ETV Bharat / state

সাইবার প্রতারণা, মালদা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার উত্তর 24 পরগনার যুবক - Malda Cyber Crime

ফোনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আদায় করে ওই ব্যক্তি ৷ জেরায় জানা গেছে এর পিছনে একটি সংস্থা রয়েছে ৷ সেখানে সাইবার জালিয়াতির জন্যই লোক নিয়োগ করা হয় ৷

Malda
মালদা
author img

By

Published : Jul 6, 2020, 7:13 PM IST

মালদা , 6 জুলাই : ভিন জেলার সাইবার প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করল মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ আজ ওই প্রতারককে জেলায় নিয়ে আসা হয়েছে ৷ ধৃতের নাম অভি কুণ্ডু(26) ৷ আগামীকাল পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে ৷

ওই প্রতারকের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার উত্তর নিমতা পাইকপাড়ায় ৷ মালদা সাইবার পুলিশ থানা সূত্রে জানা গেছে , গত বছরের অগাস্ট মাসে ঘটনার সূত্রপাত ৷ মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা , মহম্মদ ইসমাইল ইংরেজবাজার সাইবার পুলিশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগপত্রে তিনি জানান , ওই বছরের 2 অগাস্ট তাঁর কাছে একটি ফোন আসে ৷ ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি তাঁকে জানান , তিনি একটি ফিন্যান্স কম্পানির ম্যানেজার ৷ তাঁর কম্পানি ঋণ দেয় ৷ সেকথা শুনে ইসমাইল সাহেব ঋণ নিতে আগ্রহ দেখান ৷ তাঁকে বলা হয় , তিনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ চাইছেন , তার জন্য প্রথমে তাঁকে মোট 8 লাখ 29 হাজার টাকা জমা দিতে হবে ৷ তবে একসঙ্গে সেই টাকা জমা দিতে হবে না ৷ একাধিক দফায় তাঁকে একাধিক অ্যাকাউন্ট নম্বরে সেই টাকা দিতে হবে ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বলায় প্রথমে ইসমাইল সাহেবেরও কোনও সন্দেহ হয়নি ৷ তিনি ফোনে পাওয়া নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম তিন কিস্তির টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেন ৷ তারপরেই ফোনে কথাবার্তা বলে তাঁর সন্দেহ হয় ৷ তিনি গোটা ঘটনাটি লিখিতভাবে পুলিশকে জানান ৷ অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷

তদন্ত চলাকালীম পুলিশ জানতে পারে, ইসমাইল সাহেব তিন দফায় ব্যাঙ্কের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে মোট 47 হাজার টাকা জমা দিয়েছেন ৷ ওই অ্যাকাউন্ট নম্বরের সন্ধানে নেমে জানা যায় , সেটি অভি কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তির ৷ গতকাল রাতে তার উত্তর নিমতা পাইকপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় মালদা জেলা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ অভির হেপাজত থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় ৷ সেই ফোন থেকেই সে ইসমাইল সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করত ৷ পুলিশের প্রাথমিক জেরায় সে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ পুলিশকে সে জানায় , সে সেখানকার বিনায়ক ইনফোটেক ই-লার্নিং সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থায় কাজ করে ৷ সেখানে তাকে সাইবার জালিয়াতির জন্যই নিয়োগ করা হয় ৷ কম্পানি থেকে তাকে এই ফোনটি দেওয়া হয় ৷ এই ফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন সে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করত ৷ এই কম্পানির মালিক নিউটাউন এলাকার এক মহিলা ৷ শুধু সে নয় , তার মতো আরও অনেক কর্মী এই কম্পানির হয়ে সাইবার প্রতারণায় যুক্ত ৷ এরপরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলায় নিয়ে আসে ৷

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর 24 পরগনার এক ব্যক্তিকে জালিয়াতির দায়ে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ আগামীকাল তাকে আদালতে পেশ করা হবে ৷ এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাও তদন্ত করে দেখা হবে ৷”

মালদা , 6 জুলাই : ভিন জেলার সাইবার প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করল মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ আজ ওই প্রতারককে জেলায় নিয়ে আসা হয়েছে ৷ ধৃতের নাম অভি কুণ্ডু(26) ৷ আগামীকাল পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে ৷

ওই প্রতারকের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার উত্তর নিমতা পাইকপাড়ায় ৷ মালদা সাইবার পুলিশ থানা সূত্রে জানা গেছে , গত বছরের অগাস্ট মাসে ঘটনার সূত্রপাত ৷ মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা , মহম্মদ ইসমাইল ইংরেজবাজার সাইবার পুলিশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগপত্রে তিনি জানান , ওই বছরের 2 অগাস্ট তাঁর কাছে একটি ফোন আসে ৷ ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি তাঁকে জানান , তিনি একটি ফিন্যান্স কম্পানির ম্যানেজার ৷ তাঁর কম্পানি ঋণ দেয় ৷ সেকথা শুনে ইসমাইল সাহেব ঋণ নিতে আগ্রহ দেখান ৷ তাঁকে বলা হয় , তিনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ চাইছেন , তার জন্য প্রথমে তাঁকে মোট 8 লাখ 29 হাজার টাকা জমা দিতে হবে ৷ তবে একসঙ্গে সেই টাকা জমা দিতে হবে না ৷ একাধিক দফায় তাঁকে একাধিক অ্যাকাউন্ট নম্বরে সেই টাকা দিতে হবে ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বলায় প্রথমে ইসমাইল সাহেবেরও কোনও সন্দেহ হয়নি ৷ তিনি ফোনে পাওয়া নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম তিন কিস্তির টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেন ৷ তারপরেই ফোনে কথাবার্তা বলে তাঁর সন্দেহ হয় ৷ তিনি গোটা ঘটনাটি লিখিতভাবে পুলিশকে জানান ৷ অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷

তদন্ত চলাকালীম পুলিশ জানতে পারে, ইসমাইল সাহেব তিন দফায় ব্যাঙ্কের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে মোট 47 হাজার টাকা জমা দিয়েছেন ৷ ওই অ্যাকাউন্ট নম্বরের সন্ধানে নেমে জানা যায় , সেটি অভি কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তির ৷ গতকাল রাতে তার উত্তর নিমতা পাইকপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় মালদা জেলা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ অভির হেপাজত থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় ৷ সেই ফোন থেকেই সে ইসমাইল সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করত ৷ পুলিশের প্রাথমিক জেরায় সে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ পুলিশকে সে জানায় , সে সেখানকার বিনায়ক ইনফোটেক ই-লার্নিং সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থায় কাজ করে ৷ সেখানে তাকে সাইবার জালিয়াতির জন্যই নিয়োগ করা হয় ৷ কম্পানি থেকে তাকে এই ফোনটি দেওয়া হয় ৷ এই ফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন সে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করত ৷ এই কম্পানির মালিক নিউটাউন এলাকার এক মহিলা ৷ শুধু সে নয় , তার মতো আরও অনেক কর্মী এই কম্পানির হয়ে সাইবার প্রতারণায় যুক্ত ৷ এরপরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলায় নিয়ে আসে ৷

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর 24 পরগনার এক ব্যক্তিকে জালিয়াতির দায়ে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ আগামীকাল তাকে আদালতে পেশ করা হবে ৷ এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাও তদন্ত করে দেখা হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.