ঢাকা, 6 জানুয়ারি: দেশ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বাংলাদেশের আদালত ৷ এবার তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজনকে গুম করার অভিযোগে জারি হয়েছে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা। এমনটাই সোমবার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর।
77 বছর বয়সি হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল ৷ গত বছর অগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন হাসিনা ৷ এরপরই 'পুরনো বন্ধু' দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তাঁর 15 বছরের শাসনকালে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের ৷ যার মধ্যে রয়েছে গণহত্যা থেকে শুরু করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো বহু ঘটনা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসিনার শাসনকালে গায়ের জোরে বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে । এই সম্পর্কেই দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
500 জনেরও বেশি মানুষকে বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ ৷ যাদের মধ্যে কয়েকজনকে বছরের পর বছর ধরে গোপন স্থানে আটক করে রাখা হয়েছে। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ভুক্তভোগীরা তাঁদের নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। সেই সূত্র ধরেই মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে। তাজুল আরও বলেন, "আদালত শেখ হাসিনা এবং তাঁর সামরিক উপদেষ্টা, সামরিক কর্মী এবং অন্য আইন প্রয়োগকারী আধিকারিক-সহ 11 জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে ৷"
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ভারতকে হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেছে ৷ কিন্তু দিল্লি এই দাবিতে এখনও সাড়া দেয়নি। তাজমুল ইসলাম জানান, আদালত বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায়। তাঁর কথায়, "আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার শেষ করতে চাই, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা আইন ভঙ্গ করব বা যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই কারও উপর রায় চাপিয়ে দেব ৷" হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তার কয়েক ডজন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।