ETV Bharat / state

Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম গ্রামীণ ভোটার তালিকায়, ক্ষোভ তৃণমূলেই - মালদা জেলা তৃণমূল

নিজে পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ৷ স্বামী বর্তমান কাউন্সিলর ৷ কিন্তু তাতেও মন ভরছে না ৷ ফের পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে গ্রামীণ ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন ৷ দলেরই এহেন কীর্তিতে ক্ষোভ পুরাতন মালদা তৃণমূলে ৷

Etv Bharat
অভিযুক্ত অনসূয়া দাস মণ্ডল
author img

By

Published : Jun 9, 2023, 10:55 PM IST

বিতর্কিত তৃণমূল প্রার্থী ও দলের অন্যান্যদের বক্তব্য

মালদা, 9 জুন: তিনি পুরাতন মালদা পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ৷ স্বামী ওই ওয়ার্ডেরই বর্তমান কাউন্সিলর ৷ দু'জনেই তৃণমূলের প্রতিনিধি ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই অনসূয়া দাস মণ্ডল গাজোলের রাঙাভিটা এলাকার ভোটার ৷ শহর থেকে গ্রামের দিকে তাঁর দৌড় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট পেতেই ৷ তেমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের একাংশের ৷ শাসকদলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মালদা জেলা পরিষদের 33 নম্বর আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী হতেই অনসূয়া গ্রামীণ ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন ৷ এই কাজে নাকি খোদ দলের জেলা সভাপতির সায় রয়েছে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই ৷ যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি এনিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷

বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পুরাতন মালদা তৃণমূলের অন্দরে ৷ পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হারেজ আলির কটাক্ষ, "জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি ৷ দল হয়তো ভালোভেবেই বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে আসছে ৷ আমাদের গ্রামীণ এলাকায় হয়তো যোগ্য প্রার্থী ছিল না ৷ সেই কারণে বাইরে থেকে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে ৷ জেলা নেতৃত্বের জন্য আমার বার্তা, তাঁরা মানুষের কাছে গেলে সবাই দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবে ৷ তাঁদের প্রার্থীকে দু’হাতে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবেন ৷ আমাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷"

পুরাতন মালদা ব্লক (গ্রামীণ) তৃণমূলের সভাপতি নবেন্দু সেন বলছেন, "এই বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই ৷ জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থীর বিষয়ে জেলা নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটা মেনে চলব ৷ দলের ভালোর জন্যই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এটা দলীয় বিষয় ৷ আমরা দলের কর্মী ৷ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব ৷"

Malda
গ্রামীণ ভোটার তালিকায় নাম পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরের

দলের জেলা নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেক পুরোনো তৃণমূল কর্মী ৷ সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতার সঙ্গী মতিউর রহমান ৷ তাঁর কথায়, "এটা গ্রামীণ ভোট ৷ শহরের কোনও প্রার্থীকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ৷ গত পাঁচ বছর পঞ্চায়েত এলাকার জন প্রতিনিধিরাই এলাকার উন্নয়ন করেছেন ৷ আমরা যেমন শহরের ভোটে প্রার্থী হতে যাই না, তেমনই শহরের কাউকে গ্রামীণ এলাকায় প্রার্থী মানব না ৷ এর জন্য দলের জেলা সভাপতিই দায়ী ৷ তিনি কীসের বিনিময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানা নেই ৷ তবে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করছেন ৷ এই জেলা পরিষদ আসনটি তিনটি পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ৷ এখানে কি একজনও যোগ্য প্রার্থী নেই ? বরাবরই পুরাতন মালদাকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে জেলা নেতৃত্ব ৷ এবার সেটা হবে না ৷"

যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বকসির ৷ তাঁর একটাই কথা, "এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই ৷" এদিকে যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই অনসূয়া বলছেন, "আমি এখন আগামীকালের রক্তদান শিবিরের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ৷ কে কী বলল, আমার জানা নেই ৷ এই বিষয়ে আমার এখন কিছু বলারও নেই ৷"

আরও পড়ুন : নেই পঞ্চায়েত নিয়ে কোনও কথা, লোকসভা ভোটের দেওয়াল প্রচার যুদ্ধে রাম-বাম

বিতর্কিত তৃণমূল প্রার্থী ও দলের অন্যান্যদের বক্তব্য

মালদা, 9 জুন: তিনি পুরাতন মালদা পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ৷ স্বামী ওই ওয়ার্ডেরই বর্তমান কাউন্সিলর ৷ দু'জনেই তৃণমূলের প্রতিনিধি ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই অনসূয়া দাস মণ্ডল গাজোলের রাঙাভিটা এলাকার ভোটার ৷ শহর থেকে গ্রামের দিকে তাঁর দৌড় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট পেতেই ৷ তেমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের একাংশের ৷ শাসকদলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মালদা জেলা পরিষদের 33 নম্বর আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী হতেই অনসূয়া গ্রামীণ ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন ৷ এই কাজে নাকি খোদ দলের জেলা সভাপতির সায় রয়েছে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই ৷ যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি এনিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷

বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পুরাতন মালদা তৃণমূলের অন্দরে ৷ পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হারেজ আলির কটাক্ষ, "জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি ৷ দল হয়তো ভালোভেবেই বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে আসছে ৷ আমাদের গ্রামীণ এলাকায় হয়তো যোগ্য প্রার্থী ছিল না ৷ সেই কারণে বাইরে থেকে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে ৷ জেলা নেতৃত্বের জন্য আমার বার্তা, তাঁরা মানুষের কাছে গেলে সবাই দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবে ৷ তাঁদের প্রার্থীকে দু’হাতে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবেন ৷ আমাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷"

পুরাতন মালদা ব্লক (গ্রামীণ) তৃণমূলের সভাপতি নবেন্দু সেন বলছেন, "এই বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই ৷ জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থীর বিষয়ে জেলা নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটা মেনে চলব ৷ দলের ভালোর জন্যই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এটা দলীয় বিষয় ৷ আমরা দলের কর্মী ৷ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব ৷"

Malda
গ্রামীণ ভোটার তালিকায় নাম পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরের

দলের জেলা নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেক পুরোনো তৃণমূল কর্মী ৷ সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতার সঙ্গী মতিউর রহমান ৷ তাঁর কথায়, "এটা গ্রামীণ ভোট ৷ শহরের কোনও প্রার্থীকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ৷ গত পাঁচ বছর পঞ্চায়েত এলাকার জন প্রতিনিধিরাই এলাকার উন্নয়ন করেছেন ৷ আমরা যেমন শহরের ভোটে প্রার্থী হতে যাই না, তেমনই শহরের কাউকে গ্রামীণ এলাকায় প্রার্থী মানব না ৷ এর জন্য দলের জেলা সভাপতিই দায়ী ৷ তিনি কীসের বিনিময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানা নেই ৷ তবে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করছেন ৷ এই জেলা পরিষদ আসনটি তিনটি পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ৷ এখানে কি একজনও যোগ্য প্রার্থী নেই ? বরাবরই পুরাতন মালদাকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে জেলা নেতৃত্ব ৷ এবার সেটা হবে না ৷"

যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বকসির ৷ তাঁর একটাই কথা, "এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই ৷" এদিকে যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই অনসূয়া বলছেন, "আমি এখন আগামীকালের রক্তদান শিবিরের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ৷ কে কী বলল, আমার জানা নেই ৷ এই বিষয়ে আমার এখন কিছু বলারও নেই ৷"

আরও পড়ুন : নেই পঞ্চায়েত নিয়ে কোনও কথা, লোকসভা ভোটের দেওয়াল প্রচার যুদ্ধে রাম-বাম

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.