ETV Bharat / state

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কমিশন চাওয়ার অভিযোগ

author img

By

Published : Jun 9, 2021, 7:27 PM IST

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তুলসিহাটা ব্রাঞ্চের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কমিশন চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ গ্রাহকদের অভিযোগ, ঋণের জন্য আবেদন করা হলে, তা পাশ করানোর জন্য 10 শতাংশ কমিশন চাইছেন ম্যানেজার ৷ এ নিয়ে এবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷

government-bank-branch-manager-demand-commission-from-customers-in-harishchandrapur-malda
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কমিশন চাওয়ার অভিযোগ

মালদা, 9 জুন : সরকারি প্রকল্পে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ছিলই ৷ এবার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিরুদ্ধেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাটার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ৷

অভিযোগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তুলসিহাটা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার সিং ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের কাছ থেকে কাটমানি দাবি করেছেন ৷ গত তিন বছর ধরেই এমন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ৷ কাটমানি না দেওয়ায় অনেককে ঋণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷ যাঁরা সেই শর্তে রাজি হয়েছেন, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযোগ, ঋণ নিতে গেলে আগে সঞ্জয়বাবুকে ন্যূনতম 10 শতাংশ কমিশন দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁর কাছ থেকে বিমাও করাতে হচ্ছে গ্রাহককে ৷ এনিয়ে বেশ কয়েকজন রুষ্ট হলেও, তাঁরা কোথায় অভিযোগ জানাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ৷ শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা অনলাইনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷

এমনই এক গ্রাহক অভিজিৎ গুপ্ত বলেন, “তিন বছর আগে 10 লাখ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করি ৷ পূর্বতন ম্যানেজার সেই ঋণ অনুমোদনও করে দেন ৷ কিন্তু বর্তমান ম্যানেজার দায়িত্বে আসার পর অন্তত একশোবার ব্যাংকে গিয়েছি ৷ ঋণের টাকা পাইনি ৷ ম্যানেজার একেক সময় এক এক রকম কথা বলছেন ৷ এর মধ্যে অনেককে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু আমাকে দেওয়া হচ্ছে না ৷ শেষে তিনি আমার কাছে এক লাখ টাকা কমিশন চান ৷ আমি তাঁকে সেই কমিশন দিতে রাজি হইনি ৷ পরে শুনলাম, শুধু আমি নই, তুলসিহাটা এলাকার আরও ছয় থেকে সাতজনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে ৷ ঋণ পেতে শেষ পর্যন্ত আমরা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ এখন ম্যানেজার নড়েচড়ে বসেছেন’’ ৷

10 শতাংশ কমিশন দিয়েই নাকি চার লাখ টাকার ঋণ পেয়েছেন স্থানীয় বিপ্লব গুপ্ত ৷ তিনিও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তিনি বলেন, “বছরখানেক আগে চার লাখ টাকা ঋণের খুব দরকার পড়েছিল ৷ সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছিলাম ৷ আমার কাছে ম্যানেজার 20 শতাংশ কমিশন দাবি করেছিলেন ৷ আমি রাজি হইনি ৷ আমি পিছিয়ে যাই ৷ পরে ব্যাংকে অন্য কাজে যাওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে ডেকে কথা বলেন ৷ শেষ পর্যন্ত কিছু কম কমিশন দিয়ে আমি ঋণের টাকা পেয়েছি ৷ টাকাটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল ৷ আমি এ নিয়ে আগেই অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু কোথায় তা জানাব বুঝতে পারিনি ৷ পরে জানতে পারি, আরও অনেকেই এই ম্যানেজারের শিকার ৷ অনেকেই এ নিয়ে অনলাইনে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাই আমিও অভিযোগ জানাতে এগিয়ে এসেছি’’ ৷

আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, মামলা সিবিআইয়ের

যদিও ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার সিং-র দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ তিনি বলেন, “যে গ্রাহক 10 লাখ টাকা ঋণের আবেদন করেছিলেন, তাঁর নথিপত্রে কিছু সমস্যা ছিল ৷ তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা জানানো হয় ৷ কিন্তু, তিনি এখনও রিজিওনাল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ৷ তাছাড়া এই ব্রাঞ্চ থেকে আমরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করতে পারি ৷ তার বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই সেই ঋণ অনুমোদন করে ৷ আমার বিরুদ্ধে কমিশন সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই’’ ৷

