ETV Bharat / state

উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়, 5 বছর ধরে বাড়িতেই শিকলবন্দী যুবক

অভাবের সংসারে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানো যায়নি । তাই গত পাঁচ বছর ধরে ছেলেকে শিকলবন্দী করে রেখেছেন বাবা-মা । ঘটনাটি পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়়ুইপাড়া গ্রামে ৷

Barun Ram
মানসিক প্রতিবন্ধী বরুণ রাম
author img

By

Published : Feb 22, 2020, 5:31 PM IST

Updated : Feb 22, 2020, 6:46 PM IST

মালদা ,22 ফেব্রুয়ারি : টাঙনের পাশে ছোট্ট গ্রাম ৷ গ্রামবাসীদের বেশিরভাগই দিন আনি দিন খাই সমাজের প্রতিনিধি ৷ এই গ্রামেই এক বাড়িতে চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে গত পাঁচ বছর ধরে ৷ ওই বাড়ির একমাত্র ছেলেকে শিকলবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ তাকে বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে পায়ে শিকল বেঁধেই নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কারণ, ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ এই দৃশ্য গ্রামবাসীদের এখন চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ তারা সবাই চাইছে, সরকারিভাবে চিকিৎসা করে ছেলেটিকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা হোক ৷ বিষয়টি জেনে চমকে উঠেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারাও ৷ তাঁরা দ্রুত ওই যুবকের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়়ুইপাড়া গ্রামে ৷

বাড়ুইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিবশংকর রাম ৷ বয়স প্রায় ৬০ ৷ পেশায় শ্রমিক তিনি ৷ বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ কাজ সেরে আজই তিনি দিল্লির সেকেন্দারপুর থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন ৷ তাঁর স্ত্রী সেমি রাম গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন ৷ তাঁদের চার মেয়ে, এক ছেলে ৷ এক মেয়ে জুলি স্বামী পরিত্যক্তা ৷ এখন বাবার বাড়িতেই তাঁর আশ্রয় ৷ রাম দম্পতির একমাত্র ছেলে বরুণ ৷ বয়স ২৬ বছর ৷ আট বছর বয়স থেকে বরুণ মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ অভাবের সংসারে সাধ্যমতো ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন অভিভাবকরা ৷ ওঝা-গুণিনের কাছে ঝাড়ফুঁকও চলেছে ৷ কিন্তু ছেলে সুস্থ হয়নি ৷ বছর পাঁচেক আগে বরুণ একবার নিরুদ্দেশ হয়ে যান ৷ বামনগোলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় ৷ তারপর থেকে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি বাবা-মা ৷ তখন থেকেই বরুণকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে ৷ আজ শিবশংকরবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অন্ধকার একটি ঘরে পায়ে শিকলবন্দী বরুণ আলোর খোঁজে ব্যস্ত ৷ তাঁর আচরণে একবারও বোঝা যায়নি, তিনি কখনও হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন ৷ তাঁর অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, বরুণ হিংস্র নয় ৷ নিরাপত্তার জন্যই তাকে পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়েছে ৷

শিবশংকরবাবু বলেন, “ওকে নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি ৷ কোনও কাজকর্মও করতে পারে না৷ যতটা পেরেছি, ওর চিকিৎসা করিয়েছি৷ ঠিক হয়নি৷ চিকিৎসকরা বলছেন, ওকে সুস্থ করা যাবে না ৷ ওকে ছেড়ে রাখলেও এখানে সেখানে চলে যায় ৷ কেউ হয়তো ওকে চোর বলে মারধরও করতে পারে৷ তাই ওর পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছি ৷ ওর নিরাপত্তার জন্যই ওকে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ তবে ওর চিকিৎসার জন্য কারোর কাছে এখনও সাহায্যের আবেদন জানাইনি৷” সেমিদেবী বলেন, “ওকে ছেড়ে রাখলেও পালিয়ে যায় ৷ একবার তো ওকে এলাকাতেই খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ শেষ পর্যন্ত বামনগোলার নালাগোলা থেকে ওকে উদ্ধার করে আনা হয় ৷ তাই গত পাঁচ বছর ধরে ওর পায়ে শিকল বেঁধে তালা বন্ধ করে রেখেছি ৷ আমাকেও কাজে যেতে হয়৷ ওর বাবা বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে কাজে যায়৷ পালিয়ে গেলে ওকে কে খুঁজে দেবে? যতটা পেরেছি ওর চিকিৎসা করিয়েছি৷ আমরা গরিব মানুষ৷ বেশি কিছু করতে পারিনি ৷ সরকারি সাহায্যের বিষয়ও আমাদের খুব একটা জানা নেই৷ ওর প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে ৷ মাসে এক হাজার টাতা করে ভাতা পায়৷ তবে তাতে কিছু হয় না৷ ওর পক্ষে যা ভালো হবে, আমরা করব৷ প্রয়োজনে আমি বিডিও’র কাছেও যাব ৷”

উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়, 5 বছর ধরে বাড়িতেই শিকলবন্দী যুবক

এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত গুপ্ত বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ছবি দেখছি ৷ বরুণের চিকিৎসার জন্য অনেককে বলাও হয়েছে ৷ কিন্তু ওরা গরিব মানুষ ৷ কেউ পাত্তা দেয় না ৷ অর্থের অভাবেই পরিবারটি ছেলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছে না ৷ ওর মা গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন৷ বাবা ভিনরাজ্যের শ্রমিক৷ প্রতিবেশীরা যতটা পারে সাহায্য করে ৷ কিন্তু অতবড় ছেলেকে সবসময় চোখে চোখে রাখাও সম্ভব নয়৷ তাই ওর পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়৷ বরুণের চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ৷ প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসে, তবে খুব ভালো হয় ৷ ভোট আসলে সবাই আসে, সবাই যায়৷ কিন্তু ভোট মিটলে সব ফুরিয়ে যায়৷ যার মাথায় তেল নেই, তার কিছুই নেই ৷” আরেক প্রতিবেশী মনোজ মণ্ডল বলেন, “সভ্য কোনও মানুষ এভাবে থাকতে পারে না৷ আমরা বরুণের চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে বলেছিলাম৷ কিন্তু তিনি কিছু করেননি৷ ওর বাবা-মা গরিব৷ বরুণের পিছনে অনেক টাকা খরচ করেছেন তাঁরা৷ ওঝা-গুণিনও করা হয়েছে৷ কাজ হয়নি৷ আমরা চাই, সবাই চেষ্টা করে ছেলেটাকে যেন সুস্থ করে তোলেন৷”

বরুণের ঘটনা কানে গিয়েছে এলাকার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের ৷ তিনি বলেন, “অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা ৷ একটি তরতাজা ছেলেকে যেভাবে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে তা ভাবা যায় না ৷ আমি খবরটা পেয়েছি ৷ সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটির সব তথ্য সংগ্রহ করেছি ৷ ছেলেটির উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি ব্যবস্থা করছি ৷ কিছুদিন আগে সেখানেই একটি মেয়েকেও এভাবে শিকলবন্দি করে রাখার খবর পেয়েছিলাম ৷ চিকিৎসার পর মেয়েটি এখন সুস্থ ৷ আমরাও চাই, এই সমাজে যেন কাউকে এভাবে দিন কাটাতে না হয় ৷ এটা সত্যিই লজ্জার৷ আমি আগামীকালই ছেলেটিকে দেখতে ওর বাড়িতে যাব ৷ যথাযথ চিকিৎসায় ছেলেটি যাতে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করব ৷ এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও আমি কথা বলব ৷” আজ ছুটি থাকায় পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়নি৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক৷ আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷ ওই যুবকের বাড়িতে মেডিকেল টিম পাঠানো হবে ৷ মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা হবে ৷

মালদা ,22 ফেব্রুয়ারি : টাঙনের পাশে ছোট্ট গ্রাম ৷ গ্রামবাসীদের বেশিরভাগই দিন আনি দিন খাই সমাজের প্রতিনিধি ৷ এই গ্রামেই এক বাড়িতে চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে গত পাঁচ বছর ধরে ৷ ওই বাড়ির একমাত্র ছেলেকে শিকলবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ তাকে বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে পায়ে শিকল বেঁধেই নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কারণ, ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ এই দৃশ্য গ্রামবাসীদের এখন চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ তারা সবাই চাইছে, সরকারিভাবে চিকিৎসা করে ছেলেটিকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা হোক ৷ বিষয়টি জেনে চমকে উঠেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারাও ৷ তাঁরা দ্রুত ওই যুবকের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়়ুইপাড়া গ্রামে ৷

বাড়ুইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিবশংকর রাম ৷ বয়স প্রায় ৬০ ৷ পেশায় শ্রমিক তিনি ৷ বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ কাজ সেরে আজই তিনি দিল্লির সেকেন্দারপুর থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন ৷ তাঁর স্ত্রী সেমি রাম গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন ৷ তাঁদের চার মেয়ে, এক ছেলে ৷ এক মেয়ে জুলি স্বামী পরিত্যক্তা ৷ এখন বাবার বাড়িতেই তাঁর আশ্রয় ৷ রাম দম্পতির একমাত্র ছেলে বরুণ ৷ বয়স ২৬ বছর ৷ আট বছর বয়স থেকে বরুণ মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ অভাবের সংসারে সাধ্যমতো ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন অভিভাবকরা ৷ ওঝা-গুণিনের কাছে ঝাড়ফুঁকও চলেছে ৷ কিন্তু ছেলে সুস্থ হয়নি ৷ বছর পাঁচেক আগে বরুণ একবার নিরুদ্দেশ হয়ে যান ৷ বামনগোলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় ৷ তারপর থেকে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি বাবা-মা ৷ তখন থেকেই বরুণকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে ৷ আজ শিবশংকরবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অন্ধকার একটি ঘরে পায়ে শিকলবন্দী বরুণ আলোর খোঁজে ব্যস্ত ৷ তাঁর আচরণে একবারও বোঝা যায়নি, তিনি কখনও হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন ৷ তাঁর অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, বরুণ হিংস্র নয় ৷ নিরাপত্তার জন্যই তাকে পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়েছে ৷

