মালদা, 10 ফেব্রুয়ারি: বিয়ের তিন বছর পরও সন্তানের জন্ম না হওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক থানার চণ্ডীপুর এলাকায়।
মৃত গৃহবধূর নাম চুমকি মণ্ডল (23)। বাড়ি কাঠিহারের আমেদাবাদ থানার লক্ষ্মীতলা এলাকায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে চণ্ডীপুর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় চুমকির। অভিযোগ, বিয়ের তিন বছর কেটে গেলেও সন্তান না হওয়ায় চুমকির ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মঙ্গলবার তা চরমে ওঠে। সেই সময়েই চুমকির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা৷
স্থানীয় বাসিন্দারা চুমকিকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেলে ভরতি করেন। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পেরে মালদা মেডিকেলে ছুটে আসেন চুমকির বাপের বাড়ির লোকেরা৷ বুধবার আজ ভোরে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় চুমকির।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, বেপাত্তা অভিযুক্ত স্বামী
চুমকির দাদা সরবন কুমার সিং বুধবার বলেন, “বিয়ের তিন বছর পেরোনোর পরও সন্তানের জন্ম না হওয়ায় বোনের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঝামেলা হত। মঙ্গলবার রাতে অশান্তি চলাকালীনই বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীদের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা এখানে আসি৷ মালদা মেডিকেলে বোনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। আজ ভোরে বোনের মৃত্যু হওয়ার পরই ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে পারিনি। তবে এই ঘটনায় বোনের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।”