মালদা, 9 জুন : সরকারি প্রকল্পে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ছিলই ৷ এবার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিরুদ্ধেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাটার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ৷

অভিযোগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তুলসিহাটা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার সিং ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের কাছ থেকে কাটমানি দাবি করেছেন ৷ গত তিন বছর ধরেই এমন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ৷ কাটমানি না দেওয়ায় অনেককে ঋণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷ যাঁরা সেই শর্তে রাজি হয়েছেন, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযোগ, ঋণ নিতে গেলে আগে সঞ্জয়বাবুকে ন্যূনতম 10 শতাংশ কমিশন দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁর কাছ থেকে বিমাও করাতে হচ্ছে গ্রাহককে ৷ এনিয়ে বেশ কয়েকজন রুষ্ট হলেও, তাঁরা কোথায় অভিযোগ জানাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ৷ শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা অনলাইনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷

এমনই এক গ্রাহক অভিজিৎ গুপ্ত বলেন, “তিন বছর আগে 10 লাখ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করি ৷ পূর্বতন ম্যানেজার সেই ঋণ অনুমোদনও করে দেন ৷ কিন্তু বর্তমান ম্যানেজার দায়িত্বে আসার পর অন্তত একশোবার ব্যাংকে গিয়েছি ৷ ঋণের টাকা পাইনি ৷ ম্যানেজার একেক সময় এক এক রকম কথা বলছেন ৷ এর মধ্যে অনেককে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু আমাকে দেওয়া হচ্ছে না ৷ শেষে তিনি আমার কাছে এক লাখ টাকা কমিশন চান ৷ আমি তাঁকে সেই কমিশন দিতে রাজি হইনি ৷ পরে শুনলাম, শুধু আমি নই, তুলসিহাটা এলাকার আরও ছয় থেকে সাতজনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে ৷ ঋণ পেতে শেষ পর্যন্ত আমরা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ এখন ম্যানেজার নড়েচড়ে বসেছেন’’ ৷

10 শতাংশ কমিশন দিয়েই নাকি চার লাখ টাকার ঋণ পেয়েছেন স্থানীয় বিপ্লব গুপ্ত ৷ তিনিও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তিনি বলেন, “বছরখানেক আগে চার লাখ টাকা ঋণের খুব দরকার পড়েছিল ৷ সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছিলাম ৷ আমার কাছে ম্যানেজার 20 শতাংশ কমিশন দাবি করেছিলেন ৷ আমি রাজি হইনি ৷ আমি পিছিয়ে যাই ৷ পরে ব্যাংকে অন্য কাজে যাওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে ডেকে কথা বলেন ৷ শেষ পর্যন্ত কিছু কম কমিশন দিয়ে আমি ঋণের টাকা পেয়েছি ৷ টাকাটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল ৷ আমি এ নিয়ে আগেই অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু কোথায় তা জানাব বুঝতে পারিনি ৷ পরে জানতে পারি, আরও অনেকেই এই ম্যানেজারের শিকার ৷ অনেকেই এ নিয়ে অনলাইনে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাই আমিও অভিযোগ জানাতে এগিয়ে এসেছি’’ ৷

আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, মামলা সিবিআইয়ের

যদিও ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার সিং-র দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ তিনি বলেন, “যে গ্রাহক 10 লাখ টাকা ঋণের আবেদন করেছিলেন, তাঁর নথিপত্রে কিছু সমস্যা ছিল ৷ তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা জানানো হয় ৷ কিন্তু, তিনি এখনও রিজিওনাল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ৷ তাছাড়া এই ব্রাঞ্চ থেকে আমরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করতে পারি ৷ তার বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই সেই ঋণ অনুমোদন করে ৷ আমার বিরুদ্ধে কমিশন সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই’’ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.