ETV Bharat / state

"মমতার নজর ভোট ব্যাঙ্ক, মোদির মধ্যে হিন্দু-মুসলিমে ভেদাভেদ দেখিনি" - bjp

কোওমর মহসিন, যিনি গত ৩০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সান্নিধ্যে। দ্বিতীয় জন ইশরাত জাহান, যাঁকে দেশবাসী তিন তালাক বিরোধী মুখ হিসেবে চেনে। মালদায় প্রচারে বেরোনোর আগে আজ দু'জনেই মুখোমুখি হলেন ETV ভারতের প্রতিনিধির।

মোদি
author img

By

Published : Apr 13, 2019, 9:08 PM IST

মালদা, 13 এপ্রিল : একজনের পরিচিতি নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তানের বোন হিসেবে, আরেকজন গোটা দেশে তিন তালাক বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত। এই মুহূর্তে তাঁরা দুজনেই গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ। একজন কোওমর মহসিন, যিনি গত ৩০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সান্নিধ্যে। দ্বিতীয় জন ইশরাত জাহান, যাঁকে দেশবাসী তিন তালাক বিরোধী মুখ হিসেবে চেনে। প্রচারে বেরোনোর আগে আজ দু'জনেই মুখোমুখি হলেন ETV ভারতের প্রতিনিধির।

কোওমর মহসিন
কোওমর মহসিন

পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া, বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে ভারতীয় কোওমর মহসিন বলেন, "আমি মোদিজির সঙ্গে ৩০ বছর ধরে পরিচিত। গত ২৪-২৫ বছর ধরে তাঁকে রাখি বাঁধি। তখন তিনি RSS-র কার্যকর্তা ছিলেন। তখন থেকেই তাঁকে কিছু করার চিন্তাভাবনা নিয়ে লড়াই করতে দেখেছি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর এই সমস্ত গুণ এখনও পর্যন্ত অন্য কারোর মধ্যে নেই। আমার ভাইয়ের জন্য আমি গর্বিত। আমি তাঁর মধ্যে হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ দেখিনি। হিন্দু কিংবা মুসলিম, যেই ভুল কাজ করেন উনি তার বিরুদ্ধে।" প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষদের কী বার্তা দেবেন ? কোওমর বলেন, "নরেন্দ্র ভাইয়ের প্রচুর প্রকল্প এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। আমি সেসবই সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরব। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি সহ অন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেননি। সাধারণ মানুষ জানেন না, এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেলে তাঁরা কতখানি উপকৃত হবেন। নরেন্দ্র ভাইয়ের কাজগুলোকে আমি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।"

ইশরাত জাহান
ইশরাত জাহান

এদিকে দেশে তিন তালাক বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ ইশরাত জাহান বলেন, "আমি এখানকার প্রতিটি মহিলার কাছে যেতে চাই। মহিলাদের জানাতে চাই কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। বিশেষত মুসলিম মহিলাদের কাছে গিয়ে আমি বলতে চাই, আমাদের সমাজে এখনও ভুল পদ্ধতিতে বিবাহিতা মহিলাদের তালাক দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম মহিলারা যেন কিছুতেই তা মেনে না নেন। তাঁরা যেন এর প্রতিবাদ করেন। মোদিজি সাধারণ মানুষের জন্য প্রচুর প্রকল্প চালু করেছেন। সেই সব প্রকল্পের কথা আমি মহিলাদের জানাতে চাই। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা। কিন্তু মহিলাদের দুঃখ, কষ্ট তিনি দেখতে পান না। এই রাজ্যে বাচ্চা থেকে শুরু করে ৭০-৮০ বছর বয়সি মায়েরা ধর্ষিত হন। ধর্ষণের মতো ঘটনাকেও তিনি মামুলি বিষয় বলে মন্তব্য করেন। মহিলাদের পাশে থাকেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নজর শুধু মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের দিকে। কারণ তিনি জানেন, সংখ্যালঘুদের ভোট না পেলে তিনি ক্ষমতায় আসবেন না। আমি মানুষের কাছে গিয়ে বলব, সব দিক বিবেচনা করে যাকে ইচ্ছা তাকেই যেন তাঁরা ভোট দেন।"

