারতকে বলেন, "কলকাতা হাইকোর্টে জাল নোটের মামলার এক বন্দি জামিনের আবেদন জানান ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিচারপতিদের চোখে পড়ে মূল আসামীকে আড়াল করে তৎকালীন কালিয়াচক থানা, বর্তমানে ইংরেজবাজার থানার আইসি ও দুই সাব ইন্সপেক্টর আবেদনকারীকেই দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেন ৷ তাই বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস-সহ দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷"

যদিও এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনকারীর আইনজীবী স্ট্যালিন বিশ্বাস জানান, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ ৷ বিচার প্রক্রিয়ায় পুলিশের সেই ভূমিকা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : পুলিশের খাতায় ফেরার তৃণমূল নেতাকে রেশনের ডিলারশিপ, অভিযোগ দায়ের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.