ETV Bharat / state

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মালদার 23টি পরিবার - fire breaks out

প্রথমে হরিশচন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামে ও পরে হরিশচন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ফতেপুর গ্রামে আগুন লাগে । মোট 36টি বাড়ি পুড়ে ছাই । ক্ষতিগ্রস্ত 23টি পরিবার ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 11, 2020, 6:07 PM IST

মালদা, 11 এপ্রিল : লকডাউন আগেই তাদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল ৷ আগুন লাগার পর এবার কার্যত পথে বসেছে মালদার হরিশচন্দ্রপুরের 23 টি পরিবার ৷ গতকাল সন্ধে থেকে আজ দুপুরের মধ্যে দুবার আগুন লেগেছে এই এলাকায় । আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মোট 36 টি বাড়ি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি । তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করেছে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব ৷

গতকাল সন্ধেয় হরিশচন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আনারুল হকের বাড়ির রান্নাঘরে প্রথম আগুন লাগে ৷ মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ৷ প্রথমে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ৷ কিন্তু ব্যর্থ হয় ৷ খবর দেওয়া হয় তুলসিহাটা অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রে ৷ সেখান থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ অবশ্য তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় 33 টি বাড়ি ৷ আগুন নেভাতে গিয়ে অল্পবিস্তর জখম হন তিনজন ৷ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিও হয়েছে ।

আজ দুপুরে ফের আগুন লাগে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর গ্রামে ৷ এই গ্রামেও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তিনটি বাড়ি ৷ ওই গ্রামের বাসিন্দা এতোয়ারি যাদবের বাড়িতে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ৷ দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ তিন বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্রও নষ্ট হয়ে যায় ৷ এমনকী, বাড়ির পাশে থাকা 10 কাঠা পরিমাণ পানের বরজেও আগুন লেগে যায় ৷ আগুনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় 4 লাখ টাকা ৷

দুটি ঘটনাতেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জায়গাতেই সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের ৷

image
ক্ষতিগ্রস্থ 23টি পরিবার

পশ্চিমপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা শাহিদ শেখ, আনজার শেখরা বলেন, "এমনিতেই লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম ৷ তারউপর আগুন আমাদের সব শেষ করে দিল ৷ কীভাবে বাঁচব জানি না ৷ গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ আসেনি ৷ ছেলেমেয়ে নিয়ে গতকাল আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি ৷ আজও সম্ভবত সেভাবেই থাকতে হবে ৷"

যদিও হরিশচন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের BDO অনির্বাণ বসু বলেন, "আগুনে বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সন্ধের মধ্যেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে ৷" এদিকে হরিশচন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের BDO প্রীতম সাহাও আজ সন্ধের মধ্যে দুর্গত পরিবারগুলির কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

image
পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করেছে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব

আজ কুশিদার পশ্চিমপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব ৷ এপ্রসঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, "এই পরিবারগুলি প্রতিটিই নিম্নবিত্ত ৷ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার ৷ লকডাউনে এমনিতেই এঁদের কোমর ভেঙে দিয়েছে ৷ তারউপর আগুন এঁদের পথে বসিয়ে দিয়েছে ৷ আজ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং জামাকাপড় দিয়েছি ৷ এঁদের হাতে দ্রুত সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য BDO দের আবেদন জানিয়েছি ৷"

মালদা, 11 এপ্রিল : লকডাউন আগেই তাদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল ৷ আগুন লাগার পর এবার কার্যত পথে বসেছে মালদার হরিশচন্দ্রপুরের 23 টি পরিবার ৷ গতকাল সন্ধে থেকে আজ দুপুরের মধ্যে দুবার আগুন লেগেছে এই এলাকায় । আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মোট 36 টি বাড়ি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি । তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করেছে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব ৷

গতকাল সন্ধেয় হরিশচন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আনারুল হকের বাড়ির রান্নাঘরে প্রথম আগুন লাগে ৷ মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ৷ প্রথমে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ৷ কিন্তু ব্যর্থ হয় ৷ খবর দেওয়া হয় তুলসিহাটা অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রে ৷ সেখান থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ অবশ্য তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় 33 টি বাড়ি ৷ আগুন নেভাতে গিয়ে অল্পবিস্তর জখম হন তিনজন ৷ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিও হয়েছে ।

আজ দুপুরে ফের আগুন লাগে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর গ্রামে ৷ এই গ্রামেও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তিনটি বাড়ি ৷ ওই গ্রামের বাসিন্দা এতোয়ারি যাদবের বাড়িতে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ৷ দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ তিন বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্রও নষ্ট হয়ে যায় ৷ এমনকী, বাড়ির পাশে থাকা 10 কাঠা পরিমাণ পানের বরজেও আগুন লেগে যায় ৷ আগুনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় 4 লাখ টাকা ৷

দুটি ঘটনাতেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জায়গাতেই সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের ৷

image
ক্ষতিগ্রস্থ 23টি পরিবার

পশ্চিমপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা শাহিদ শেখ, আনজার শেখরা বলেন, "এমনিতেই লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম ৷ তারউপর আগুন আমাদের সব শেষ করে দিল ৷ কীভাবে বাঁচব জানি না ৷ গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ আসেনি ৷ ছেলেমেয়ে নিয়ে গতকাল আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি ৷ আজও সম্ভবত সেভাবেই থাকতে হবে ৷"

যদিও হরিশচন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের BDO অনির্বাণ বসু বলেন, "আগুনে বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সন্ধের মধ্যেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে ৷" এদিকে হরিশচন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের BDO প্রীতম সাহাও আজ সন্ধের মধ্যে দুর্গত পরিবারগুলির কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

image
পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করেছে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব

আজ কুশিদার পশ্চিমপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করে স্থানীয় CPI(M) নেতৃত্ব ৷ এপ্রসঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, "এই পরিবারগুলি প্রতিটিই নিম্নবিত্ত ৷ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার ৷ লকডাউনে এমনিতেই এঁদের কোমর ভেঙে দিয়েছে ৷ তারউপর আগুন এঁদের পথে বসিয়ে দিয়েছে ৷ আজ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং জামাকাপড় দিয়েছি ৷ এঁদের হাতে দ্রুত সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য BDO দের আবেদন জানিয়েছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.