শিবশংকরবাবু বলেন, “ওকে নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি ৷ কোনও কাজকর্মও করতে পারে না৷ যতটা পেরেছি, ওর চিকিৎসা করিয়েছি৷ ঠিক হয়নি৷ চিকিৎসকরা বলছেন, ওকে সুস্থ করা যাবে না ৷ ওকে ছেড়ে রাখলেও এখানে সেখানে চলে যায় ৷ কেউ হয়তো ওকে চোর বলে মারধরও করতে পারে৷ তাই ওর পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছি ৷ ওর নিরাপত্তার জন্যই ওকে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ তবে ওর চিকিৎসার জন্য কারোর কাছে এখনও সাহায্যের আবেদন জানাইনি৷” সেমিদেবী বলেন, “ওকে ছেড়ে রাখলেও পালিয়ে যায় ৷ একবার তো ওকে এলাকাতেই খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ শেষ পর্যন্ত বামনগোলার নালাগোলা থেকে ওকে উদ্ধার করে আনা হয় ৷ তাই গত পাঁচ বছর ধরে ওর পায়ে শিকল বেঁধে তালা বন্ধ করে রেখেছি ৷ আমাকেও কাজে যেতে হয়৷ ওর বাবা বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে কাজে যায়৷ পালিয়ে গেলে ওকে কে খুঁজে দেবে? যতটা পেরেছি ওর চিকিৎসা করিয়েছি৷ আমরা গরিব মানুষ৷ বেশি কিছু করতে পারিনি ৷ সরকারি সাহায্যের বিষয়ও আমাদের খুব একটা জানা নেই৷ ওর প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে ৷ মাসে এক হাজার টাতা করে ভাতা পায়৷ তবে তাতে কিছু হয় না৷ ওর পক্ষে যা ভালো হবে, আমরা করব৷ প্রয়োজনে আমি বিডিও’র কাছেও যাব ৷”

উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়, 5 বছর ধরে বাড়িতেই শিকলবন্দী যুবক

এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত গুপ্ত বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ছবি দেখছি ৷ বরুণের চিকিৎসার জন্য অনেককে বলাও হয়েছে ৷ কিন্তু ওরা গরিব মানুষ ৷ কেউ পাত্তা দেয় না ৷ অর্থের অভাবেই পরিবারটি ছেলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছে না ৷ ওর মা গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন৷ বাবা ভিনরাজ্যের শ্রমিক৷ প্রতিবেশীরা যতটা পারে সাহায্য করে ৷ কিন্তু অতবড় ছেলেকে সবসময় চোখে চোখে রাখাও সম্ভব নয়৷ তাই ওর পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়৷ বরুণের চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ৷ প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসে, তবে খুব ভালো হয় ৷ ভোট আসলে সবাই আসে, সবাই যায়৷ কিন্তু ভোট মিটলে সব ফুরিয়ে যায়৷ যার মাথায় তেল নেই, তার কিছুই নেই ৷” আরেক প্রতিবেশী মনোজ মণ্ডল বলেন, “সভ্য কোনও মানুষ এভাবে থাকতে পারে না৷ আমরা বরুণের চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে বলেছিলাম৷ কিন্তু তিনি কিছু করেননি৷ ওর বাবা-মা গরিব৷ বরুণের পিছনে অনেক টাকা খরচ করেছেন তাঁরা৷ ওঝা-গুণিনও করা হয়েছে৷ কাজ হয়নি৷ আমরা চাই, সবাই চেষ্টা করে ছেলেটাকে যেন সুস্থ করে তোলেন৷”

বরুণের ঘটনা কানে গিয়েছে এলাকার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের ৷ তিনি বলেন, “অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা ৷ একটি তরতাজা ছেলেকে যেভাবে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে তা ভাবা যায় না ৷ আমি খবরটা পেয়েছি ৷ সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটির সব তথ্য সংগ্রহ করেছি ৷ ছেলেটির উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি ব্যবস্থা করছি ৷ কিছুদিন আগে সেখানেই একটি মেয়েকেও এভাবে শিকলবন্দি করে রাখার খবর পেয়েছিলাম ৷ চিকিৎসার পর মেয়েটি এখন সুস্থ ৷ আমরাও চাই, এই সমাজে যেন কাউকে এভাবে দিন কাটাতে না হয় ৷ এটা সত্যিই লজ্জার৷ আমি আগামীকালই ছেলেটিকে দেখতে ওর বাড়িতে যাব ৷ যথাযথ চিকিৎসায় ছেলেটি যাতে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করব ৷ এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও আমি কথা বলব ৷” আজ ছুটি থাকায় পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়নি৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক৷ আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি ৷ ওই যুবকের বাড়িতে মেডিকেল টিম পাঠানো হবে ৷ মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা হবে ৷

Last Updated : Feb 22, 2020, 6:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.