ইশরাতকে প্রশ্ন করা হয়, যে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির পক্ষে তিনি আজ প্রচার করতে এসেছেন, তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। এনিয়ে তিনি কী বলবেন ? উত্তরে ইশরাত বলেন, "এটা আমার জানা নেই। তবে তৃণমূলে থাকাকালীন নিশ্চয়ই ওই দলের খারাপ কিছু দেখেছিলেন। নিশ্চয়ই সেই কারণে BJP-তে যোগ দিয়েছেন।"

মালদা, 13 এপ্রিল : একজনের পরিচিতি নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তানের বোন হিসেবে, আরেকজন গোটা দেশে তিন তালাক বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত। এই মুহূর্তে তাঁরা দুজনেই গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ। একজন কোওমর মহসিন, যিনি গত ৩০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সান্নিধ্যে। দ্বিতীয় জন ইশরাত জাহান, যাঁকে দেশবাসী তিন তালাক বিরোধী মুখ হিসেবে চেনে। প্রচারে বেরোনোর আগে আজ দু'জনেই মুখোমুখি হলেন ETV ভারতের প্রতিনিধির।

কোওমর মহসিন
কোওমর মহসিন

পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া, বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে ভারতীয় কোওমর মহসিন বলেন, "আমি মোদিজির সঙ্গে ৩০ বছর ধরে পরিচিত। গত ২৪-২৫ বছর ধরে তাঁকে রাখি বাঁধি। তখন তিনি RSS-র কার্যকর্তা ছিলেন। তখন থেকেই তাঁকে কিছু করার চিন্তাভাবনা নিয়ে লড়াই করতে দেখেছি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর এই সমস্ত গুণ এখনও পর্যন্ত অন্য কারোর মধ্যে নেই। আমার ভাইয়ের জন্য আমি গর্বিত। আমি তাঁর মধ্যে হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ দেখিনি। হিন্দু কিংবা মুসলিম, যেই ভুল কাজ করেন উনি তার বিরুদ্ধে।" প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষদের কী বার্তা দেবেন ? কোওমর বলেন, "নরেন্দ্র ভাইয়ের প্রচুর প্রকল্প এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। আমি সেসবই সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরব। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি সহ অন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেননি। সাধারণ মানুষ জানেন না, এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেলে তাঁরা কতখানি উপকৃত হবেন। নরেন্দ্র ভাইয়ের কাজগুলোকে আমি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।"

ইশরাত জাহান
ইশরাত জাহান

এদিকে দেশে তিন তালাক বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ ইশরাত জাহান বলেন, "আমি এখানকার প্রতিটি মহিলার কাছে যেতে চাই। মহিলাদের জানাতে চাই কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। বিশেষত মুসলিম মহিলাদের কাছে গিয়ে আমি বলতে চাই, আমাদের সমাজে এখনও ভুল পদ্ধতিতে বিবাহিতা মহিলাদের তালাক দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম মহিলারা যেন কিছুতেই তা মেনে না নেন। তাঁরা যেন এর প্রতিবাদ করেন। মোদিজি সাধারণ মানুষের জন্য প্রচুর প্রকল্প চালু করেছেন। সেই সব প্রকল্পের কথা আমি মহিলাদের জানাতে চাই। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা। কিন্তু মহিলাদের দুঃখ, কষ্ট তিনি দেখতে পান না। এই রাজ্যে বাচ্চা থেকে শুরু করে ৭০-৮০ বছর বয়সি মায়েরা ধর্ষিত হন। ধর্ষণের মতো ঘটনাকেও তিনি মামুলি বিষয় বলে মন্তব্য করেন। মহিলাদের পাশে থাকেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নজর শুধু মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের দিকে। কারণ তিনি জানেন, সংখ্যালঘুদের ভোট না পেলে তিনি ক্ষমতায় আসবেন না। আমি মানুষের কাছে গিয়ে বলব, সব দিক বিবেচনা করে যাকে ইচ্ছা তাকেই যেন তাঁরা ভোট দেন।"

ইশরাতকে প্রশ্ন করা হয়, যে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির পক্ষে তিনি আজ প্রচার করতে এসেছেন, তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। এনিয়ে তিনি কী বলবেন ? উত্তরে ইশরাত বলেন, "এটা আমার জানা নেই। তবে তৃণমূলে থাকাকালীন নিশ্চয়ই ওই দলের খারাপ কিছু দেখেছিলেন। নিশ্চয়ই সেই কারণে BJP-তে যোগ দিয়েছেন।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.